একটি ব্রেকাপের গল্প...

(১)

আমার বেশির ভাগ ছবিতে আমার পাশে একটা মেয়েকে দেখা যেতো।
প্রেম বিষয়ক নানা রকম গল্প-টল্প লেখার কারণে বিষয়টা প্রচারও হয়েছিলো বেশ ভালোভাবেই। অনেকেই জানতেন এই প্রেমের ব্যাপারে, প্রশংসা করতেন। তো তাদের জন্যই এই লেখাটা। লেখার প্রতিপাদ্য বিষয় হলোঃ

আমাদেরকে আর কোনোদিন, পাশাপাশি কোনো ছবিতে দেখা যাবে না।
বহুদিন হলো, আমরা যে যার পথে চলে গেছি। অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেনঃ আর ছবি দেখা যায় না কেন আপনাদের ? আর ওনাকে নিয়ে লেখেন না কেন ? কী হয়েছে আপনাদের, ঝগড়া হয়েছে নাকি - ইত্যাদি।
উত্তর এইটাই। রিলেশনটা নাই আর। আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব ঘটনাও মাঝেমাঝে ঘটেই যায়। পৃথিবীতেই ঘটে।

আমরা সব ধরনের চেষ্টাই করেছিলাম সমাধানের, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। বাচ্চাদের মতো ঝগড়া লাগিয়ে ব্রেক-আপ করার বয়স আমরা ফেলে এসেছি অনেক আগেই। সুতরাং, এখানে কাউকে বুঝিয়ে বা পরামর্শ দিয়ে আর কিছু হবে না। বিষয়টা অনেকদিন হলো মিটমাটও হয়ে গেছে। আমরা এখন যে যার মতো ভালো আছি।

(২)

কী সমস্যা হয়েছিলো আমাদের ? কেন আলাদা হয়ে গেলাম ?

- ইচ্ছা করলেই এই প্রশ্নের যে কোনো উত্তর দিয়ে দেয়া যায়। তবে, টু বি অনেস্ট, আমি গুলতেকিন খান না। ঘরের সমস্যা ঢোল পিটিয়ে সবাইকে বলে বেড়ানো খুব খারাপ জিনিস। আমি তার সাথে নাই, এর অর্থ এই না যে, আমি তার প্রাইভেসি সবার সামনে ভেঙে ফেলবো।

রিলেশন ব্রেকাপের ব্যাপারে বাংলাদেশে খুব বাজে কিছু চর্চা আছে, তার মধ্যে প্রধানতম চর্চা হচ্ছেঃ দোষারোপ। এক পক্ষকে কোনোভাবে দায়ী করে ফেলতে পারলেই এখানে ব্রেকাপের একটা গ্রহণযোগ্য গ্রাউন্ড তৈরি হয়ে যায়।

আমি আমার জীবন থেকে একটা শিক্ষা পেয়েছি। রিলেশন "বেসিক্যালি" একটাই কারণে ভাঙ্গে, সেটা হলোঃ ভালোবাসার মানুষটাকে আর ভালো লাগে না। ভেতর থেকে তার প্রতি চুম্বকের মতো টানটা আর আসে না। সমস্যা হচ্ছে, এই সত্যি কথাটা কেউ কেন জানি স্বীকারও করতে চায় না।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরেও, সম্পর্কের মধ্যে "একজনের" যদি আর সম্পর্কটা ভালো না লাগে, তাহলে চলে যাওয়ার আগে, যে চলে যাচ্ছে, সে রিলেশন ভাঙার বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দেয়। এই সময় দুই পক্ষ একে অন্যকে দোষারোপ করে, দোষ না পেলে দোষ খুঁজে বের করে এবং ফাইনালি, চলে যাওয়ার সময় মুখের ওপর সেই কারণগুলো ছুঁড়ে মেরে দিয়ে যায়।

খেয়াল করে দেখবেন, যদি কেউ আপনাকে ছেড়ে চলে যায়, তখন তার দেখানো ব্রেকাপের কারণগুলো যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে না পারে, তো চোখ বন্ধ করে ধরে নিতে পারেনঃ আপনাকে আর তার পছন্দ হচ্ছে না। সে শুধুমাত্র চলে যাওয়ার কারণগুলো আপনাকে দেখানোর চেষ্টা করছে, যেগুলো মূলত কোনো কারণই না। তার যাওয়ার ছিলো, তাই সে চলে যাচ্ছে - কাহিনী এখানেই শেষ।

যার থাকার, সে অনেক সমস্যার পরেও কীভাবে যেন থেকে যায়। যার যেতে চায়, সে তাজমহল বানিয়ে দিলেও থাকবে না - লিখে রাখতে পারেন। সুতরাং, এরকম ঘটনা যদি আপনার সাথে ঘটে, তাহলে একটাই উপায় আছেঃ দাঁতে দাঁত চেপে এই সত্যিটা মেনে নিতে হবে। দুইজন আপাদমস্তক ভালো মানুষ - একটা ভালো রিলেশন নাও বানাতে পারে।
রিলেশন ভেঙেছে - এর মানে সব সময় এই নয় যে, দুইজনের মধ্যে কেউ একজন খারাপ। এর মানে হলোঃ "তারা একজন আরেকজনের জন্য নয়"। আমরা, একজন আরেকজনের জন্য ছিলাম না। মাঝেখানে কিছুদিন শুধু দুইজন মিলে খুব ভালো ছিলাম - এই হচ্ছে বিষয়।

(৩)

আমি আমার প্রাক্তনের প্রতি কৃতজ্ঞ, আমাদের কোনো দোষারোপ পর্ব ঘটেনি। আমাদের বনিবনা হয়নি, আমরা আলাদা হয়ে গেছি - দ্যাট'স ইট।

যতো সহজে বলে ফেললাম, ঘটনাটা এতো সহজে ঘটেনি অবশ্য। দিনের পর দিন লেগেছে এই দূরত্ব তৈরি হতে। এমনিতেই লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ ক্যারি করা খুব কঠিন ব্যাপার। অনেকে শেষ পর্যন্ত পেরে যায়। আমরা পারিনি, আমাদের ব্যর্থতা। মিউচুয়ালি এই ব্যর্থতাটা আমরা মেনে নিয়েছি।

তো আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে। ব্রেকাপের ইমিডিয়েট পরে যে পাহাড় সমান একটা ধাক্কা আসে, সেই ধাক্কা অলরেডি কাটিয়ে উঠেছি। কষ্ট হয়েছে, তবে পেরেছি শেষ পর্যন্ত। কাজের ব্যস্ততা যদি ব্রেইন হ্যাং করে রাখে, তাহলে সেখানে আবেগ ঢুকতে পারার সুযোগ খুব কম পায়। প্রবাসের শ্রমজীবনকে ধন্যবাদ, শারীরিক কষ্ট দিয়ে মানসিক কষ্টকে দূর করে দেয়ার জন্য।

যারা জানতেন এই সম্পর্কের ব্যাপারে, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেনঃ এরা মনে হয় ফাইনালি টিকে যাবে। আমিও বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিয়েছিলাম, বড় মুখে বলতে পারতাম যে, আমরা ভবিষ্যতের চিন্তা করছি। দুর্ভাগ্য, সব সময় সবকিছু প্ল্যানমাফিক হয় না। ৯৯ পার্সেন্ট কখনোই একশো পার্সেন্টের সমান নয়। মাঝেমাঝে এমনকি একশো পার্সেন্টও রাতারাতি জিরো হয়ে যেতে পারে।

সেরকম কিছুই হয়ে গেলো শেষ পর্যন্ত। আর তেমন কিছু বলার নাই। সবাই যার যার মতো ভালো থাকুক, সুখে থাকুক। আমিও অনেক আশা নিয়ে বিদেশে এসেছিলাম। সবকিছু আবার নতুনভাবে ভাবতে হচ্ছে। মাঝখানে মহা দুঃসময় পার করেছিলাম। অন্য কোথাও হয়তো সেইসব দিনরাত্রির গল্প বলা যাবে।

যারা "কাছের মানুষ" ভাব ধরে, মহা প্রয়োজনের সময় তাদের কাউকেই পাওয়া যায় না - এটা সব সময়ের জন্য ধ্রুব সত্যি কথা, এটা আমি জানতাম। সেজন্যই আমি কারও দিকে তাকাইনি, কারও সাহায্যও চাইনি। যাদের দুঃসময়ে আমি পাশে ছিলাম, তারাও কেউ আমাকে দুইটা ভালো কথা বলতে আসেনি। একা একাই হাসতে হাসতে বিষয়টা সামলে নিয়েছি।

একা একা যখন এতোদূর পর্যন্ত পেরেছি, বাকীটাও আশা করি পারবো। আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি, আমায় আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। যারা আমাদের সম্পর্কের শুভানুধ্যায়ী ছিলেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভালো সময়টার সাক্ষী হয়ে আপনারা সবাই থাকলেন।

আশীর্বাদ করবেন, অতীত যাই হোক, ভবিষ্যতটা যাতে সবারই সুন্দর হয়

*Copyright :  © Shubhajit Bhowmik  (August 12, 2016 at 11:02 PM)

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 13.07.2018 || 🇧🇩