বহু মানুষ এমন রয়েছে, যারা অন্যদের কাছে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। নিয়মিত নামাজ পড়ে, দ্বিনদার, ধার্মিক, আলেম কিংবা আল্লাহওয়ালা হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে।
প্রকাশ্যে তাকে পাপ কাজ করতে দেখা যায় না। কিন্তু গোপনে গোপনে তিনি নানা ধরনের গোনাহের কাজে লিপ্ত। অনেকে তো প্রকাশ্যে ভালো মানুষ হলেও গোপনে কবিরা গোনাহ করে। এটি একদিকে মুনাফেকি, অন্যদিকে ধীরে ধীরে তার আমল ও ইবাদত নষ্ট করে দেয়। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন পাপ বর্জন করো, যারা পাপ করে, অচিরেই তাদের পাপের সমুচিত শাস্তি দেওয়া হবে। ’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১২০)
এ ধরনের গোপন পাপ কথার দ্বারাও হতে পারে, চিন্তা বা নিয়তের দ্বারাও হতে পারে, আবার কর্মের দ্বারাও হতে পারে। গোপনে গাইরুল্লাহর নাম নিয়ে পশু জবাই করা—কথার গোপন পাপ। রিয়া বা অন্যকে দেখানোর জন্য ইবাদত করা—নিয়ত বা চিন্তার গোপন পাপ। আর অপ্রকাশ্য ব্যভিচার বা গোপন জিনা—কর্মগত গোপন পাপ।
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘বলে দাও, নিশ্চয়ই আমার রব হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা আর পাপ এবং অসংগত বিরোধিতা এবং কোনো কিছুকে আল্লাহর শরিক করা—যার কোনো সনদ তিনি প্রেরণ করেননি। আর আল্লাহ সম্পর্কে এমন কিছু বলা, যা তোমরা জানো না। ’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩৩)
প্রকাশ্য গোনাহের চেয়ে গোপনে করা গোনাহ বেশি ভয়াবহ। কেননা যখন কেউ গোপনে গোনাহ করতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন অন্তর থেকে আল্লাহর ভয় বিদায় নিয়ে নেয়। ক্রমাগত সে ধ্বংস ও অধঃপতনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। অবস্থা কখনো এত ভয়ানক হয় যে তার ঈমান পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায় এবং ঈমানহীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বর্তমান সময়ে গোপন গোনাহের সরঞ্জাম অনেক বেশি, আর উপকরণগুলোও সহজলভ্য। তাই সমাজের মানুষ দিন দিন গোপন গোনাহে বেশি জড়িয়ে পড়ছে। সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া দ্বিনদার শ্রেণির মানুষ থেকে শুরু করে আলেমরাও বাদ পড়ছেন না।
আল্লামা ইবনে জাওজি (রহ.) বলেন, ‘সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত সে, যে মানুষের সামনে ভালো আমল করে, কিন্তু যে মহান সত্তা তার শাহ রগ থেকেও অধিক নিকটবর্তী, তার সামনে বদ আমল করে। ’ বলা হয়, ‘গোপন গোনাহ ও অবাধ্যতার কারণে মানুষের খারাপ মৃত্যু (অপমৃত্যু) হয়।’
**গোপন গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার উপায় :
এক. আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি কান্নাকাটি করে দোয়া। তিনি যেন তার অবাধ্যতা, নাফরমানি ও সব ধরনের গোনাহ থেকে রক্ষা করেন।
দুই. নফস তথা আত্মার সঙ্গে মোজাহাদা (লড়াই) করা, মনের কুমন্ত্রণা দূর করা এবং আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করা।
তিন. কিয়ামতের দিন গোপন গোনাহকারীদের আমলগুলো ধূলিকণার মতো উড়িয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করা। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি আমার উম্মতের কিছু মানুষ সম্পর্কে জানি, যারা কিয়ামতের দিন তিহামার (বিখ্যাত পাহাড়) শুভ্র পর্বতমালা সমতুল্য নেক আমল নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু আল্লাহ সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন। হজরত সাওবান (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তাদের পরিচয় পরিষ্কারভাবে আমাদের কাছে বর্ণনা করুন। যাতে অজ্ঞাতসারে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত না হই। তিনি বললেন, তারা তোমাদেরই ভ্রাতৃগোষ্ঠী এবং তোমাদের সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতোই ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক, যারা একান্ত গোপনে আল্লাহর হারামকৃত কর্মে (গোপন গোনাহ) লিপ্ত হবে। ’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪১৮)
চার. আল্লাহ তাআলার উপস্থিতির কথা চিন্তা করা। তিনি আমাকে সর্বদা দেখছেন এবং এ ব্যাপারে তাঁকে ভয় করা। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘...নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর পর্যবেক্ষক। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১)
পাঁচ. গোনাহ করার সময় এ কথা চিন্তা করা, কেউ কি দেখলে আমি এমন গোনাহ করতে পারতাম? এভাবে নিজের ভেতরের লজ্জাবোধ জাগ্রত করা। এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার পরিবারের কোনো প্রভাবশালী সদস্যকে যেমন লজ্জা পাও, আল্লাহকে (কমপক্ষে) তেমন লজ্জা করো। ’ (মুসনাদুল বাজ্জার : ৭/৮৯)
ছয়. এ চিন্তা করা, গোনাহরত অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলে কিভাবে আমি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব? মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তিকে (কিয়ামতের দিন) ওই অবস্থায় ওঠানো হবে, যে অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেছে। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২০৬)
সাত. আল্লাহর নিয়ামত ও জান্নাতের সুখ-শান্তির কথা স্মরণ করা এবং জাহান্নামের আজাব ও ভয়ানক শাস্তি কল্পনা করা।
আট. অবসরে জিকির ও ফিকিরে থাকার চেষ্টা করা। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে নিদর্শনাবলি রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে আর বলে, হে আমাদের রব! আপনি এগুলো নিরর্থক সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্র। আপনি আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। ’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯০-১৯১)
গোপন গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে একাকী না থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আলেম-উলামারা। ভালো মানুষের সান্নিধ্যে থাকা, অবসর সময়ে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার ও ইসলামী বই বেশি বেশি অধ্যয়ন করা। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও। ’ (সুরা : তওবা, আয়াত : ১১৯)
মহান আল্লাহ আমাদের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য পাপ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
**Collected.
﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog "Bohemian's Diary" (former, Dnumkeatu's Diary) - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]
﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
*** N.B : [All the post on this blog "Bohemian's Diary" (former, Dnumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Bohemian's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]
*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷
*** Posted by : © "Bohemian's Diary" (former, Dhumkeatu's Diary) || 06.11.2019 || 🇧🇩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন