সোমবার, ১৮ জুন, ২০১৮

নতুন বছরে যে পাঁচটি উদ্যোগ বদলে দেবে আপনার জীবন

"এসে গেছে আরেকটি নতুন বছর, শত সম্ভাবনা আর স্বপ্নের হাতছানি নিয়ে। ভাল মন্দের মিশেলে বিগত বছরজুড়ে যার যেমনই কাটুক না কেন, “নতুন বছরের লক্ষ্য” নির্ধারণে কেউ কিন্তু কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই! ব্যাপারটা একরকম ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল, বছরের শুরুতে অনেকগুলো “রেজোলিউশন” ঠিক করি সবাই, দুই দিন যেতে না যেতেই আবার যেই লাউ সেই কদু! কিছুই বদলায় না, লক্ষ্যগুলো কাগজে কলমেই থেকে যায়, আজন্ম উদ্যমহীনতার জাল কেটে বেরোনো হয় না আমাদের। “new year, new me” কথাটা যেন মস্ত এক রসিকতা।
কিন্তু আপনার জীবনটা তো একটা রসিকতা না, তাইনা? এভাবে আর চলতে দেওয়া যায়না, একটা ফাইট তো দিতেই হবে এবার। এতদিন হয়নি, এবার হবে। আজকে থেকেই হবে। চলুন, দেখে নেয়া যাক কি কি পদক্ষেপ বদলে দেবে আজ থেকে আপনার সামনের পথচলা।

>> (১) করিয়া ভাবিও কাজ :

সব রকম বড় বড় প্ল্যানিং আজকে থেকে বন্ধ। সবসময় প্ল্যান করে নিঁখুত কর্মসম্পাদন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব না। “আমি এটা পেতে চাই” এই চিন্তায় মাথা খারাপ না করে বরং ভাবো “নিজেকে কিভাবে গড়ে তুললে আমি এটা পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠবো”। ফার্স্ট বয় হওয়ার চিন্তা না করে নেক্সট এক্সামে হায়েস্ট পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগো। শুরুতেই পাহাড়ের চূড়োয় উঠার কথা ভাবতে গেলে তোমার উৎসাহের প্রদীপ জ্বলে ওঠার আগেই নিভে যাবে। কিন্তু চূড়োয় পৌঁছানোর চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে প্রতিদিন অল্প অল্প করে আরোহণ করা শুরু করো, দেখবে পাহাড়ের চূড়োয় একদিন ঠিকই পৌঁছে গেছো!

যে কোন কাজ শুরু করার সর্বোত্তম সময় হচ্ছে “এখনই!” ভাবাভাবি দূরে থাক, চোখ বুঁজে ঝাঁপ দাও আকাশে। গোঁত্তা খাবে ঠিকই, হাত পা ছিলবে, রক্ত ঝরবে, কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করে সত্যিই একদিন উড়তে শিখে যাবে তুমি! প্ল্যান করে পা বাড়াতে গেলে গোঁত্তা খাওয়ার ভয়ে কোনদিন ডালা মেলা হবে না তোমার, উড়া হবে না মুক্ত আকাশে।

"নতুন বছরে তোমার ভেতরের
ছাইচাপা বারুদটা বের করে আনো
নতুন প্রত্যয়ে, জ্বালিয়ে দাও
দাউদাউ করে যত গ্লানি, ব্যর্থতা
আর হাহাকারের জঞ্জাল"

>> (২) জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নও :

সফল হবার দুইটা না, তিনটা না, একটা মাত্র উপায়। সেটা হচ্ছে লেগে থাকা, কামড়ে ধরে থাকা, ঝুলে থাকা। সারাবছর আমরা অনেক কিছু শেখার প্ল্যান করি। গিটার বাজানো, ফ্রিল্যান্সিং, ইংলিশ স্পিকিং ফ্লুয়েন্সি বাড়ানো সহ আরো কত্তো কিছু! সমস্যা হলো বছর শেষে গিয়ে দেখা যায় একটা কিছুও ঠিকমতো শেখা হয়নি! আমাদের সবকিছু শেখা হয় “একটু একটু”। আমরা “একটু একটু” পাওয়ারপয়েন্টের কাজ পারি, “একটু একটু” ইংরেজি বলতে পারি, “একটু একটু” গিটার বাজাতে জানি- কোনটিতেই বুক চেতিয়ে বলতে পারি না আত্মবিশ্বাসের সাথে “হ্যা! আমি এক্সপার্ট!”

আমাদের এই “একটু একটু” রোগটা দূর করতে হবে। যেটা শিখবে মনস্থির করেছো, সেটা পুরোপুরি আয়ত্তে না আসা পর্যন্ত কোন ছাড়াছাড়ি নেই। দুনিয়া উল্টিয়ে গেলে যাক, তুমি লক্ষ্য থেকে একচুল নড়বে না, দাঁত কামড়ে পড়ে থাকবে। প্রেজেন্টেশনে দুর্বল? প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অনুশীলন করো। গিটার শিখতে ঘন্টার পর ঘন্টা বাজিয়ে আঙ্গুলের রক্ত ঝরিয়ে ফেলো। হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে আবার উঠে দ্বিগুণ উদ্যমে দৌঁড় চালিয়ে যাও। বিজয় আসতে বাধ্য।

>> (৩) সময় গেলে সাধন হবে না :

কেউ যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করে, “বড় হয়ে কি হতে চাও?” তুমি বড় মুখ করে উত্তর দাও- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অন্ট্রাপ্রেনিউর প্রভৃতি। কখনো কি এটা বলো যে তোমার জীবনের লক্ষ্য বন্ধুদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা খাজুরে আলাপ করা, রাত কাবার করে প্রিমিয়ার লিগের খেলা দেখা, রাতদিন ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকা? না, তুমি কখনো এই উত্তরগুলো দাও না। অথচ প্রতিদিন তুমি বিপুল পরিমাণ সময় এসবের পিছে ব্যয় করে যাচ্ছো!

তোমার স্বপ্ন অনেক বড়, কিন্তু সেটা পূরণের জন্য তোমার প্রয়াস কতটুকু? বড় তো মানুষ একদিনে হয়না, প্রতিদিন একটু একটু করেই বেড়ে উঠে। সাকিব আল হাসান তো একদিনে ক্রিকেট খেলতে শিখে যান নি, বছরের পর বছর অক্লান্ত পরিশ্রমেই তিনি আজকের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সময় জিনিসটা অসম্ভব মূল্যবান, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের জন্যই দিনে ২৪ ঘন্টা, তুমি এই সময়টুকু কিভাবে ব্যয় করছো তা দিয়েই অন্যদের সাথে তোমার পার্থক্য তৈরি হবে। সুতরাং বন্ধুদের চাপে পড়ে আড্ডায় যাওয়ার সময় অথবা প্রিয়জনের মান ভাঙানোর জন্য রাতজেগে চ্যাটিং এর বেলায় মাথায় রেখো –

If it doesn’t matter in five years, don’t even
spend five minutes on it. তোমার সময়ের চেয়ে মূল্যবান আর কিচ্ছু নেই।

>> (৪) জগৎটাকে নতুন করে আবিষ্কার করো প্রতিদিন :

একটা মজার তথ্য দেই। “Gracias” শুধু এই ছোট্ট শব্দটি জানলেই পৃথিবীর ২২টি দেশজুড়ে ৪০ কোটিরও বেশি স্প্যানিশ ভাষাভাষী মানুষের কাছে “ধন্যবাদ” বার্তাটা পৌঁছে দিতে পারছো তুমি! একটা নতুন ভাষা শিখলে সেই ভাষাভাষী মানুষগুলোর জীবন সংস্কৃতির একদম নাড়িতে পৌঁছে অনুভব করার দরজা খুলে যাচ্ছে তোমার সামনে! ভাল একটা বই পড়া বা মুভি দেখার মাধ্যমে তুমি সেখানের চরিত্রগুলোর চোখ দিয়ে দুনিয়াটা বেড়িয়ে আসতে পারো। সুতরাং নতুন বছর একটা নতুন ভাষা শেখো, ভাল কিছু মুভি দেখো, ট্রিপে যাও, কারাতে শেখো, পাহাড়ে চড়ো.. বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে জীবনবোধ সমৃদ্ধ করে তোলো। এই অভিজ্ঞতাগুলো পরবর্তী জীবনে অমূল্য অবদান রাখবে।

>> (৫) রুখবে তোমায় কে! :

আমাদের সবার জীবনেই অনেক ব্যর্থতার গল্প আছে। স্বপ্নভাঙ্গার হতাশায় বহুবার আমাদের মাথা নুয়ে গেছে, মনে হয়েছে বেঁচে থাকা অর্থহীন। তাই বলে জীবন থেমে থাকেনি। পাঁচ বছর আগে যেই ঘটনায় তোমার দুঃখে তিনরাত ঘুম হয়নি, এখন সেটা ভেবে হয়তো তোমার হাসি পাবে! জীবনের ময়দানটা অনেক বিস্তৃত, আজকের দিনটা হেরে গেছি বলেই আমি পরাজিত এমন তো নয়! কাল আবার সময় আসবে, তখন আবার নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়বো সংগ্রামে। তোমার চেয়ে অনেকে হয়তো ভাল করছে খেলাধুলায়, বেশি মার্ক পাচ্ছে পরীক্ষায়। এসব দেখে হতাশ হবার কিছু নেই। তোমার প্রতিযোগিতা সবসময়ই কেবল এবং কেবলমাত্র নিজের সাথে। তুমি কি নিজের সেরাটা ঢেলে দিচ্ছো? এখন পড়তে বসলে তোমার কিছুতেই মন বসছে না, পড়া আগাচ্ছে না একটুও। অথচ পরীক্ষার আগের রাতে পুরো সিলেবাস ঝপাঝপ পড়ে শেষ করে ফেলছো তুমি!

আসলে আমাদের প্রত্যেকের ভেতরেই একটা বারুদ আছে, বেশিরভাগ মানুষেরই সেই বারুদটা ছাইচাপা পড়ে থাকে, একদম দেয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে বারুদের আগুনটা জ্বলে ওঠে না। তুমি নতুন বছরে তোমার ভেতরের ছাইচাপা বারুদটা বের করে আনো নতুন প্রত্যয়ে, জ্বালিয়ে দাও দাউদাউ করে যত গ্লানি, ব্যর্থতা আর হাহাকারের জঞ্জাল। ঐযে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে পূর্ব দিগন্তে রক্তলাল সূর্য উঠেছে, আর ঘাসের উপর শিশিরবিন্দু মুক্তোর মত জ্বলজ্বল করছে, আর আকাশে পাখির ঝাঁক নতুনের আবাহন ঘোষণা করছে.. সবাই যেন সমস্বরে বলছে, আজকের দিনটি তোমার! নতুন বছরে জেগে ওঠো নতুন উদ্যমে!

★. Copyright : ©. Tashfikal Sami @ The 10-Minute Blog.

১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/

*** নোটঃ - (আপনার সুবিধামতো সময়ে পড়তে টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন। প্রয়োজনীয় মূর্হুতে খুঁজে পেতে পোষ্টটির লিংক সেইভ রাখুন। না হলে পরে আবার খুঁজতে হবে... এবং কোন মন্তব্য দেওয়ার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।)

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

*** Image source : ©

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 18.06.2018 || 🇧🇩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা...

**প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা... ১) মন শুধু মম ছুঁয়েছে- সোলস ২)নিঃস্ব করেছ আমায় - শাফিন ৩)ফিরিয়ে দাও- মাইলস ৪)শ্রাবনের মেঘগু...