সোমবার, ১৮ জুন, ২০১৮

বিশ্বকে আলোকিত করেছেন মহানবী (সা.)

"জগদ্বাসীর জন্য প্রশান্তির বার্তা নিয়ে এই মাটির পৃথিবীতে শুভাগমন করেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি রহমাতুল্লিল আলামিন তথা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত ও করুণার আকর। রবিউল আউয়াল হিজরি চান্দ্রবর্ষের তৃতীয় মাস। আরবি রবি শব্দের অর্থ বসন্তকাল, আউয়াল অর্থ প্রথম; রবিউল আউয়াল অর্থ প্রথম বসন্ত। রবিউস সানি অর্থ দ্বিতীয় বসন্ত বা বসন্তের দ্বিতীয় মাস। সে সময় আরব দেশে রবিউল আউয়াল ও রবিউস সানি—এই দুই মাস মিলে ছিল বসন্তকাল।

সূর্য যেমন বিশ্বলোক আলোকিত করে, তেমনি বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও বিশ্বকে আপন মহিমায় অলোকিত করেছেন। সূর্যের আলোকরশ্মি দ্বারা যেমন সব বস্তু শক্তি লাভ করে, তেমনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সৌজন্যে সৃষ্টিকুল রহমত ও করুণা প্রাপ্ত হয়।
৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ এপ্রিল, আজ থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৪৬ বছর আগে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই ধূলির ধরায় আগমন করেন। তখন চলছিল আইয়ামে জাহেলিয়াত, অর্থাৎ অন্ধকার যুগ। অজ্ঞানতা, মূর্খতা, কুসংস্কার ও দুর্নীতি পাপাচারে লিপ্ত ছিল আরববাসী। এ সময় জ্ঞানের আলো নিয়ে, মুক্তির বাণী নিয়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে এলেন মানবতার মহান শিক্ষক হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: ‘তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলোকজ্যোতি ও মহাগ্রন্থ এসেছে।’ (সুরা-৫ আল মায়িদাহ, আয়াত: ১৫)।

মহানবী এলেন শুক্লপক্ষে, রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে। পূর্ণিমা শশীর পূর্ণ আলোক আভা নিয়ে আলোকিত করতে বিশ্বজগৎকে। সেই দিনটি ছিল সোমবার। সপ্তাহের মধ্যদিবস, অতি তাত্পর্যময়। নবী করিম (সা.) সোমবার দুনিয়াতে শুভাগমন করেছিলেন। করুণার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বৃহস্পতিবার রজনীতে পিতা খাজা আবদুল্লাহ (রা.)–এর পৃষ্ঠ থেকে মা আমিনা (রা.)-র উদরে আগমন করেন। তাই এই বৃহস্পতিবার এত তাৎপর্যপূর্ণ ও বরকতময়। বনু হাশিম ও কুরাইশকুলে জন্ম বলে তিনি হাশিমি ও কুরাইশি। তবু তিনি শুধু আরব অথবা কুরাইশদের নন, তিনি মানবতার নবী। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসুল ও সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।’ (সুরা-৩৩ আহজাব, আয়াত: ৪০)।

এসেছেন তিনি প্রভাতে। সেই বর্বর যুগের পশুসুলভ জীবনাচার ও জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতনের সামাজিক অন্যায়, অবিচার ও অত্যাচারের তমসা থেকে মানবতাকে সভ্যতার আলোর দিকে এগিয়ে নিতে; তিনি ভোরের সমীরণপ্রবাহ সঙ্গে নিয়ে প্রভাত–রবির রক্তিম আভায়, সকালের সূর্যের হাসি হয়ে উষার আকাশে উদিত হলেন মুক্তির দূতরূপে।

কোরআন করিমে ঘোষণা হয়েছে এভাবে: ‘অবশ্যই তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের নিকট এক রাসুল এসেছেন। তোমাদের যা বিপন্ন করে তা তাঁর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মোমিনদের প্রতি তিনি দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। অতঃপর উহারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আপনি বলুন, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ নেই। আমি তাঁরই ওপর নির্ভর করি এবং তিনি মহা আরশের অধিপতি।’ (সুরা-৯ তাওবা, আয়াত: ১২৮-১২৯)।

তাঁর আগমন ও প্রস্থান একই মাসের, একই তারিখে ও একই বারে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.) একজন রাসুল; তাঁর পূর্বে বহু রাসুল গত হয়েছেন। সুতরাং যদি তিনি ইন্তেকাল করেন অথবা শাহাদাতবরণ করেন, তবে তোমরা কি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে? এবং কেউ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলে সে কখনো আল্লাহর ক্ষতি করবে না; বরং আল্লাহ শিগগিরই কৃতজ্ঞদিগকে পুরস্কৃত করবেন।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ১৪৪)।

তিনি ও তাঁর অনুসারীরা অবিশ্বাসীদের বিষয়ে কঠোর এবং বিশ্বাসীদের প্রতি দয়ার্দ্র। ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদের রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবেন। তাদের লক্ষণ তাদের মুখমণ্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তাওরাতে তাদের বর্ণনা এই রূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এই রূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যা হতে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কাণ্ডের ওপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে, যা চাষির জন্য আনন্দদায়ক। এভাবে আল্লাহ মোমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের।’ (সুরা-৪৮ ফাত্হ, আয়াত: ২৯)।

যাঁর আগমনের প্রতীক্ষায় বিশ্বের সেরা সেরা নবী-রাসুলেরা অপেক্ষমাণ ছিলেন; যাঁর উম্মত হওয়ার নিমিত্তে অন্যান্য নবী- রাসুলেরা আবেদন করেছিলেন, যাঁর আগমনের সুসংবাদ সব নবী-রাসুল প্রচার করেছিলেন, তিনি মহান প্রভুর সর্বাধিক প্রশংসাকারী ‘আহমাদ’। আহমাদ নামটি কোরআন করিমে এসেছে একবার। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘স্মরণ করো, মারইয়াম–তনয় ঈসা (আ.) বলেছিল, “হে বনি ইসরাইল! আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসুল এবং আমার পূর্ব হতে তোমাদের নিকট যে তাওরাত রয়েছে, আমি তার সর্বাধিক সমর্থক এবং আমার পরে আহমাদ নামে যে রাসুল আসবেন, আমি তাঁর সুসংবাদদাতা।’” (সুরা-৬১ সফ, আয়াত: ৬)।

তিনি কামলিওয়ালা। বিশ্ব মানবতার অবিসংবাদিত নেতা হজরত মুহাম্মদ (সা.)- কে তাঁর মহান বন্ধু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নানা অবিধায় অভিহিত করেছেন, বিভিন্ন বিশেষণে বিভূষিত করেছেন, বিবিধ সম্ভাষণে সম্বোধন করেছেন। আহ্বান করেছেন কখনো ‘ত হা’, আবার কখনো ‘ইয়া সীন’। (সুরা-৩৬ ইয়া সীন, আয়াত: ১)।

এসবের মাঝে পরিচিত তিনি ‘কামলিওয়ালা’ নবী তথা ‘মুজজাম্মিল’ ও ‘মুদ্দাছছির’। (সুরা-৭৩ মুজজাম্মিল, আয়াত: ১ ও সুরা-৭৪ মুদ্দাছছির, আয়াত: ১)।

মহানবী খোদার মাহবুব, মাশুক ও হাবিব। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: ‘শপথ দিবালোকের! শপথ রজনীর যখন তিমিরাচ্ছন্ন হয়। আপনার রব আপনাকে ছেড়ে যাননি এবং আপনার প্রতি বিরাগভাজনও হননি। ইহকাল অপেক্ষা পরকাল (বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ) আপনার জন্য শ্রেয়তর। অচিরেই আপনার প্রভু আপনাকে দান করবেন, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন। তিনি পেয়েছেন আপনাকে অনাথ, অতঃপর আশ্রয় দিয়েছেন। আর তিনি পেয়েছিলেন আপনাকে অনুরাগী, তাই হিদায়াতের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। এবং তিনি পেয়েছেন আপনাকে পুনঃপুন ব্রত, তাই দিয়েছেন প্রাচুর্য।’ (সুরা-৯৩ দুহা, আয়াত: ১-৮)।
মহানবীর গুণগান বিশ্বময়। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘আমি আপনার বক্ষ প্রশস্ত করেছি, আমিই আপনার বোঝা নামিয়ে দিয়েছি, যা আপনার পৃষ্ঠ কুঁজো করে দিয়েছিল। আর আমি আপনার সুনাম সর্বোচ্চে উন্নত করে দিয়েছি।’ (সুরা-৯৪ ইনশিরাহ, আয়াত: ১-৪)।

( ২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৪)

**প্রিয় নবীজির শুভাগমন ও ওফাত :

প্রিয় নবীজি (সা.)-এর এই দুনিয়ায় শুভাগমন ও প্রস্থান উভয় ঘটেছিল এই রবিউল আউয়াল মাসে। উভয় দিন ছিল সোমবার। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: প্রাচুর্যময় তিনি, যাঁর হাতে সকল রাজত্ব, তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান; যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করবেন তোমাদের মধ্যে কারা কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল। (সুরা মুলক, আয়াত: ১-২)।

দশম হিজরিতে ৯ ও ১০ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে বিদায় হজের ভাষণের শুরুতে প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে হয়তো আপনাদের সঙ্গে আমার আর দেখা হবে না।’ এরপর মাত্র ৮৩ দিন তিনি দুনিয়াতে ছিলেন। সফর মাসের মধ্যভাগে তিনি অসুস্থ হন, সফরের শেষ বুধবার (আখেরি চাহার শোম্বা) কিছুটা সুস্থতা বোধ করেন; ১২ রবিউল আউয়াল তিনি ইন্তেকাল করেন।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন: ‘যে মৃত্যু হতে তোমরা পলায়ন করছ, তা তোমাদের সঙ্গে মিলিত হবেই।’ (সুরা জুমুআহ, আয়াত: ৮)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে প্রথমে রুহের জগতে রেখেছিলেন, তারপর দুনিয়ার জগতে পাঠিয়েছেন, এরপর বারজাখ জগতে থাকতে হবে এবং সর্বশেষ আখিরাত বা পরকালীন জগতে যেতে হবে। মৃত্যু হলো পরজগতে যাওয়ার সেতুস্বরূপ।

**ওফাত ও দাফন :

তথ্যবিভ্রাট অত্যন্ত ক্ষতিকর, অনেক সময় আমরাও না জেনে-না বুঝে অথবা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে না পেরে এর শিকার হয়ে যাই। যেমন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর সাহাবিরা তাঁর দাফনক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিন দিন সময় পার করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আসলে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দাফন সম্পন্ন হতে কত সময় লেগেছিল? উত্তরে উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি ৩১ জানুয়ারি থেকে ১ মার্চ যেমন তিন মাস হয় না (বরং ত্রিশ দিন বা এক মাস হয়), তেমনি তিন দিনের নাম বললেই তিন দিন (৭২ ঘণ্টা) হয় না।

বিশুদ্ধ হাদিস ও ঐতিহাসিকদের তথ্যমতে, নবীজি (সা.)- এর ইন্তেকাল হয়েছিল সোমবার দ্বিপ্রহরে মতান্তরে বিকেলে আর দাফন হয়েছিল বুধবার এশার সময়। তাহলে আরবি হিসাবে (সূর্যাস্ত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এক দিন ধরে) সোমবার দিনের ১ ঘণ্টা বা ২ ঘণ্টা, মঙ্গলবার (সোমবার সূর্যাস্তের পর থেকে মঙ্গলবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত) ২৪ ঘণ্টা এবং বুধবারের (সূর্যাস্তের পর থেকে এশা পর্যন্ত) ১ ঘণ্টা বা ২ ঘণ্টা (মোট ২৬ বা ২৮ ঘণ্টা)। বাংলা হিসাবে (সূর্যোদয় থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এক দিন ধরে) সোমবারের (সোমবারের আসর থেকে মঙ্গলবারের সূর্যোদয় পর্যন্ত) ১৩ ঘণ্টা বা ১৪ ঘণ্টা এবং মঙ্গলবারের (সূর্যোদয় থেকে এশা পর্যন্ত) ১৩ ঘণ্টা বা ১৪ ঘণ্টা (সাকল্যে ২৬ থেকে ২৮ ঘণ্টা)। ইংরেজি হিসাবে (মধ্যরাত থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এক দিন ধরে) সোমবারের (আসর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত) ৭ ঘণ্টা বা ৮ ঘণ্টা এবং মঙ্গলবারের (রাত ১২টা থেকে এশা পর্যন্ত) ১৯ ঘণ্টা বা ২০ ঘণ্টা (সাকল্যে ২৬ থেকে ২৮ ঘণ্টা)।

ওপরের বিবরণ থেকে দেখা যায়, আরবি হিসাবে তিন দিন (সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার), বাংলা ও ইংরেজি হিসাবে দুই দিন (সোমবার ও মঙ্গলবার); কিন্তু সময় ২৬ ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ২৮ ঘণ্টা মাত্র; যাকে তিন দিন তো দূরের কথা দুই দিনও বলা যাবে না। কারণ, কোনো সংখ্যা অর্ধেকের কম হলে পূর্ণ সংখ্যা বলা যায় না। সাধারণত অর্ধেকের কম হলে তা ধর্তব্যও হয় না। আর এই এক দিন বিলম্ব হওয়ার অনেক যৌক্তিক কারণ রয়েছে, যা প্রামাণ্য সিরাত গ্রন্থসমূহে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।

**দাফন বিলম্বিত হওয়ার কারণ :

প্রিয় নবীজি (সা.) ইন্তেকালের আগে একাধিকবার অজ্ঞান হয়েছিলেন এবং পুনরায় সুস্থ হয়েছিলেন। তাই ১২ রবিউল আউয়াল ইন্তেকাল করলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দীর্ঘ সময় পর যখন তাঁর ইন্তেকাল নিশ্চিত হয়, তখন মধ্যরাত। সকালবেলায় যখন তাঁর মৃত্যুর খবর সাহাবায়ে কিরাম শুনলেন, তখন অনেকেই তা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি। যেমন হজরত উমর (রা.) নবীজি (সা.)-এর ইন্তেকালের খবর শুনে পাগলপ্রায় হয়ে গেলেন। তিনি তরবারি নিয়ে বের হলেন
আর বললেন: ‘যে বলবে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইন্তেকাল করেছেন, আমি তাকে খুন করব।’

এই অবস্থায় হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) সাহাবায়ে কিরামকে মসজিদে নববিতে ডেকে একত্র করে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন। তাতে তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা কোরআন মজিদে বলেছেন: ‘কুল্লু নাফছিন যায়িকাতুল মাউত’, অর্থাৎ ‘জীবনমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫)। তিনি আরও বলেন, কোরআন করিমে রয়েছে: ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.) অবশ্যই একজন রাসুল, তাঁর পূর্বে বহু রাসুল (আ.) গত হয়েছেন। তবে যদি তিনি মৃত্যুবরণ
করেন অথবা শহীদ হন, তবে কি তোমরা পেছন দিকে ফিরে যাবে?’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৪৪)।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরও বলেন: ‘(হে নবী! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিশ্চয় আপনি মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার, আয়াত ৩০)। হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর বক্তব্যে সাহাবায়ে কিরাম নিশ্চিত হলেন, হজরত নবী করিম (সা.) ইন্তেকাল করেছেন। এরপর প্রিয় নবীজি (সা.)-কে শেষ দেখা ও তাঁর প্রতি সালাত ও সালাম, দোয়া-কালাম পেশ করতে থাকলেন তাঁরা। একের পর এক সাহাবি আসতে থাকলেন। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকল সন্ধ্যা পর্যন্ত। তারপর নবীজি (সা.)-কে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, প্রচলিত নিয়মে জামাত করে নবীজির জানাজার নামাজ পড়া হয়নি, এর প্রয়োজনও ছিল না। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)।

**রবিউল আউয়াল মাসের বিশেষ আমল :

(১) প্রিয় নবী (সা.)-এর অনুসরণে প্রতি সোমবার নফল রোজা রাখা, যা সারা বছর রাখা যায়। (২) নবীজির প্রতি সর্বাধিক পরিমাণে দরুদ শরিফ পাঠ করা, যা সর্বদা করতে হয়। (৩) প্রিয় নবীজি (সা.)-এর সুন্নতমতো জীবনযাপনে ব্রতী হওয়া, যার কোনো বিকল্প নেই।"

(১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৭)

★. Copyright : "প্রথম আলো"

গ্রন্থনা : মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী।
যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি, সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম।
smusmangonee@gmail.com

*** নোটঃ - ( আপনার সুবিধামতো সময়ে পড়তে টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন। প্রয়োজনীয় মূর্হুতে খুঁজে পেতে পোষ্টটির লিংক সেইভ রাখুন। না হলে পরে আবার খুঁজতে হবে... এবং কোন মন্তব্য দেওয়ার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। )

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Islamic Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 18.06.2018 || 🇧🇩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা...

**প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা... ১) মন শুধু মম ছুঁয়েছে- সোলস ২)নিঃস্ব করেছ আমায় - শাফিন ৩)ফিরিয়ে দাও- মাইলস ৪)শ্রাবনের মেঘগু...