জীবনের তাগিদে মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে হয়। রাস্তায় চলতে হয়।
ইসলাম যেহেতু একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। তাই ইসলামে রাস্তায় চলাফেরারও কিছু বিধি-বিধান রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা রাস্তার উপর বসা ছেড়ে দাও। লোকজন বলল, এ ছাড়া আমাদের কোনো পথ নেই। কেননা, এটাই আমাদের উঠাবসার জায়গা এবং আমরা এখানেই কথাবার্তা বলে থাকি। রাসুল (সা.) বলেন, যদি তোমাদের সেখানে বসতেই হয়, তবে রাস্তার হক আদায় করবে। তারা বলল, রাস্তার হক কী? তিনি (সা.) বললেন, দৃষ্টি অবনমিত রাখা, কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা, সালামের জবাব দেওয়া, সৎকাজের আদেশ দেওয়া এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করা। (বুখারি, হাদিস : ২৪৬৫)
উল্লিখিত হাদিসের মাধ্যমে কয়েকটি জিনিস স্পষ্ট হয়। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো -
রাস্তা দখল করা :
অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন মানুষ রাস্তার ওপর বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দেয়।
কেউ আবার রাস্তা দখল করে সেখানে ছোট পরিসরে দোকান বসিয়ে দেয়। যা পথচারীদের জন্য কষ্টের কারণ হয়। রাসুল (সা.) এ কারণেই হয়তো রাস্তায় বসতে নিষেধ করেছেন। হাদিসের ভাষ্য দ্বারা বোঝা যায়, রাসুল (সা.) এভাবে রাস্তা দখল করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া পছন্দ করতেন না।
দৃষ্টি অবনত রাখা :
রাস্তায় গেলে দৃষ্টিকে অবনত রাখা। কারণ তা না হলে মানুষ অনেক ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। কেউ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে ইভ টিজিংয়ে জড়ায়। কেউ আবার বিকৃত রুচির কারণে গোপনে নারীদের যৌন হয়রানি করার চেষ্টা করে। এ কারণেই পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। (সুরা নুর, আয়াত : ৩০)
একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, ‘দেশের গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় ৯৪ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দ্বারাই নারীরা বেশির ভাগ যৌন হয়রানির শিকার হয়, এই হার ৬৬ শতাংশ। ’ এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মূল কারণ হচ্ছে, মানুষের মন থেকে আল্লাহর ভয় উঠে যাচ্ছে। মানুষ আল্লাহর দেওয়া আইন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে সবার সচেতন হতে হবে। আল্লাহকে ভয় করতে হবে। এবং আল্লাহর দেখানো পথে চলতে হবে।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৯)
কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা :
রাস্তাঘাটে মানুষের জন্য কষ্টদায়ক হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। যেমন ধূমপান করা, কাউকে গালাগাল করা, রাস্তায় ময়লা ফেলা, পেশাব-পায়খানা করা ইত্যাদি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে তাদের কৃত কোনো অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয় তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ। ’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৮)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, তোমরা দুটি অভিশপ্ত কাজ থেকে দূরে থাকবে। সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, অভিশপ্ত কাজ দুটি কী হে আল্লাহর রাসুল? নবী (সা.) বলেন, মানুষের যাতায়াতের পথে অথবা (বিশ্রাম নেওয়ার) ছায়াবিশিষ্ট জায়গায় পেশাব-পায়খানা করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫)
সালামের জবাব দেওয়া :
সালাম এক মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের সদ্ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক উত্তম ওই ব্যক্তি, যে আগে সালাম দেয়। ’ (আবু দাউদ : ৫১৯৭)। এ কারণে রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় সবাইকে সালাম দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। কেউ সালাম দিলে তার সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। আমরা অনেক সময় কেউ সালাম দিলে তার সালামের উত্তর না দিয়ে চলে যাই। এটি সরাসারি আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করার নামান্তর। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৮৬)
সৎ কাজের আদেশ করা : রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব হলো সৎ কাজের আদেশ করা। মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহবান করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১০৪)
অন্যায় কাজে বাধা দেওয়া :
যেকোনো অন্যায় দেখলে সাধ্যমতো তাতে বাধা দেওয়া একজন মুমিনের কর্তব্য। এটিই শ্রেষ্ঠ মুমিনের বৈশিষ্ট্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করবে। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
*Collected.
﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
** Note: ® [This is one of my Favorite Islamic Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog "Bohemian's Diary" (former, Dnumkeatu's Diary) - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]
﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
*** N.B : [All the post on this blog "Bohemian's Diary" (former, Dnumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Bohemian's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]
*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷
*** Posted by : © "Bohemian's Diary" (former, Dhumkeatu's Diary) || 24.02.2020 || 🇧🇩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন