মন খারাপ থাকা বিষন্নতায় উপসর্গ হলেও, ছোটখাটো মন খারাপ থাকা মানেই সেটি বিষন্নতা নয়। বিষন্নতা একটি ভয়াবহ রোগ, যা তিলে তিলে শেষ করে দেয় জীবনীশক্তি। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস তীব্র মন খারাপ থাকা কাউকে ধাবিত করতে পারে আত্মহত্যার দিকে। আমরা চারপাশজুড়েই এমন অনেকেই আছেন, যাদের মাঝে তীব্র মন খারাপ থাকার সবগুলো লক্ষণই দেখতে পাই। তবু ‘কী আর হবে, সব ঠিক হয়ে যাবে’- এসব ভেবে তাকে এড়িয়ে যাই, যা একদমই অনুচিত। হয়তো আপনার একটি অনুপ্রেরণাদায়ী কথাই ঘুরিয়ে দিতে পারতো তার জীবনের মোড়! তবে শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে উপদেশ দিতে গিয়ে আমরা যেন এমন কিছু কিছু না বলি, যাতে বরং হিতে বিপরীত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। যেমন-
* ‘আরে ধুর,তোমার চেয়ে আরো বড় বড় সমস্যা নিয়ে মানুষ ঘুরে!’
বিষন্নতায় আক্রান্ত কোন লোককে এরকম বলা খুবই অযৌক্তিক ও হাস্যকর। কারণ, অন্যদের বড় সমস্যা থাকলেও তাতে তার সমস্যা কমে যাবে না।
-> বরং বলুন – “ভীষণ খারাপ লাগছে আপনার খারাপ লাগা অনুভব করে। আমি কি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি?”
* 'নিজের উপর বিশ্বাস রাখো। খুব জলদিই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
বিষন্নতার মতন রোগ সহসা কাটে না, কমে না। তাই এই মিথে আশ্বাস বরং ভুল বার্তা দিতে পারে।
-> বরং বলুন – ‘সব কিছু ধাপে ধাপে ঠিক হবে। আমি তো আছিই তোমাকে সাহায্য করার জন্য!’
* 'জীবনটা আনফেয়ার!’
থামুন! এই কথাটা ঠিক কীভাবে তাকে সাহায্য করবে? এতে জীবন নিয়ে যে তার হতাশাবোধ, সেটাই প্রতিষ্ঠিত হবে।
-> বরং বলুন – ‘তোমার সাথে যা হয়েছে, তা দুঃখজনক হলেও সত্যি। কিন্তু তোমাকে সেই হতাশা কাটিয়ে উঠতেই হবে। আমরা দুজন মিলে পরিস্থিতি সামলে নেব।’
* 'মানিয়ে নাও’
বিষন্নতায় আক্রান্ত মানুষেরা প্রতিনিয়ত মানিয়ে নেয়ারই চেষ্টা করছে। কাজেই একই কথা তাদের আবার বলা মানে মনে করিয়ে দেয়া যে, তারা এখনো মানিয়ে নিতে পারেনি।
-> বরং বলুন- ‘এই খারাপ লাগার পথ তোমাকে আর একা একা অতিক্রম করতে হবে না। আমি আছি এখন থেকে।’
* 'জীবন কখনো থেমে থাকে না’
হ্যাঁ, সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সেটা সত্যি। কিন্তু যাকে বলছেন, তার জীবন কিন্তু কোন কিছুতেই আটকে আছে, থেমে আছে সত্যি সত্যি!
-> বরং বলুন- ‘বেঁচে থাকার জন্য জীবনে আরও অনেক অনেক কারণ আছে, তোমার জীবন এতটাই মূল্যবান। চলো দুজন মিলে সেই কারণগুলো খুঁজে বের করি।’
* ‘আমি জানি তোমার কেমন লাগছে, আমিও একসময় এই সমস্যায় ভুগেছি।’
প্রত্যেকের জীবন যেমন আলাদা, সমস্যার ধরণও আলাদা। তাই একজনের সমস্যা সমাধান করার প্রক্রিয়া আরেকজনের কাজে আসবে না। হয়তো আপনি আপনার পূর্বের খারাপ লাগা থেকে তাকে এ কথা বলে সাহায্য করতে চাইছেন। কিন্তু আপনি নিশ্চিত তো, আপনার সেই খারাপ লাগা কি বিষন্নতার মতো গভীর পর্যায়ে ছিল আদৌ?
-> বরং বলুন – ‘আমি ভাবতেও পারছি না তুমি কী ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছো। কিন্তু আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে তোমাকে বুঝতে চেষ্টা করব, তুমি আমার সাথে শেয়ার করো।’
* 'একটু ঘোরাঘুরি করো, বন্ধুদের সাথে মজা করো, সিনেমা দেখো। মন ভালো হয়ে যাবে।’
এই একই জিনিস ভিক্টিম কতবার করবে? সবাই তাকে একই কথা বলবে, এমনকি পরিবারের সদস্যরাও হয়তো একই কথা বলছে। এসবে আসলে মূল সমস্যাটাই আড়াল হচ্ছে বারংবার। বিষন্নতা সাধারণ মন খারাপ বা খারাপ মুড নয় যে একটু চিল করলেই তা ঠিক হয়ে যাবে!
-> বরং বলুন – ‘আমার মনে হচ্ছে আমি তোমাকে একেবারেই সময় দিচ্ছি না। আচ্ছা, চলো একদিন সামনাসামনি বসে কথা বলি। চা-কফি কিংবা ফুচকা! কবে বলো?’
* 'তোমার কি মন খারাপ?’
অনেকেই হয়তো কথা বলার শুরুতেই একবার জিজ্ঞেস করেন এ কথা। একজন বিষন্ন মানুষের কাছে আপনি ভালো থাকা প্রত্যাশা করবেন কীভাবে!
-> বরং বলুন – ‘তোমার খারাপ লাগা দেখতে একদমই ভালো লাগে না। আচ্ছা, আমি কী করলে তোমার মনটা ভালো হবে?’
* 'কী উল্টাপাল্টা বলছো!’
ইচ্ছে করে কেউ বিষন্নতার জীবন বেছে নেয় না। তাই আপনি যখন তাকে এরকম কিছু বলবেন, তাতে অবশ্যই বিরক্তির প্রকাশ থাকবে। এবং স্বাভাবিকভাবেই ভিক্টিম আরও গুটিয়ে যাবে।
-> বরং বলুন – ‘আমি বুঝতে পারছি তোমার ভীষণ খারাপ সময় যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দুজনকে কোনো না কোনো পথ তো খুঁজে বের করতেই হবে। কোনো সমাধানই কি নেই?’
* আমি জানি তুমি মেন্টালি ভীষণ টাফ, তুমি পারবে।’
বিষন্নতা একজন মানুষকে অসহায় বানিয়ে দেয়। সময়ের চোরাবালিতে হারিয়ে যায় সব আত্মবিশ্বাস। তাই এই আশ্বাস তার কাছে মনে হতে পারে বায়বীয়, কারণ সে হয়তো একাকীত্ব বোধ করছে!
-> বরং বলুন – ‘নিজের উপর আস্থা রাখো। তুমি পারবেই। কারণ তুমি একা নও। আমি আছি তোমার পাশে।’
(ব্রাইটসাইড অবলম্বনে)
* News Link : https://brightside.me/article/ten-things-you-should-never-say-to-depressed-people-79105/
★. Courtesy : এগিয়ে চলো। egiye-cholo।
﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
*** নোটঃ - (আপনার সুবিধামতো সময়ে পড়তে টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন। প্রয়োজনীয় মূর্হুতে খুঁজে পেতে পোষ্টটির লিংক সেইভ রাখুন। না হলে পরে আবার খুঁজতে হবে... এবং কোন মন্তব্য দেওয়ার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।)
﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]
*** Image source : ©
﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]
*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷
*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 16.06.2018 || 🇧🇩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন