নামায ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোন ব্যক্তির ঈমান আনার সাথে সাথেই তার উপর যে ইবাদত সর্ব প্রথম ফরয হয়, তা হলো নামায। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের মাধ্যমে একজন মুসলমান তার বিশ্বাসের সাক্ষ্য প্রদান করে।
ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও এশা; এই পাঁচ ওয়াক্তের নামাযের মাধ্যমে একজন মুসলমান দিনে পাঁচবার নিজের বিশ্বাসের স্বীকারোক্তি ও তার উপর আল্লাহর প্রদত্ত দায়িত্বকে স্মরণ করে নেয়।
যোহর থেকে এশা পর্যন্ত মোট চার ওয়াক্তের নামায যথাসময়ে আদায় করতে আমাদের তেমন সমস্যা হয় না। অনেকটা সহজেই আমরা তা আদায় করে নিতে পারি। কিন্তু ফজরের নামায যথাসময়ে আদায় করতে আমাদের অনেককেই বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। যথাসময়ে ঘুম থেকে উঠতে না পারার কারণে আমাদের প্রায়ই ফজর কাযা হয়ে যায়।
ভোরে সুবহে সাদিকের মুহূর্ত থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘন্টা সময় ফজরের নামায আদায়ের নির্ধারিত ওয়াক্ত বা সময়। কিন্তু নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ঘুম থেকে উঠতে আমাদের অনেকেরই কষ্ট হয়।
প্রধানত আমাদের অলসতার কারণেই আমরা যথাসময়ে ফজরের নামায আদায় করতে পারি না। আমাদের অন্যান্য জরুরী কাজের মত যদি আমরা প্রতিদিন ফজরের নামায আদায়কে গুরুত্ব দিতে পারি, তবে আমাদের যথাসময়ে ফজরের নামায আদায় করতে কোন ত্রুটি হতো না।
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا
“লোকে যদি জানতো যে ইশার নামায ও ফজরের নামাযের কি পুরস্কার রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা নামায আদায় করতে আসতো।” [মুসলিম, হাদীস নং: ১০৮৮]
হযরত আবু যুহাইর উমারাহ রুওয়াইবা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَنْ يَلِجَ النَّارَ أَحَدٌ صَلَّى قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ ، وَقَبْلَ غُرُوبِهَا
“যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বের নামায (ফজর) ও সূর্যাস্তের পূর্বের নামায (আসর) আদায় করবে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।” [মুসলিম, হাদীস নং: ১০৪৯]
সুতরাং, এত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদান থাকা সত্ত্বে ফজরের নামায আদায়ে আমাদের কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়।
নিম্নে ফজরের নামায আদায়ে সহায়ক ১০টি পরামর্শ পেশ করা হল–
১. আপনি যদি ফজরে উঠতে দৃঢ় ইচ্ছা করেন তবে কখনোই রাত জাগবেন না। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন যাতে করে একদিকে আপনার ঘুমও পূর্ণ হয়, অন্যদিকে যথাসময়ে ফজরের জন্য উঠতে পারেন। রাসূল (সা.) এশার নামাযের পরপরই ঘুমাতে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বিজ্ঞানও এই অভ্যাসের যথার্থতার প্রমাণ প্রকাশ করেছে।
২. ঘুমাতে যাওয়ার আগে অযু করে নিন। যদি আপনি পবিত্র অবস্থায় ঘুমাতে যান, তবে ফেরেশতারা আপনার ঘুম থেকে জাগার আগ পর্যন্ত আপনার জন্য দুআ করতে থাকবে।
৩. ডান কাত হয়ে ঘুমান। রাসূল (সা.) ঘুমানোর সময় ডান কাত হয়ে ডান হাতকে ডান গালের নিচে রেখে ঘুমাতেন। রাসূল (সা.) এর অনুকরণে ঘুমের জন্য শোওয়ার এই অবস্থা একদিকে যেমন ঘুমের জন্য সহায়ক, অন্যদিকে ফজরে যথাসময়ে ঘুম থেকে ওঠার জন্যও কার্যকর।
৪. আল্লাহর কাছে আন্তরিকতার সাথে বেশি বেশি দুআ করুন, যাতে আল্লাহ আপনাকে যথাসময়ে ফজরের নামায আদায়ে সামর্থ্য ও শক্তিদান করেন। আল্লাহর কাছে যদি আপনি আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করতে পারেন, তবে আল্লাহও আপনার প্রার্থনাকে কবুল করবেন।
৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় কুরআন থেকে কিছু আয়াত তিলাওয়াত করে নিন। বিশেষ করে সূরা সাজদাহ, সূরা মুলক, সূরা ইসরা, সূরা যুমার, সূরা কাহাফের শেষ চার আয়াত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ইত্যাদি এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
৬. একাধিক অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন। আওয়াজ যত বেশি হবে, ততই ভালো! অ্যালার্ম ঘড়ি হাতের কাছে বা বিছানার পাশে না রেখে দূরে রাখুন, যাতে করে আপনাকে বিছানা থেকে উঠে গিয়ে ঘড়ি বন্ধ করতে হয়। এতে ঘুম থেকে ওঠার পাশাপাশি আপনার নিদ্রার ভাব কাটার জন্যও সহায়ক হবে।
৭. পরিবারের সদস্যদের বলুন, যদি তারা উঠতে পারে তবে যেন ডেকে দেয়। তেমনিভাবে আপনি উঠতে পারলেও তাদের ফজর নামাযের জন্য ডেকে দিন।
৮. ফজরের নামায আদায়ে যথা সময়ে ওঠার জন্য বন্ধুদের কাছে সাহায্য চাইতে পারেন। যদি তারা উঠতে পারে, তবে তারা যেন ফোন কলের মাধ্যমে আপনাকে ফজরের জন্য ডেকে দেয়। তেমনি আপনিও আপনার বন্ধুদের ফজরের নামায আদায়ে সাহায্য করুন।
৯. নিজেকে পুরস্কার দিন। যদি আপনি ফজরে উঠতে পারেন, তবে আপনার প্রিয় ফ্লেভারের কফি বা চকলেট দিয়ে নিজেকে পুরস্কৃত করুন।
১০. বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের ঘুম দেড় ঘন্টার একটি চক্র অনুসরণ করে। সুতরাং, আপনি যদি দেড় ঘন্টা বা এর গুণিতক সময় যথা তিন ঘন্টা, সাড়ে চার ঘন্টা বা ছয় ঘন্টা ঘুমান, তবে আপনি ক্লান্তিহীনভাবে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। তা না হলে আপনি যত সময়ই ঘুমান না কেন, আপনার ক্লান্তি দূর হবে না। সুতরাং, আপনি যদি রাত বারোটায় ঘুমাতে যান এবং ফজরের সময় যদি পাঁচটার দিকে হয়, তবে সাড়ে চারটার দিকে অ্যালার্ম দিন। ঘুমের চক্র পরিপূর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ক্লান্তিহীনভাবে আপনি ঘুম থেকে উঠতে পারবেন।
*Collected.
﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
** Note: ® [This is one of my Favorite Islamic Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog "Bohemian's Diary" (former, Dnumkeatu's Diary) - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]
﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
*** N.B : [All the post on this blog "Bohemian's Diary" (former, Dnumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Bohemian's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]
*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷
*** Posted by : © "Bohemian's Diary" (former, Dhumkeatu's Diary) || 28.09.2019 || 🇧🇩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন