রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

জানতে হবে কোথায় থামতে হবে....

সারা পৃথিবী এখন একটা বিশাল জালের মধ্যে আটকে রয়েছে। আর এই জালটার পোশাকী নাম হলো স্যোশাল মিডিয়া। এর মাধ্যমেই বদলে যাচ্ছে আমাদের দৈনন্দিনের সম্পর্ক, চিন্তা, লক্ষ্য। বন্ধুত্ব, আড্ডা, গান, গেমস সবকিছুই পাওয়া যায় এখন এক ছাদের তলায়! পাশাপাশি এতে রয়েছে বিপথগামী হওয়ার সহজ পথটিও। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় এ বিষয়টিই প্রমাণিত হয়েছে। নানা ধরনের তথ্য আদান-প্রদানসহ কাছের কিংবা প্রিয় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করে দিয়েছে স্যোশাল নেটওয়ার্ক। সেই সঙ্গে আধুনিক মানুষকে পরিণত করেছে ভার্চুয়াল মানুষে। তাই স্যোশাল নেটওয়ার্ক বাস্তবিকভাবেই মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠছে। এমনকি সামাজিক পরিসরে মানুষ নিজেকে যতটা প্রকাশ করেন, তার চেয়ে বেশি করে থাকেন ফেসবুকে। তাই আপাত মজা থাকলেও তরুণদের স্যোশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহারে সতর্ক হওয়া জরুরি।

বলা যায়, আজ আমরা ইন্টারনেট জগতে নিজেদের বাসিন্দা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করেছি। অনেক চেনা-অচেনা বন্ধু পাচ্ছি আমরা ফেসবুক, লিংকডইন বা টুইটারের মাধ্যমে। আর পারস্পরিক যোগাযোগ সহজ ও সাশ্রয়ী করতে রয়েছে ভাইবার, ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটস অ্যাপ প্রভৃতি। এই মাধ্যমগুলোর সুবিধা তো বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু সেই সুবিধা অনেক সময়ই মাথাব্যথার কারণও হয় অনেকের অদূরদর্শিতার কারণে। যেমন আপনি হয়তো কোনো জরুরি মিটিংয়ে আছেন, কেউ প্রতি মিনিটে নক করেই যাচ্ছে। অপরিচিত কেউ রাত দুপুরে ভিডিও কল দিচ্ছে। অনেক সময় কোনো অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন গ্রুপে অ্যাড করে নিচ্ছে, ব্যক্তিগত ছবি ট্যাগ করে দিচ্ছে। কেউ আবার নিজের নামে পেজ খুলে ইনভাইট করছে। ছবি বা স্ট্যাটাসের নিচে আপত্তিকর লিংক পোস্ট দিচ্ছে। এসব সমস্যায় হয়তো আমরা সবাই কমবেশি ভুক্তভোগী। অন্তত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এলে বন্ধু তালিকায় জায়গা দেওয়ার আগে একবার তার ওয়ালটা ঘুরে আসুন। নিজের পাসওয়ার্ড স্ট্রং করে রাখবেন, ট্যাগ অপশন বন্ধ রেখেও নিজেকে কিছুটা নিরাপদ রাখা যায়। আসুন আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে সবার সঙ্গে সুস্থ বন্ধুত্ব রক্ষা করি। নিজের যোগাযোগ ও জানার পরিধি বাড়াই।

বর্তমানে ফেসবুকের মাধ্যমে অহরহ সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অনেকে। তাই জনপ্রিয় সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কিছু সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

১. আপনার জন্ম তারিখ :অনেকেই নিজের জন্ম তারিখ ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। এটি আপনার জন্য অনিরাপদ। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে জন্ম তারিখ থেকেই অনেক তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকাররা। অথবা যেকোনো শত্রু এই বিশেষ দিনে টার্গেট করে আপনার ওপর হামলা চালাতে পারে।

২. আপনার শিশু কোথায় পড়াশোনা করে :অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়ে অবেগাপ্লুত হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। সেই সঙ্গে স্ট্যাটাসে জানিয়ে দেন, তার শিশু কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এটি শিশুর জন্য নিরাপদ নয়। এতে শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

৩. আপনার শিশুর ছবি :শিশুদের নিয়ে যেকোনো তথ্য পাবলিকের কাছে শেয়ার করার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। যদিও অনেকেই শিশুদের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে।

৪. বর্তমান অবস্থান :যেখানে সেখানে সেলফি তুলে লোকেশন ট্যাগ করে দেওয়াটা অনিরাপদ। এর মাধ্যমে যে কেউ আপনার সবশেষ অবস্থান জানতে পারে। ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে।

৫. কখন এবং কোথায় যাচ্ছি :দেখা যায়, আমরা কখন, কোথায় যাচ্ছি কিংবা ভ্রমণে বের হচ্ছি সে বিষয়টি ফেসবুকে জানিয়ে দিই, যা মোটেও নিরাপদ নয়। হয়তো শত্রুপক্ষ আপনার এমন তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল।

৬. নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করা :অনেক সময় ফেসবুকে নিজের অবস্থানের নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করে দেন অনেকেই। ওই সময় আপনার প্রোফাইল যে ভিজিট করবে, সে জানতে পারবে এখন আপনি কোথায় আছেন। সেটি বাসায় কিংবা অফিসে হোক। দেখা গেল, এভাবে কেউ আপনার বাসা ও অফিসের ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখল। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে আপনার ক্ষতি করল। আর এজন্য ফেসবুকে লোকেশন ট্যাগ করা মোটেও নিরাপদ নয়।

৭. ফোন বা মোবাইল নম্বর :অনেকেই মোবাইল কিংবা ফোন নাম্বার ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন, যা সম্পূর্ণভাবে অনিরাপদ। মোবাইল বা ফোন নম্বর ব্যক্তিগত গোপনীয় জিনিস। পরিচিত ব্যক্তিদের ছাড়া কাউকে ফোন কিংবা মোবাইল নম্বর দেওয়া নিরাপদ নয়।

৮. ক্রেডিট কার্ডের তথ্য :ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে গোপন ও স্পর্শকাতর বিষয়। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইট বুঝেই দিতে হবে। যাতে আপনার দেওয়া তথ্য তাদের কাছে সুরক্ষিত থাকে।

এ বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করে এখন থেকেই শুরু হোক আপনার সচেতন পথচলা।

*Author :  রিয়াদ খন্দকার
* Courtesy : ইত্তেফাক (২০ জুলাই, ২০১৬)

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 29.07.2018 || 🇧🇩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা...

**প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা... ১) মন শুধু মম ছুঁয়েছে- সোলস ২)নিঃস্ব করেছ আমায় - শাফিন ৩)ফিরিয়ে দাও- মাইলস ৪)শ্রাবনের মেঘগু...