রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

সাপ এবং জোক থেকে পরিত্রাণ ও বাচার উপায়

ভয় পেয়ে অনুগ্রহ করে ভ্রমণে অনাগ্রহী হবেন না। এসবের প্রকোপ খুব বেশি নয়। তবুও জেনে রাখা ভালো এজন্যই কেবল এমন তথ্য শেয়ার করা।

চন্দ্রনাথ পাহাড় অভিযান নিয়ে আমার পূর্বের পোস্টে সাপ এবং জোক নিয়ে সতর্কতা মূলক লেখা ও সাপের ছবি দেখে অনেকেই পাহাড়ে ভ্রমণ করতে ভয় প্রদর্শন করেছিলেন। কিন্তু ভয়কে জয় না করলে ভ্রমণপিপাসুর মনের তৃষ্ণা মিটবে কি করে! তাই আমার এ পোস্ট সাপ ও জোক হতে পরিত্রাণ নিয়ে। ধৈর্য ধরে পড়ুন, জানুন। কারণ বাচতে হলে জানতে হবে...

সাপে কামড়ালে করনীয় :

পাহাড়ে ভ্রমণকারীকে তো আর বলা যাবেনা ঝোপঝাড় এড়িয়ে চলুন। তাই সাপের হাত থেকে বাচতে হলে সাবধানে চলাচল করতে বলা ছাড়া কিছু বলার নেই।তবুও পাহাড়ের যে অংশ চলাচলের জন্য নয় বা ট্রেইল নেই তা থেকে দূরত্ব রাখা ভালো।

যদিও আমি বিশারদ নই তবুও জোক ও সাপ নিয়ে কিছু সাবধানতা বই ও নেট থেকে জেনেছি।

এবার আসুন প্রথমে জেনে নিই সাপে কামড়ালে কি করতে হবে!
সাপে কামড়ালে প্রথমেই যাকে কামড়িয়েছে তাকে অভয় দিতে হবে। আক্রান্ত মানুষটিকে আতঙ্কিত হতে দেওয়া যাবেনা, এতে ঐ ব্যক্তিটি হ্যার্ট অ্যাটাক করতে পারেন। ডায়াবেটিক রোগীদের ব্লাড লেভেল বেড়ে যেতে পারে। সাপে কামড়ানো জায়গা তৎক্ষণাৎ পরিষ্কার করে ঢেকে দিন। হাতের কোনো অংশে সাপ কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ি, আংটি ইত্যাদি খুলে ফেলুন।

কাপড় ঢিলেঢালা করে দিন।

অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর একজন সহযোগী অধ্যাপকের মতে আরো মনে রাখতে হবে:

১. সাপে কাটলে দ্রুত রোগীকে ওই স্থানেই শুইয়ে দিন। রোগীর নড়াচড়া সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে, যাতে বিষ তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে না পড়ে।

২. সাপ যদি হাতে বা পায়ে কামড় দেয় তাহলে বাঁধন দিতে হবে। দংশিত স্থানের কিছুটা ওপরে দড়ি বা হাতের কাছে যা পান, তা দিয়েই বেঁধে ফেলুন। মনে রাখবেন বাঁধনটা যেন অস্থিসন্ধিতে যেমন কনুই, কবজি বা গোড়ালি এবং গলা বা মাথায় না হয়। যে দড়ি বা কাপড় দিয়ে বাঁধবেন তা যেন চওড়ায় দেড় ইঞ্চি হয়, কখনো তা যেন সরু সুতোর মতো বা রাবার ব্যান্ডের মতো না হয়। বাঁধনটি যেন খুব বেশি শক্ত না হয়। বাঁধনটি এমনভাবে দিতে হবে যেন একটা আঙুল ওই বাঁধনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। যদি বাঁধনটি শক্ত হয়, তাহলে ঢিলা করে দেবেন, তবে কখনোই তা খুলে ফেলবেন না। বাঁধনটি দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো রক্ত চলাচল বন্ধ রাখা। তবে বাঁধনটি একটানা ২০ মিনিটের বেশি একভাবে রাখবেন না। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর তা আলগা করে দিতে হবে।

৩. দংশিত স্থানটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোবেন।

৪. প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীকে দ্রুত নিকটতম হাসপাতালে কিংবা স্থাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে অ্যান্টিভেনম সিরাম বা সর্পবিষনাশী সিরাম (যেমন হফকিনস পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম) মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে রোগীকে টিটেনাস বা ধনুষ্টঙ্কারের প্রতিষেধক দিতে হবে।

এবার আসুন জোক সম্পর্কে জানি।

জোক থেকে বাচার প্রাথমিক কিছু উপায়:

জোক শিতল ভেজা এবং স্যাত স্যাতে জায়গায় গাছের পাতায় কিংবা ঘাসে থাকে।

সতর্কতা:

সহজে বহনযোগ্য ছুরি বা কেচি রাখুন। ট্রেকিং করার সময় ভালো বুদ্ধি হচ্ছে আন্ডারওয়ারের বদলে টাইটস পড়া। প্যারাসুট কাপড়ের পিছলা প্যান্ট খুব উপকারী। সবচেয়ে ভালো হয় পায়ের মোজার সাথে প্যান্ট ইন করে সংযোগস্থলে ইলাস্টিক দিয়ে সীল করে দেয়া। লম্বা মোজা (হাটুঁ পর্যন্ত), এন্কলেট এবং নিক্যাপও ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ট্রাউজার পরিধান করুন, তারপর লম্বা মোজা পরিধান করে ট্রাউজারের নিম্মাংশ মোজার ভেতরে ভালোভাবে ঘুঁজে দিন। অতঃপর নিক্যাপটি এমনভাবে পরিধান করুন যাতে মোজা ও ট্রাউজারের সন্ধিস্থলকে নিক্যাপটি দৃঢ়ভাবে ঢেকে দেয়। যদি নিক্যাপের চাপে হাটুতে অস্বস্তি লাগে তবে মোজা ও ট্রাউজারের সন্ধিস্থলটিকে হাটুর নিচে নামিয়ে তার উপর নিক্যাপ পড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে নিক্যাপটি যেন মোজা ও ট্রাউজারের সন্ধিস্থলকে দৃঢ়ভাবে ঢেকে দেয়, নয়তো জোঁক মোজা বেয়ে উঠে মোজা ও ট্রাউজারের ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থেকে যাবে। এবার এন্কলেটটি পড়ে ফেলুন। মনে রাখবেন উল্লেখিত ব্যবস্থায়, জোঁকের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ সম্পূর্ন নিশ্চিত করে না। তবে জোঁক মোজা বেয়ে যথেষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করে চামড়ায় স্বান্নিধ্যে এসে কামড় বসাতে যে সময় লাগবে, তাতে আপনার সর্তক দৃষ্টি জোকঁ খুজে বের করে নিবৃত্ত করার পর্যাপ্ত সময় পাবে।

জোক কামড়িয়ে ধরলে তা থেকে পরিত্রাণের উপায়:

কামড়ে ধরা জোঁক থেকে তাৎক্ষনিকভাবে মুক্তি পেতে ছুরি বা কেঁচি ব্যবহার করুন। জোক কে কেটে ফেলুন। ছুড়ি বা কাচির বিকল্প হিসাবে তামাক পাতার গুড়া, ডেটল বা লবন ব্যবহার করা যেতে পারে। জরুরী পরিস্থিতিতে সিগারেটের লাইটারের আগুন বা সিগারেটের আগুন দিয়ে কামড়ে ধরা জোঁক থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

একটি বোতলে লবন পানি সাথে রাখা যেতে পারে।

জোঁক তামাকের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই তামাক পাতা ঘন করে নারিকেল তেলে গুলিয়ে নিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করে পায়ে মেখে ট্রেক করলে জোঁক কম ধরে। মুজা ব্যবহার করলে তামাকের দ্রবণ মুজায় ভিজিয়ে রেখে শুকিয়ে ট্রেক করা যেতে পারে। একইভাবে অডোমসের মত ইনসেক্ট রেপেলেন্ট ক্রিম ও ডেটল ব্যবহার করেও অনেকে উপকার পেতে পারেন।

কথিত আছে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সেনাদল জোঁক উপদ্রুত জঙ্গল পরিভ্রমণের সময় হাতে, পায়ে এবং গলায় ডেটলের দ্রবণ মেখে নিতো। ডেটলের তীব্র গন্ধ জোঁককে দূরে রাখে।

যেসব স্থানে জোক আক্রমণ করতে পারে বিশেষ করে পায়ে কেরোসিন তেল বা সরিষার তেল মেখে দিতে পারেন ।

দেহে কামড়ে ধরা জোঁক টেনে তুলবেন না। আপনার ত্বকে কামড়ে থাকা অবস্থায় জোঁক টেনে তুললে এতে ক্ষতস্থান তুলনামূলক ভাবে বড় হয়ে যাবার বা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে এবং আক্রান্ত জোঁকের বমি করা দূষিত রক্ত দেহে প্রবেশ করে ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে।
উপরোক্ত জোক নিয়ে অধিকাংশ লেখা "সুজন দেহলভী" নামের একজন ব্লগারের পোস্ট থেকে নেওয়া।

তবে জোক ছাড়ানো নিয়ে উইকিপিডিয়ার তথ্য হল:

জোঁক অপসারনের জন্য সাধারণত এর গায়ে সিগারেটের ছ্যাকা, খাবার লবন, ভিনেগার, সাবান, ক্ষারীয় রাসায়নিক পদার্থ, লেবুর রস বা কিছু কার্বনেট পানীয় ব্যবহৃত হয়। তবে এ সব পদ্ধতি চিকিৎসকরা ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। কারণ এসব ব্যবহার করলে জোঁক তার পাকস্থলীর সব কিছু বমি করে দেয়, যা কিনা মানব দেহের ক্ষতস্থানে রোগের সংক্রমণ করতে পারে। হাত দিয়ে টেনে জোঁক অপসারন করাও ঠিক নয়।

দেহ থেকে জোঁক অপসারনের সবচেয়ে ভাল উপায় হল হাতের দুই আঙ্গুল ব্যবহার করে জোঁকের মুখের চোষক অংশের সিল ভেঙে দেওয়া। জোঁক যেখানে কামড়ে ধরে সেখানে নখ ঠেলে দিয়ে অন্য হাতে জোঁকের দেহ টেনে ছুটিয়ে নিতে পারেন। তবে নখ দিতে ভয় পেলে এক্ষেত্রে অনেকে সিমকার্ডের মত শক্ত প্লাস্টিক ব্যাবহার করেন।

সর্বশেষ কথা হল, জানুন,শিখুন,মেনে চলুন। সতর্ক থাকুন। এবং অবশ্যই ভ্রমণে গিয়ে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। প্রকৃতি রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

ধন্যবাদ। শুভ হোক প্রতিটি ভ্রমণ

*Source : Anonymous.

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 22.07.2018 || 🇧🇩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা...

**প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা... ১) মন শুধু মম ছুঁয়েছে- সোলস ২)নিঃস্ব করেছ আমায় - শাফিন ৩)ফিরিয়ে দাও- মাইলস ৪)শ্রাবনের মেঘগু...