মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮

আসমানি গ্রন্থসমূহের নিদর্শনাবলী (১ম পর্ব)

" আসমানি গ্রন্থসমূহের নিদর্শনাবলী (১ম পর্ব)"

"আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষের পরিচালনার জন্য দিয়েছেন জীবনবিধান। এই বিধান বর্ণিত আছে আসমানি কিতাবসমূহে। আসমানি কিতাব ১০৪ খানা। ছহীফা ১০০ খানা এবং ৪ খানা বড় কিতাব । বড় ৪ খানা কিতাবের মধ্যে হযরত দাউদের (আ) উপর যবুর শরীফ (১৪০০-৪০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ), হযরত মূসার (আ) উপর তাওরাত শরীফ (১৪৪৫-১৪০৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ), হযরত ঈসার (আ)উপর ইঞ্জিল শরীফ (৫০-৯৬ খ্রীষ্টাব্দ) এবং সর্বশেষ রসূল হযরত মুহাম্মদের (স) উপর কুরআন শরীফ (৬১০-৬৩৩ খ্রীষ্টাব্দ) নাজিল হয়। আল্লাহ তায়ালা তার প্রধান ফেরেশতা হযরত জিব্রাইল (আ) মারফত নবী রসূলদের উপর এ সমস্ত গ্রন্থসমূহ নাজিল করেছেন। এ সমস্ত আসমানি কিতাবসমূহে অনেক নিদর্শনাবলী বর্ণিত আছে যা সৃষ্টির আদি থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যমান। আসমানি কিতাবসমূহে বর্ণিত এ সমস্ত নিদর্শনাবলী নিয়েই এ লেখার আয়োজন।

১. আদম চূড়া :

আদম চূড়া শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ অংশের শ্রীপাড়া প্রদেশে অবস্থিত একটি পাহাড়। এ পাহাড় চূড়ায় রয়েছে পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদমের (আ) পায়ের ছাপ। এজন্য এ পাহাড়ের নাম হয়েছে আদম চূড়া বা জাবালে আদম বা Adam Peaks . এ পাহাড়টি ২২৪৩ মিটার উঁচু। আদমের (আ) এই পায়ের ছাপের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২ ফুট ৬ ইঞ্চি। হযরত আদম (আ) ও হাওয়ার (আ) সৃষ্টি, বেহেস্তে প্রবেশ, গন্ধম ফল খাওয়া এবং বেহেশত হতে নেমে পৃথিবীতে আসার কাহিনী সমস্ত আসমানি গ্রন্থেই বর্ণিত আছে। হযরত মুসার (আ) উপর অবতীর্ণ তাওরাত শরীফে উল্লেখ আছে, ‘মাবুদ আল্লাহ মাটির তৈরি মানুষকে মাটি চাষ করার জন্য আদম বাগান থেকে বের করে দিলেন।’ (পয়দায়েশ ৩ : ২৪)। হযরত মুহাম্মদের (স) উপর নাজিলকৃত কুরআন শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা একজন আর একজনের শত্রু হয়ে নেমে যাও।’ (সুরা আরাফ : ২৪)। হযরত আদম (আ) দুনিয়ার পূর্ব অঞ্চলের শহর সরন্দ্বীপের (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) এই পাহাড়ের চূড়ায় অবতরণ করেন। সৃষ্টির আদি হতে এই আদম চূড়ার অস্তিত্ব; নাস্তিকতা আর ডারউইনবাদকে অস্তিত্বহীন করে দেয়, বৈকি!

২ . নূহের কিস্তি :

পৃথিবীর দ্বিতীয় আদম হলেন হযরত নূহ (আ)। নূহের (আ) নামে কোরআনের ৭১নং সূরা নূহ নাজিল হয়েছে। অবাধ্য কওমকে শাস্তি প্রদানের উদ্দেশে আল্লাহ তায়ালা নূহকে (আ) একটি নৌকা তৈরির নির্দেশ দিলেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে নূহ, তুমি আমার নির্দেশ অনুযায়ী নৌকা নির্মাণ কর। আর আমাকে উদ্দেশ্য করে জালিমদের জন্য সুপারিশ করবে না, নিঃসন্দেহে তারা নিমজ্জিত হবে।’ (সুরা হুদ: ৩০) মহাপ্লাবন শেষে এই নৌকাটি তুরস্কের জুদী পাহাড়ে অবতরণ করে। পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে, ‘আর আল্লাহপাকের আদেশ পূর্ণ হলো এবং নৌকা জুদী পাহাড়ে যেয়ে থামল।’ (সুরা হুদ: ৪৪) তাওরাত শরীফের ’মহাবন্যার শেষে’ অধ্যায়ে বর্ণিত আছে, ‘সপ্তম মাসের সতেরো দিনের দিন জাহাজটা আররাতের পাহাড়শ্রেণির উপরে গিয়ে আটকে রইল।’ (পয়দায়েশ ৮:৪) আররাতের পাহাড়শ্রেণির একটি পাহাড়ের নাম জুদী পাহাড়। ‘এবং পয়গাম্বরদিগকে অবিশ্বাস করিল তখন আমি তাহাদের ডুবাইয়া দিলাম এবং আমি তাহাদিগকে করিয়া দিলাম মানব জাতির জন্য একটি নিদর্শন, আর আমি প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছি কাফেরদের জন্য যন্ত্রণাময় শাস্তি।’ (সূরা ২৫ ফোরকান :৩৬) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানী ড. ভান্দিল জোন্স কুরআন শরীফে উল্লেখিত জুদী পাহাড়েই সম্প্রতি এ নৌকাটির সন্ধান পান। এই কিস্তিটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুট, প্রস্থ ৫০ ফুট, উচ্চতা ৩০ ফুট। আসমানী গ্রন্থ তাওরাত শরীফ ও কুরআন শরীফে উল্লেখিত হযরত নূহের (আ) কিস্তি বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী উভয়েরই বিশ্বাসে নাড়া দেয়।

৩. জমজম কূপ :

আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির এক অপার বিস্ময়ের নাম জমজম কূপ। এটি মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এ কূপ কাবা থেকে ২০ মিটার দূরে অবস্থিত। বিজ্ঞানীদের কাছে অধর বিস্ময় এই জমজম কূপের সৃষ্টির সঙ্গে হযরত ইব্রাহীমের (আ) নাম জড়িত। আল্লাহতায়ালার নির্দেশে হযরত ইব্রাহীম (আ) তার স্ত্রী হাজেরা ও সন্তান ইসমাঈলকে জনমানবহীন মক্কা নগরীতে রেখে চলে যান। হাজেরা (রা) সন্তানের জন্য পানির সন্ধানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সাতবার দৌড়াদৌড়ি করেন। কিন্তু খাবার পানি বা জনমানবের কোনো সন্ধান পেলেন না। ছেলের কাছে এসে দেখতে পেলেন ইসমাঈলের পায়ের আঘাতে এক কূপের সৃষ্টি হয়ে পানি বের হচ্ছে। অন্য বর্ণনায় বলা আছে, সর্বশেষ বারে যখন হযরত হাজেরা মারওয়ার উপরে উঠলেন তখন কানে একটি আওয়াজ ভেসে আসল। তিনি চমকে উঠলেন এবং বললেন, যদি তুমি কিছু সাহায্য করতে পার, তবে সামনে আস, তোমার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। অতঃপর দেখলেন, আল্লাহর ফেরেশতা জিবরাঈল (আ)। ফেরেশতা নিজের পায়ের গোড়ালি দিয়ে যে স্থানে আঘাত করলেন, সেখানে বর্তমানে জমজম কূপ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুর নিকট দাঁড়ানো স্থান হতে পানি উথলিয়ে উঠতে লাগল। তখন হযরত হাজেরা (রা) পানির চারপাশে বাঁধ দিয়ে বললেন ”জমজম” বা থামথাম। সেই থেকে এই কূপের নাম জমজম। সর্বশেষ রসূল হযরত মুহাম্মদ (স) এস্থানে এসে বলেছিলেন, ‘আল্লাহ পাক ইসমাঈলের মাতার উপর রহম করুন, যদি তিনি যথাসময়ে জমজমকে এরূপে না রুখতেন এবং তার চারিদিকে বাঁধ না দিতেন তবে আজ তা মহাশক্তিশালী প্রসবণেপরিণত হয়ে যেত।’ জমজম কূপ সম্পর্কে হযরত মুসার (আ) উপর অবতীর্ণ তাওরাত শরীফে বর্ণিত আছে ”তারপর আল্লাহ, হাজেরার চোখ খুলে দিলেন, তাতে তিনি একটা পানিতে ভরা কুয়া দেখতে পেলেন সেই কুয়ার কাছে গিয়ে তিনি তার চামড়ার থলিটা ভরে নিয়ে ছেলেটিকে পানি খাওয়ালেন”। (পয়দায়েশ ২১:১৯) প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে প্রবাহিত হওয়া জমজম কূপের পানির উচ্চতা সর্বদা একই অবস্থানে বিদ্যমান। পৃথিবীর সকল পানির চেয়ে উওম পানির উত্স জমজম কূপ বিশ্বের এক চিরকালীন বিস্ময়। "

(চলবে...)

★. Copyright : � " ইত্তেফাক "
(শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৮ আশ্বিন ১৪২৩)

গ্রন্থনা : মো. কামরুজ্জামান।
প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, টিএন্ডটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা ও পিএইচডি গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

News Link : http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/dormo-chinta/2016/09/23/145103.html

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Islamic Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

*** Image source : ©

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 19.06.2018 || 🇧🇩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা...

**প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা... ১) মন শুধু মম ছুঁয়েছে- সোলস ২)নিঃস্ব করেছ আমায় - শাফিন ৩)ফিরিয়ে দাও- মাইলস ৪)শ্রাবনের মেঘগু...