āĻ¸োāĻŽāĻŦাāĻ°, ā§¨ā§Ģ āĻœুāĻ¨, ā§¨ā§Ļā§§ā§Ž

āĻ…āĻ¨ুāĻ­ূāĻ¤ি : 3>

★. " তুই আমাকে মুগ্ধ করে দিস প্রতি নিয়ত , আমি বুঝে উঠতে পারিনা আমি কি বলবো... বাক রুদ্ধ হয়ে বসে থাকি... মন খারাপ হয় আমার ... হুম্মম তোর মত করে ভালবাসতে পারিনা কেন আমি ? তোর মত করে আদর-যত্ন করতে পারিনা কেন আমি ? আমি হেরে যাই কেন বারে বারে ?

এতো কিছু লিখিস এতো কিছু বলিশ আমি জবাব খুঁজে পাইনা কেন ?
এ আমার কি হল ? রাগ উঠে নিজের উপর , কষ্ট হয় অনেক ...ভয় হয় ... তুই না আবার ভাবিস আমি কেয়ার করি না , না আবার ভুল বুঝিস , যদি দূরত্ব সৃষ্টি হয় ?

মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় সময়টা টেনে কাছে নিয়ে আসি ... সেই দিন টাকে নিয়ে আসি যেদিন তুই আমার অনেক কাছে থাকবি , সে দিন তোকে হাতের ছোঁয়া দিয়ে বুঝিয়ে দিবো ,
তোর প্রতিটা লোমকূপ কে বুঝিয়ে দিবো কতটা ভালোবাসি ...
আরে পাগলি কেন বলিশ তোকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভালবাসতে হবে ? আমি তোকে মৃত্যুর পরেও ভালবাসবো ... ভালোবাসা কি শুধু ইহকালের জন্যই ? তুই বলেছিলি- "পরকালে কি ৭০ হুরপরি নিয়ে থাকবি ??"
হুইট (?)

খুব কষ্ট লাগে আমার , মনে হয় আমি বুঝি তোকে খুব কম ভালোবাসি ? কিন্তু যখন হুরপরির কথা বলিশ, নিজের অজান্তে যখন ভিতর টা জ্বলে উঠে তখন আবার শান্তি লাগে , হু তোরে ভালোবাসি ,
আর সে জন্যই তো জ্বলে ... তোর এতো এতো মিস কল দেখে যখন বুকের ভিতর কামড়ে উঠে তখন পরক্ষনেই ভাল লাগে , হু তোকে ভালোবাসি বলেই তো আঁতকে উঠেছি ...

আমার খুব লজ্জা করে যখন বলিস "আমি তোকে অনেক ভালোবাসি.."
আরে পাগলি ভালোবাসা বিন্দু মাত্র না পেয়েও কেমনে এতো সন্তুষ্ট থাকিস তুই বল তো ? কিভাবে ঐ থুঁতনির তিল পরিমান ভালবাসায় সন্তুষ্ট থাকতে পারিস
বল না সোনা, বুঝে উঠতে পারিনা ...

তুই কি "আল্লাহতালার" অশেষ রহমত হয়ে আমার কাছে এসেছিস?
জাদুর মত আমার কষ্ট গুলো মুছে গেছে ... এখন কারনে-অকারণে আমি সারাক্ষন হাসি খুশি থাকি , আমাকে এতো এতো সন্মান দিস , (সব কিছু তুচ্ছ লাগে ...) আমার এতো শত সমস্যা নিয়ে কিভাবে আমাকে গ্রহন করে নিলি বল ? কি দিয়ে সৃষ্টি তোর মন বল তো?

মাঝে মাঝে ভাবি "আল্লাহকে" শুকরিয়া জানাতে হবে আমার ... কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনা কি দিয়ে শুকরিয়া জানালে সমান হবে ? তোর সমতুল্য হবে ... বল না ???

এখন যতখানি ভালবাসিস , বাকী জীবন এর শত ভাগের এক ভাগ
ভালবাসলেও যে আমি সন্তুষ্ট! আমি সত্যি তোর প্রতিটা কথার জবাবে বাক রুদ্ধ হয়ে যাই ... বার বার হেরে যাই তোর কাছে ... আমার ভিতরেই কে জানি আমাকে বলে ওঠে ... গর্ব বোধ করো তোমাকে এই আমি এমন করে ভালোবাসি.... আমি কেন পারিনা বল না ?? কেন পারিনা ??

তোর রক্তের স্রোতে বসবাস করতে চাই ...
তোর নিঃশ্বাসের প্রতিটা অনুর সাথে মিশে থাকতে চাই ...
যতদূর নজর যায় তোর আমি সব জায়গায় থাকতে চাই , আমি তোর প্রতিটা লোমের গোঁড়ায় থাকতে চাই ...
বল রাখবিনা ?? হুম্মম্মম ? চুপ কেন ??

চিৎকার করে বল রাখবিনা আমাকে তোর ছায়া বানিয়ে? আরও জোরে চিৎকার দে ... হুম্মম আমি চাই আমার ভিতরের প্রতিটা কোষ আঁটকে উঠুক -

তোর চিৎকারের আওয়াজ শুনে ... সবাই যাতে শুনতে পায় ... হুম্মম প্রতি ক্ষণে মুহূর্তে যেন তোর সেই চিৎকার কানে ভাসে ... এতো এতো জোরে চিৎকার করে বল -
আমি শুধু তোর, তুই শুধু আমার ...

আমার জায়গা অন্য কাউকে দিবি বল ?? বলিশ না কেন আইইইই ??
জোরে বল কাউকে দিবিনা ... আরও জোরে বল আমি শুনিনা ...
হুম্ম অনেক জোরে বল কাউকে দিবিনা ...
যদি দিস তো মনে রাখিস ... হুম্ম মনে রাখিস তুই আমার হবিনা তুই কারোই হবিনা ...

তোকে আমার এই দুই হাতে গলা টিপে মারবো ... বুঝলি ??
পানিতে তোর মুখ চুবিয়ে চুবিয়ে তোকে দুর্বল করবো ...
চড় থাপ্পর আর নখের আঁচড়ে সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত করে দিব...
কিলিয়ে পাজরের হাড্ডি ভেঙ্গে দিবো ...
নাক মুখ টিপে দম বন্ধ করে কষ্ট দিবো ...
একটা একটা করে মাথার চুল টেনে টেনে ছিঁড়বো ...
যখন আর পারবিনা শইতে তখন গলা টিপে পাঠিয়ে দিবো পরপারে ...
তিল তিল করে তুই অনুভব করবি মরে যাওয়ার কষ্ট ...
যদি তোর হৃদয় আঙ্গিনায় আমাকে সরিয়ে অন্য কাউকে বসিয়েছিস তো !!!

উঁহু ভালবাসিনা তোকে মোটেও না ... যা করি ... তাকে বুঝি
ভালোবাসা বলে ??

★. Source : Imráń. (ImranHussain09)
Receptionist @ Hotel Du Metro.
Studied PGD in BCS IT @ University of Greenwich.
Page : Break up hobar golpo (Manager)
22 July 2013 - Present
Paris, France.
Mini Mercado @ Sales Management
December 7, 2015 - Present
Cascais. Lisbon. Portugal.

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 25.06.2018 || 🇧🇩

āĻœেāĻ¨ে āĻ°াāĻ–ুāĻ¨ 'Leap Year & Leap Second' āĻ¸āĻŽ্āĻĒāĻ°্āĻ•ে

★. ****লিপ ইয়ার কি?*** (Leap Year)
অধিবর্ষের আদি-অন্ত:
অধিবর্ষ বা লিপইয়ার (Leap year): গ্রেগরীয়
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৪ বছর পর পর
ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত একটি দিন যোগ
করে আমরা তাকে অধিবর্ষ বা লিপইয়ার বলি।
আমরা হিসাব করি ৩৬৫ দিনে এক বছর অর্থাৎ
পৃথিবী সূর্যের চার দিকে একবার
ঘুরে আসে ৩৬৫ দিনে। কিন্তু বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য
হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ,
অর্থাৎ পৃথিবীর এই সময়টুকু লাগে সূর্যকে একবার
প্রদক্ষিণ করতে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি বছর আমরা ৫
ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময়
পিছিয়ে যাচ্ছি হিসেবে না ধরার দরুন।
ফলে চার বছর পরে এই বাদ যাওয়া সময়টুকু প্রায়
২৪ ঘণ্টায় পরিণত হয় আর সেই ২৪ ঘণ্টাকে সমন্বয়
করার জন্যই লিপইয়ারের আবিষ্কার।
লিপইয়ারের প্রচলন: আগেই বলেছি বছরের প্রকৃত
দৈর্ঘ্য হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬
সেকেন্ড। কিন্তু খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে রোমান
সম্রাট জুলিয়াস সিজার এবং তার
সহকারী জ্যোতির্বিদ সোসিজেনিস ৩৬৫
দিনে এক বছর হবে বলে নতুন গণনা পদ্ধতি শুরু
করেন। ৩৬৫দিনে বছর গণনা করার ফলে বাদ
যাওয় ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড
সময়কে হিসেবে ধরার জন্য ৪ বছর পর পর ৩৬৬
দিনে একটি বছর গণনা করা হবে বলে ঠিক
করলেন, সেটাই আজকের এই লিপইয়ার।
বেচারা ফেব্রুয়ারি: তখনকার নিয়মানুযায়ী বছরের ৭টি মাস হত ৩০ দিনে আর
বাকি ৫টি মাস হত ৩১ দিনে। জুলিয়াস
সিজার তৎকালীন পঞ্চম মাস
কুইন্টালিসকে নিজের নামানুসারে জুলিয়াস
নাম দেন, সেইটাই আজকের সপ্তম মাস জুলাই।
অর্থাৎ জুলিয়াস সিজার তখনকার প্রচলিত
মাসের ক্রম পরিবর্তন করে তৎকালীন একাদশ
মাস জানুয়ারিয়াস থেকে বছর গণনা শুরু করে।
পরবর্তী রোমান সম্রাট অগাস্টাস পূর্ববর্তী ষষ্ঠ
মাস সেক্সটিলিস এর নাম পাল্টে রাখেন
অগাস্ট। দুই রোমান সম্রাটই নিজেদের নামের
মাস দুটিকে ৩১ দিন করে বরাদ্দ দেন । দুঃখজনক
ভাবে এই দুটি দিনই দুই সম্রাট কেটে নেন
বেচারা ফেব্রুয়ারির কোঠা থেকে,
ফলে ফেব্রুয়ারির ৩০ দিনের দৌড়
গিয়ে থেমে যায় ২৮ দিনে। এই জন্যই
বেচারা ফেব্রুয়ারির
প্রতি দয়া দেখিয়ে লিপইয়ারের অতিরিক্ত
১টি দিন গিয়ে তার ভাগ্যে জোটে।
আরো কিছু সমস্যা: সম্রাট জুলিয়াস সিজার এর
তৈরি এই লিপইয়ারও কিন্তু দিনক্ষণের
সমস্যা পুরোপুরি দূর করতে পারেনি, কারণ
সেখানে ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টায় এক সাধারণ সৌর
বছর ধরেছিলেন আর প্রতি চার বছর পরপর ৬×৪ = ২৪
ঘন্টা বাড়িয়ে ৩৬৬ দিনে লিপইয়ার
ধরেছিলেন। ফলে প্রতি বছরেই অতিরিক্ত
কয়েক মিনিট যোগ হতে থাকে। পোপ ত্রয়োদশ
গ্রেগরী দেখেন যে ৩৬৫ দিনে বছর ধরলে চার
বছরে ২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৪ সেকেন্ড সময়
অতিরিক্ত থেকে যায়, আবার ১ দিন
বাড়ালেও কিছুটা অতিরিক্ত বাড়ানো হয়।
তিনি হিসাব করে দেখলেন যে ৪০০
বছরে মোট ৯৬ দিন ২১ ঘণ্টা ৫ মিনিট ৪০
সেকেন্ড বাড়ানো দরকার, কিন্তু ৪
দিয়ে বিভাজ্য সাল গুলিকে লিপইয়ার
ধরলে দিনের সংখ্যা হয় ১০০টি।
দেখা যাচ্ছে ৪০০ বছরে ১০০টি লিপইয়ার
না হয়ে ৯৭টি লিপইয়ার হলেই
সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠা যায়। তাই
তিনি ঠিক করলেন যে সমস্ত সাল গুলি ১০০
দিয়ে বিভাজ্য হবে সেগুলিকে লিপইয়ার
হতে হলে অবশ্যই ৪০০ দিয়েও বিভাজ্য
হতে হবে। এই হিসাব অনুযায়ী ২১০০, ২২০০, ২৩০০
সাল লিপইয়ার হবে না তবে ২৪০০ সাল
লিপইয়ার হবে ।
১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে পোপ ত্রয়োদশ
গ্রেগরী হিসাব করে দেখলেন যে, সম্রাট
জুলিয়াস সিজার এর
ক্যালেন্ডারে চলতে চলতে সূর্যের
সাথে সঠিক সময় না মানায় আমরা প্রায় ১০
দিন এগিয়ে আছি। তাই তিনি সূর্যের
সাথে প্রকৃত সামঞ্জস্য আনার জন্য ক্যালেন্ডার
থেকে ১০ দিন বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেন ।
পরবর্তীতে ১৭৫২ সালে যখন
ইংল্যান্ডে ক্যালেন্ডার সংশোধন করা হয়
ততদিনে ১০ দিনের জায়গায় ১১ দিন বাদ
দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ফলে ১৭৫২
খ্রিষ্টাব্দে ২রা সেপ্টেম্বরের পরে ১১ দিন
বাদ দিয়ে সরাসরি ১৪
সেপ্টেম্বরে চলে যেতে হয়। আর
রাশিয়াতে এই সংস্কার করা হয় গত শতকে ১৩
দিন বাদ দিয়ে । উপরের হিসাবে ৪০০
বছরে মোট ৯৬ দিন ২১ ঘণ্টা ৫ মিনিট ৪০
সেকেন্ড এর বদলে আমরা বাড়িয়েছি ৯৭ দিন।
তাহলে ৪০০ বছরে ২ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ২০
সেকেন্ড ঘাটতি রয়ে যায় । এই
হিসাবে প্রতি ৩৩০৫ বছরে ১ দিন কম পড়ে।
গ্রেগরীর সংস্কার ১৬০০ সাল থেকে কার্যকর
ধরে ৪৯০৫ সালে ১ দিন পুরো হয়ে যাবে। এই
১দিনকে সমন্বয় করতে ৪৯০৪ অথবা ৪৯০৮
সালকে নন-লিপইয়ার ধরতে হবে । যদি ৪৯০৪
সালের লিপইয়ার বাদ দেওয়া হয় তবে ৪৮৯৬
সালের পর লিপইয়ার হবে ১২ বছর পর ৪৯০৮
সালে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে লিপইয়ারের ২টি সূত্র
রয়েছে: (১) যে সালগুলি ৪ দ্বারা বিভাজ্য
হবে সেগুলি লিপইয়ার। (২) যে সমস্ত সাল
গুলি ১০০ দিয়ে বিভাজ্য
হবে সেগুলিকে লিপইয়ার হতে হলে অবশ্যই ৪০০
দিয়েও বিভাজ্য হতে হবে। (উৎস : FB)
★★. গল্পের নাম ‘লিপ ইয়ার’ :
- দিব্যজ্যোতি দত্ত (ইত্তেফাক) ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬ইং।
বিভিন্ন ক্যালেন্ডারে লিপ ইয়ার
কোন কোন ক্যালেন্ডারে লিপ ইয়ারের অস্তিত্ব আছে
দেখে নেওয়া যাক—
গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার:
সারাবিশ্বে এই ক্যালেন্ডারই
সাধারণ ক্যালেন্ডার হিসেবে বিবেচিত। অর্থাত্
আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার এটাই। এই ক্যালেন্ডারে
প্রতি চার বছর পরপর ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত একটি
দিন যুক্ত হয়, যা লিপ ডে নামে পরিচিত।
বাংলা ক্যালেন্ডার:
আমাদের অনেকেরই হয়তো জানা
নেই যে, বাংলা ক্যালেন্ডারেও লিপ ইয়ার আছে।
বাংলা ক্যালেন্ডারে লিপ ইয়ার এমনভাবে সাজানো হয়
যে, লিপ ডে গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের ২৯
ফেব্রুয়ারির কাছাকাছি থাকে। উভয় ক্যালেন্ডারের
মধ্যে তারিখ পরিবর্তন সহজে করার জন্যই এই পদ্ধতি
অনুসরণ করা হয়।
হিজরি ক্যালেন্ডার:
প্রতি চার বছর বাদেই যে লিপ
ইয়ার হবে এমন কোনো নিয়ম নেই হিজরি ক্যালেন্ডারে।
তবে চার বা পাঁচ বছর পরপর বছরের শেষ মাসে অতিরিক্ত
একটি দিন যোগ করা হয় হিজরি ক্যালেন্ডারেও।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার:
সাধারণ ইসলামিক ক্যালেন্ডারে
নিয়মিত কোনো লিপ ডে নেই। তবে মধ্যযুগে ব্যবহূত ও
বর্তমানেও কিছু মুসলিম দ্বারা ব্যবহূত ‘ট্যাবুলার
ইসলামিক ক্যালেন্ডার’-এ একটি নিয়মিত লিপ ডে আছে।
এই অতিরিক্ত দিনটি ৩০ বছর চক্রের প্রতি ১১ বছরে যোগ
করা হয়ে থাকে।
হিন্দু ক্যালেন্ডার:
সকল চান্দ্র ক্যালেন্ডারের মতো এই
ক্যালেন্ডারেও অতিরিক্ত একটি মাস যুক্ত করা হয়। তবে
এই অতিরিক্ত মাসটি যুক্ত হয় প্রতি ২ বা ৩ বছরের
ব্যবধানে। অতিরিক্ত এই মাসটি অধিক মাস নামে
পরিচিত।
চাইনিজ ক্যালেন্ডার:
চাইনিজ ক্যালেন্ডারও একটি
চান্দ্র ক্যালেন্ডার। আর চান্দ্র ক্যালেন্ডারের নিয়ম
অনুযায়ী লিপ ইয়ারে একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয়
এই ক্যালেন্ডারে।
হিব্রু ক্যালেন্ডার:
হিন্দু ও চায়নিজ ক্যালেন্ডারের
মতো হিব্রু ক্যালেন্ডারও একটি চান্দ্র ক্যালেন্ডার। এই
ক্যালেন্ডারে একটি ত্রয়োদশ চান্দ্র মাস যোগ করা হয়।
৭ বার ১২টি চান্দ্র মাসের সাথে প্রতি ১৯ বছরে যেন ঋতু
পরিবর্তনের সাথে ক্যালেন্ডার বছরের মিল থাকে।
কেন আসে লিপ ইয়ার :
লিপ ইয়ার কেন হয় তা আমাদের কম-বেশি সবারই জানা।
লিপ ইয়ার হচ্ছে সেই বছর, যা ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে ৩৬৬
দিনে হয়। আসলে প্রতিবছরের প্রকৃত সময়কাল হচ্ছে
৩৬৫.২৫ দিনের কিছু কম। এই অতিরিক্ত সময়ের ভারসাম্য
করার জন্য প্রতি ৪ বছর পরপর বছরে একটি বাড়তি দিন
যোগ করা হয়। যেহেতু প্রতিবছর ৩৬৫.২৫ দিনের চেয়ে
কিছু কম, তাই প্রতি ৪ বছরে ১ দিন যোগ করার ফলে ৪০০
বছরে অতিরিক্ত প্রায় ৩টি দিন হয়ে যায়! আর সেজন্য
প্রতি চারটি শতাব্দির মধ্যে কেবল মাত্র একটি শতাব্দি
বছর লিপ ইয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়। আর এ জন্যই ১৭০০,
১৮০০ ও ১৯০০ সালে লিপ ইয়ার ছিল না। আবার ২১০০
সালেও কিন্তু লিপ ইয়ার হবে না। আবার ১৬০০ ও ২০০০
সালে লিপ ইয়ার ছিল, কারণ এই দুটি বছরই ৪০০ দ্বারা
বিভাজ্য।
লিপ ইয়ারের জন্ম যেভাবে :
‘দ্য ফাদার অব লিপ ইয়ার’ বলা হয় রোম সম্রাট জুলিয়াস
সিজারকে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫ সালে সিজার লিপ ইয়ারের
প্রবর্তন করেন। অতীতে রোমানদের ক্যালেন্ডারে বছর
হতো ৩৫৫ দিনে। উত্সবের জন্য প্রতি দুই বছর পরপর ২২ বা
২৩ দিনের বাড়তি একটি মাস তৈরি করতো তারা।
জুলিয়াস সিজার সিদ্ধান্ত নিলেন এই বিষয়টিকে সহজ
করার। তিনি প্রতিটি মাসের দিন সংখ্যাকে এমনভাবে
বিন্যাস করলেন যে, বছর ৩৬৫ দিনে হয়। যদিও মূল হিসেব-
নিকেশের কাজটি করেছিলেন সিজারের
জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেস। কিন্তু ৩৬৫ দিনে বছর
শেষ করার পরেও দেখা যায় কিছু সময় বাড়তি থেকে
যায়, যা চার বছর পরপর প্রায় একটি দিনের সমান হয়ে
থাকে। সিজার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রতি চার বছর পরপর
এই বাড়তি দিনটি ক্যালেন্ডারে যুক্ত হবে
ফেব্রুয়ারিয়াস (ফেব্রুয়ারি) মাসে। আর এভাবেই লিপ
ইয়ারের প্রচলন শুরু হয়। আমরা যে মাসটিকে জুলাই নামে
জানি, তার নামকরণও করেছেন জুলিয়াস সিজার। জুলাই
মাসের পূর্ব নাম ছিল কুইনটিলিস।
১৫৮২ সালে ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরী লিপ ইয়ারের
পুরোনো ধারণাকেই একটা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার
চেষ্টা করেন। আর নিয়মটি হচ্ছে—যেকোনো বছরই হোক
না কেন তা যদি ৪ দ্বারা বিভাজ্য হয় তবে সেই বছর
লিপ ইয়ার হবে। শুধু তাই নয়, এখন আমরা যে ক্যালেন্ডার
অনুসরণ করছি তার বেশিরভাগ নিয়মই তার প্রণয়ন।
লিপলিংস বা লিপারস :
২৯ ফেব্রুয়ারিতে যারা জন্মগ্রহণ করেন তাদের বলা হয়
লিপলিংস বা লিপারস। সাধারণত মানুষের জন্মদিন এক
বছর পরপর ফিরে আসে। কিন্তু লিপলিংসদের জন্মদিন
আসে চার বছর বিরতি দিয়ে। ধৈর্যের ব্যাপার বটে!
কিন্তু অনেকেরই এতো ধৈর্য থাকে না। আর এ জন্যই
অনেক লিপলিংস ২৯ তারিখের পরিবর্তে ২৮ ফেব্রুয়ারি
বা ১ মার্চ তাদের জন্মদিন পালন করে থাকেন।
একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পৃথিবীতে এই
লিপলিংসদের সংখ্যা হচ্ছে ৪.১ মিলিয়ন এবং প্রতি
১৪৬১ জন মানুষের মধ্যে একজন এই বিশেষ সৌভাগ্য
নিয়ে জন্মান!
আপনি কি জানেন, নরওয়ের তিন হেনরিকসন ভাই-
বোনদের প্রত্যেকেই হচ্ছেন লিপলিংস, অর্থাত্ তাদের
প্রত্যেকেরই জন্মদিন ২৯ ফ্রেব্রুয়ারি। আর শুধুমাত্র এই
বিশেষ যোগ্যতার জন্যই হেইদি (১৯৬০), ওলাভ (১৯৬৪) ও
লিফ মার্টিনের (১৯৬৮) নাম উঠেছে গিনেজ বুক অব
ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে! পরবর্তীতে এই রেকর্ডে ভাগ বসায়
যুক্তরাষ্ট্রের তিন ভাই-বোন জেভিয়ার (২০০৪),
রেমিংটন (২০০৮) ও জেড (২০১২)।
‘লিপ ইয়ার’ ঐতিহ্য :
১. ব্রিটিশ ঐতিহ্য অনুসারে ‘লিপ ডে’ অর্থাত্ ২৯
ফেব্রুয়ারি হচ্ছে একমাত্র দিন, যেদিন একজন নারী
একজন পুরুষকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারেন। এর পেছনে
রয়েছে এক মজার গল্প। পঞ্চম শতাব্দিতে সেন্ট ব্রিজেট
সেন্ট প্যাট্রিকের কাছে অভিযোগ করেন যে, নারীদের
কেবলই অপেক্ষা করতে হয় যে কখন কোন পুরুষ বিয়ের
প্রস্তাব নিয়ে আসবে। প্যাট্রিক বুঝলেন এটা তো বেশ
বড় একটা সমস্যা! কি করা যায়, কি করা যায় ভাবতে
ভাবতেই প্যাট্রিক সিদ্ধান্ত নিলেন যে, এখন থেকে
নারীরাও বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে পুরুষদের কাছে যেতে
পারবেন। তবে একটি বিশেষ দিনেই কেবল নারীরা এটা
করতে পারবেন। আর দিনটি হচ্ছে ২৯ ফেব্রুয়ারি।
২. ব্রিটিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া পৌঁছেছে সদূর
আমেরিকাতেও। এই ধারণা থেকেই আমেরিকায় জন্ম
নিয়েছে স্যাডি হকিংস ডে, যা প্রথম স্বপ্ন দেখেন আল
ক্যাপ। তিনি তার কার্টুন সিরিয়াল ‘লিল অ্যাবনের’-এ
বিষয়টি তুলে ধরেন।
৩. প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী হয় যেদিন সেই
দিনটিও ছিল কিন্তু লিপ ডে! ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৬৯২ সালে!
৪. চীনে ১০ অক্টোবর ১৯২৯ থেকে সিভিল কোড অনুযায়ী
একজন লিপলিংস বা লিপারসের আইনগত জন্মদিন
সাধারণ বছরগুলোতে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা
হয়েছে। আবার হংকংয়ে লিপ ডে’তে কোনো শিশু
জন্মগ্রহণ করলে তার জন্মদিন নির্ধারণ করা হয় সাধারণ
বছরগুলোর ১ মার্চ।
৫. গ্রিক ঐতিহ্য অনুযায়ী লিপ ইয়ারে বিয়ে সংসার
জীবনে অমঙ্গল ডেকে আনে। আর এ জন্যই প্রতি পাঁচ
যুগলের একজন লিপ ইয়ারে বিয়ে করেন না।
★★. লিপ সেকেন্ড : (Leap Second)
অনিক রহমান, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা (ইত্তেফাক)
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬ ইং ০০:০০ মিঃ
লিপ ইয়ার-এর বিষয় তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু লিপ
সেকেন্ডও যে হয় তা হয়তো অনেকেরই অজানা। এক
সেকেন্ডের জন্য থেমে যায় সময়। বিষয়টি আমরা
পরিলক্ষিত করতে পারি না। কারণ এক সেকেন্ড সময়ের
হিসেব আর কে রাখে। কিন্তু এই হিসেব না রাখা এক
সেকেন্ডের জন্য থেমে যায় আমাদের সময়। সময়
বিজ্ঞানের ভাষায় লিপ সেকেন্ড অনেকটা লিপ ইয়ার
বা অধিবর্ষের মতোই।
পৃথিবীর সূর্য পরিক্রমণে আসলে
যা সময় লাগে, আর হিসেবের সুবিধার জন্য আমরা এক
বছরের যা হিসেব ধরি তার মাঝের ফাঁকটা ভরাতে চার
বছর অন্তর ফেব্রুয়ারির শেষে একটি করে বাড়তি দিন
যোগ করা হয়। ঠিক তেমনই, পরমাণু ঘড়ির হিসেবে নিখুঁত
সময়ের সঙ্গে পৃথিবীর আহ্নিক গতির ওপর নির্ভর করে
সময়ের হিসেব পুরোপুরি মেলে না। কয়েক বছর পরপর
পরমাণু সময় সৌর সময়ের চেয়ে সামান্য এগিয়ে যায়। সেই
অসঙ্গতি দূর করতেই লিপ সেকেন্ড। অর্থাত্ জুন বা
ডিসেম্বরের শেষ দিনটিতে একটি বাড়তি সেকেন্ড যোগ
করে দেওয়া হয়, যেমন হচ্ছে এ বছর।
আন্তর্জাতিক পরমাণু সময় অনুযায়ী, আজকের দিনটির শেষ মিনিট হবে
৬১ সেকেন্ড। দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে সময় অনুযায়ী
চলি, তা হলো সৌর সময়। পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও
বার্ষিক গতির ওপর নির্ভর করে সময় বিভাগ। সেই সময়ও
আবার দু’রকম, আপাত সময় ও গড় সময়। সৌর ডায়ালের
সাহায্যে সরাসরি সময় মাপলে সেটা হয় আপাত সময়। আর
প্রতি ২৪ ঘণ্টায় পৃথিবীর সাপেক্ষে সূর্যের অবস্থান একই
হয়, এটা ধরে নিয়ে যে সময় মাপা হয় সেটা হলো গড় সময়।
এই গড় সময় অনুযায়ীই আমাদের যাবতীয় কাজকর্ম চলে।
হাতঘড়ির কাঁটাও মেলানো হয় গড় সময় ধরেই। কিন্তু
বাস্তবে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় পৃথিবীর সাপেক্ষে সূর্যের
অবস্থান একেবারে এক হয় না। কারণ, নিজের অক্ষের
চারদিকে এক পাক ঘুরতে পৃথিবী ঠিক কতটা সময় নিচ্ছে
সেটা ভূ-কেন্দ্রের গতি, বায়ুমণ্ডল ও মহাসাগরের
অবস্থার পরিবর্তন, ভৌম পানি, তুষার সঞ্চয়ের মতো
বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তাই আমাদের ঘণ্টা-
মিনিট-সেকেন্ডের হিসেব নিখুঁত হয় না। আন্তর্জাতিক
একক ব্যবস্থায় (ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেম অফ ইউনিটস)
সময় মাপা হয় সিজিয়াম পরমাণুর কম্পনের হিসেব
অনুযায়ী। সে জন্য ব্যবহার হয় প্রায় ২৭০টি পরমাণু ঘড়ি।
সৌরজগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পৃথিবীর দিন-রাতের
সময় ঠিক রাখা কঠিন। কারণ, সূর্য ও চাঁদের আকর্ষণে
পৃথিবীর ঘূর্ণন অনেক সময় ধীরগতির হয়। তখন ‘চিরন্তন
সত্য’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ২৪ ঘণ্টার সীমা আর ঠিক
থাকে না। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে
প্রবর্তন করা হয় সমন্বিত নতুন একটি সময় পদ্ধতি
(ইউটিসি)। এর মাধ্যমে ঘড়িতে অতিরিক্ত দু-এক সেকেন্ড
(লিপ সেকেন্ড) যোগ করে পৃথিবীর সময়ের সমন্বয় করা
হয়। আমাদের সময়ের সঙ্গে এ পর্যন্ত মোট ২৪ বার এ রকম
‘লিপ সেকেন্ড’ যোগ করা হয়েছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা এই পরমাণু ঘড়িগুলোর সঙ্কেত
পৌঁছায় ফ্রান্সের সেভরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ওজন
ও পরিমাপ সংস্থার দপ্তরে। তার ভিত্তিতে ওই সংস্থা
আন্তর্জাতিক পরমাণু সময় নির্ধারণ করে। এই পরমাণু
ঘড়িগুলোর হিসেব এতোই নিখুঁত যে, পাঁচ কোটি বছরেও
সময়ের হিসেবে এদিক ওদিক হয় এক সেকেন্ডের কম। আর
বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ও ওয়েবভিত্তিক পরিষেবা এই সময়
অনুযায়ীই চলে। তাই পরমাণু সময় এবং সৌর সময়ের মধ্যে
ফারাক মেটাতে দরকার হয় লিপ সেকেন্ড। কিন্তু মুশকিল
হলো—লিপ ইয়ার যেমন একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর হয়,
লিপ সেকেন্ডের বিষয়টা তা নয়।
কারণ, পরমাণু সময় আর
সৌর সময়ের মধ্যে যে গরমিল সেটা কোনো নির্দিষ্ট ছক
মেনে হয় না। ফলে লিপ সেকেন্ড যোগ করার দরকারটাও
হয় অনিয়মিত ব্যবধানে। তাই কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট
পরিষেবা যেমন আগে থেকেই লিপ ইয়ারের কথা মাথায়
রেখে প্রোগ্রাম করা যায়, লিপ সেকেন্ডের বেলায় সে
সুবিধা নেই। ফলে থমকে যাওয়া সময়ের সঙ্গে তাল
মেলাতে গিয়ে হামেশাই হিসেব যায় গুলিয়ে। যেমনটা
হয়েছিল ২০১২ সালে লিপ সেকেন্ড যোগ করার সময়।
পৃথিবীবাসী লিপ সেকেন্ড পেয়েছে এই পর্যন্ত মোট
তিন কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার এক সেকেন্ড। তবে বাড়তি
সেকেন্ড গণনায় আনার ফলে ইন্টারনেটে বড় ধরনের
বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী ৩০
জুন ১১টা ৫৯ মিনিট ৬০ সেকেন্ডের মাথায় যোগ করা হবে
বাড়তি এক সেকেন্ড। ফলে সেদিন ৮৬ হাজার ৪০০
সেকেন্ডের পরিবর্তে গণনা করা হবে ৮৬ হাজার ৪০১
সেকেন্ড। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানান,
পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি ক্রমেই কমছে। তাতে প্রতিদিন প্রতি
দুই হাজার সেকেন্ডে এক সেকেন্ড করে সময়ের গরমিল
হচ্ছে। সময়ের এই ঘাটতি পূরণ করে পারমাণবিক সময়ের
হিসেব ঠিক রাখতে হলে নিয়ম করে বাড়তি একটি
সেকেন্ড যোগ করা দরকার। তা না হলে ২১০০ সাল
নাগাদ আমাদের দুই-তিন মিনিটের ঘাটতির মধ্যে পড়তে
হবে। ২৭০০ সাল নাগাদ তা দাঁড়াবে আধা ঘণ্টায়। এমনটা
যেন না ঘটে সে জন্যই ১৯৭২ সাল থেকে ‘লিপ সেকেন্ড’
ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর পরবর্তী ৪২ বছরে ২৫ বার
যোগ করা হয়েছে লিপ সেকেন্ড। ৩০ জুন বা ৩১ ডিসেম্বর
যোগ করা হয় বাড়তি একটি সেকেন্ড। সেই ধারায় ২০১৫
সালের ৩০ জুন যোগ হয়েছিল একটি বাড়তি সেকেন্ড।
প্যারিস অবজারভেটরি ও ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশন
সার্ভিস যৌথভাবে বাড়তি সেকেন্ড যোগ করে।
★★. লিপ সেকেন্ডে ৩০ জুন
মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:28 Jun 2015 04:48:06 PM Sunday   ||
Updated:28 Jun 2015 04:53:05 PM Sunday
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : লিপ ইয়ার মানে
অতিরিক্ত ১ দিন, আর লিপ সেকেন্ড মানে
অতিরিক্ত ১ সেকেন্ড। তবে লিপ ইয়ারের সঙ্গে
আমরা যতটা পরিচিত লিপ সেকেন্ডের সঙ্গে
বোধহয় ততটা পরিচিত নই। তবে চলতি মাসের ৩০
জুন ঘটতে চলেছে লিপ সেকেন্ড।
ফলে অন্যান্য দিনের চেয়ে ১ সেকেন্ড বেশি
হবে আগামী ৩০ জুন, মঙ্গলবার। ইন্টারন্যাশাল
আর্থ রোটেশন সার্ভিসের বিজ্ঞানীরা
জানিয়েছেন, পৃথিবীর আহ্নিক গতি প্রতিদিন
সেকেন্ডের ২ হাজার ভাগ কমে যাচ্ছে। সেই
কারণেই হিসাব ঠিক রাখতে ২০১৫ সালের জুন
মাসের ৩০ তারিখে অতিরিক্ত ১ সেকেন্ড যোগ
করা হবে।
ফলে আগামী ৩০ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ৫৯
সেকেন্ডের পরেই পহেলা জুলাইয়ের সূচনা হবে
না। আরো এক সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে
বিশ্বের সর্বত্রই।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার
বিজ্ঞান ড্যানিয়েল ম্যাকমিলান বলেন,
‘পৃথিবীর গতি একটু ধীর হচ্ছে। তাই
কোঅর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম বা ইউটিসি
এবং অ্যাটমিক টাইম একই রাখতে ইউটিসি-তে ১
সেকেন্ড যোগ হবে।’
৩০ জুন ২৩:৫৯:৫৯-এর পর হবে ২৩:৫৯:৬০। এবং তার
পরে হবে 00 00:00:00 অর্থাৎ পরের দিন, ১ জুলাই।
তবে লিপ সেকেন্ড যোগ করার ঘটনা এই প্রথম নয়।
এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে ২৫ বার। ১৯৭২
সালে এরকম লিপ সেকেন্ড প্রথমবার যোগ করা
হয়েছিল। তথ্যসূত্র: এবিপি আনন্দ ।
★. Source : Internet .

āĻĒ্āĻ°িā§Ÿ āĻ—াāĻ¨েāĻ° āĻ¸ংāĻ•্āĻˇিāĻĒ্āĻ¤ āĻ¤াāĻ˛িāĻ•া...

**āĻĒ্āĻ°িā§Ÿ āĻ—াāĻ¨েāĻ° āĻ¸ংāĻ•্āĻˇিāĻĒ্āĻ¤ āĻ¤াāĻ˛িāĻ•া... ā§§) āĻŽāĻ¨ āĻļুāĻ§ু āĻŽāĻŽ āĻ›ুঁā§ŸেāĻ›ে- āĻ¸োāĻ˛āĻ¸ ā§¨)āĻ¨িঃāĻ¸্āĻŦ āĻ•āĻ°েāĻ› āĻ†āĻŽাā§Ÿ - āĻļাāĻĢিāĻ¨ ā§Š)āĻĢিāĻ°িā§Ÿে āĻĻাāĻ“- āĻŽাāĻ‡āĻ˛āĻ¸ ā§Ē)āĻļ্āĻ°াāĻŦāĻ¨েāĻ° āĻŽেāĻ˜āĻ—ু...