সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮

বৈজ্ঞানিক গবেষণার আলোকে রোজা ও স্বাস্থ্যের উপকার

★. "বৈজ্ঞানিক গবেষণার আলোকে রোজা " :

"রমযান মাসের রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে চতুর্থ। আল্লাহর কাছে রোজা এতটাই গুরুত্ব বহন করে যে, হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রোজা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব’।
রোজা পালন করতে গিয়ে একজন মুসলিমের রমযান মাসের প্রতিদিন সূবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হয়। এছাড়াও মুসলিমরা এই সময় সকল প্রকার ঝগড়া-বিবাদ, মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থেকে নিজেদের মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। এ কারণে রোজা যে শুধু মাত্র আধ্যাত্মিক উন্নতিই সাধন করে তা নয়, বরং শারীরিক ও মানসিক উন্নতিও ঘটায়।

জীব বিজ্ঞানের গবেষণার ফলে আমরা জানি যে, প্রতিটি প্রাণীর শরীর একটি উচ্চতর এবং সুক্ষ্ম জৈব রাসায়নিক কারখানা এবং এটিকে সচল রাখতে প্রয়োজন হয় শক্তি। উক্ত শক্তির যোগান দিতে স্রষ্টা জীবজগতের জন্য নানা প্রকারের খাদ্যদ্রব্যের ব্যবস্থা করেছেন। সাধারণত: একজন মানুষের এই শক্তি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে কমপক্ষে দৈনিক তিন বার খাদ্য দ্রব্য গ্রহণ করতে হয়। তবে মানুষ উন্নত আত্মা সম্পন্ন জীব হওয়ায় মানুষের সঙ্গে অন্যান্য পশুর পার্থক্য হলো মানুষ তার ক্ষ্মুত্-পিপাসা এবং যৌন প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। রমযান মাস প্রকৃতপক্ষে মানুষকে নিজের প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষা দেয়।

প্রশ্ন হল, রোজার সময় দিনের বেলা পানাহার থেকে বিরত থাকা আমাদের শরীরকে কিভাবে প্রভাবিত করছে। রোজা আমাদের শরীরের জন্য কি আদৌ উপকারী, না কি রোজা আমাদের শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেক মুসলিম এবং অমুসলিম বিজ্ঞানী এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ও গবেষণা চালিয়েছেন এবং চালাচ্ছেন। আলোচ্য প্রবন্ধে বৈজ্ঞানিক গবেষণার আলোকে রোজার অবস্থান সম্পর্কে আমরা জানতে চেষ্টা করবো।

*. স্বাস্থ্যের উপর পরিমিত খাবারের প্রভাব :

আমাদের খাদ্যদ্রব্যের পরিমাপের সুবিধার্থে যে একক ব্যবহার করা হয় তাকে ক্যালরী বলে। ম্যাক কে এবং তার সহযোগী বৈজ্ঞানিক দলের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, দৈনন্দিন খাদ্যদ্রব্য হিসেবে গৃহীত মোট ক্যালরীর পরিমাণ কমিয়ে আনা হলে জীবনকাল বাড়ে।

১৯৮৯ সালে নিউট্রশন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার পর অনেক বিজ্ঞানী ক্যালরী রেস্ট্রিকটেড ডায়েট এবং বিভিন্ন ধরণের ফাস্ট (তথা উপোস থাকা)-এর উপর গবেষণায় আগ্রহী হয়ে উঠেন। লক্ষণীয় ইসলাম ব্যতীত অন্যান্য ধর্মেও বিভিন্ন ধরণের উপোস থাকার ধর্মীয় রীতির প্রচলন আছে। যেমন-অর্থোডক্স ক্রিশ্চিয়ানদের ক্যালরী রেস্ট্রিকটেড ফাস্টিং-যেখানে দৈনন্দিন গ্রহীত খাবারের ৪০% কমিয়ে আনা হয়, অল্টারনেট ডে ফাস্টিং-যেখানে একদিন পরপর ২৪ ঘন্টার জন্য পানি ব্যতীত সব ধরণের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হয়।

ক্যালরী রেস্ট্রিকশনের উপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, দিনের গৃহীত ক্যালরীর পরিমাণ কমিয়ে আনলে তা শারীরিক স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং বেশ কিছু জটিল  অসুখের ফলে সৃষ্ট জটিলতা কমিয়ে আনে। যেমন-রক্তনালীতে চর্বি জমে সৃষ্ট অ্যাথেরোস্ক্লোরোসিস, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হূদরোগ, কিডনি রোগ এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ।

*. রোজায় মানবদেহের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন:

মানব শরীরে যে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক উপাদান নিয়ে গঠিত তা হল:আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, মিনারেল ও পানি। মানুষের দৈনন্দিন কাজ কর্মে যে শক্তি ব্যয় হয় তা আসে খাদ্য থেকে। সাধারণত: খাদ্য গ্রহণ এবং শক্তি ব্যয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় থাকতে হয়। দীর্ঘ দিন ধরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরে তা অতিরিক্ত মেদ হিসেবে জমা হয় এবং প্রয়োজনের চেয়ে কম খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের স্বাভাবিক গঠন ভেঙ্গে যেতে থাকে। যেহেতু মুসলিমদের দীর্ঘ একটি মাস রোজা রাখতে হয়, স্বাভাবিকভাবেই এতে ওজন কিছুটা হ্রাস হয়। তবে সাহরী ও ইফতার নামক সুন্দর ব্যবস্থার কারণে এই ওজন কমে যাওয়ার হার আশংকাজনক পর্যায়ে হয় না। রোজার সময় মানবদেহে শারীরবৃত্তীয় কি কি ধরণের পরিবর্তন হয় তা জেনে নিলে আমাদের জন্য মানবদেহে রোজার প্রভাব বুঝতে সুবিধা হবে।

রোজার সময় সাহরীতে যে খাবার গ্রহণ করা হয় তা সারাদিনের উপোষের প্রাথমিক সঞ্চয় হিসেবে লিভারে শর্করা জমা হতে সাহায্য করে। এরপর দিনের কাজ কর্মের মধ্য দিয়ে যে শক্তি ব্যয় হয় তার একটি অংশ উক্ত শর্করা হতে আসে এবং একটি অংশ আসে রমযান মাসের পূর্বে এবং রমযান মাসে ইফতার থেকে সাহরী পর্যন্ত খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে শরীরের এডিপোজ টিস্যুতে জমাকৃত চর্বি বিপাকের মাধ্যমে। ফলে রমযান মাস শেষে একজন রোজাদারের শরীরের কিছুটা ওজন হ্রাসও হতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে ইফতার ও সাহরীর সময় এবং তত্মধ্যবর্তী সময়ে রোজাদারের খাদ্যাভ্যাসের উপর। লক্ষণীয়, অন্যান্য সময় মুসলিমরা তিনটি প্রধান মিল (সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার) গ্রহণ করলেও রমযানে দুটো প্রধান মিল (সাহরী ও ইফতারের খাবার) গ্রহণ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, রমযান মাসে মুসলিমদের খাবারের সময়ের সাথে সাথে খাবারের ধরণেও বেশ পরিবর্তন আসে। আমাদের দেশে রমযান মাস এলে ইফতারের সময় আলুর চপ, পেয়াজু, বেগুনী জাতীয় ভাজাপোড়া খাবারের সাথে হালিম, ছোলা, মুড়ি ইত্যাদি খাওয়া হয়। এছাড়া খেজুরসহ বিভিন্ন ফল ও ফলের রস, চিড়া, দধি, কলা প্রভূতি খাবার গ্রহণ করা হয়। বিরিয়ানী, তেহারী, পোলাউ জাতীয় খাবার গ্রহণের প্রবণতাও বেড়ে যায়। জনাব জি ফ্রস্ট ও এস পিরানী ১৯৮৭ সালে ১৫ জন সৌদি যুকবের উপর গবেষণা চালিয়ে দিখেন যে, রমযান মাসে যদিও তাদের খাবার গ্রহণের বারের সংখ্যা কমে গিয়েছে, অপরদিকে শর্করা, প্রোটিন এবং চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। রোজার সময় যেহেতু পানি পান থেকেও বিরত থাকতে হয়, সেহেতু দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে ঘাম, মল ও মূত্রের মাধ্যমে পানির পরিমাণ কমে যায়। এ অবস্থায় বিভিন্ন হরমোনের মাধ্যমে কিডনি রক্তে পানি ধরে রাখার চেষ্টা করে।

*. শরীরের চর্বি ও ওজনের ওপর রোজার প্রভাব :

রোজারত মুসলিমদের শরীরের চর্বি, ওজন এবং বডি ম্যাস ইনডেক্স নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা চালিয়েছেন। তাদের গবেষণার ফলাফল মিশ্র পাওয়া গিয়েছে। অর্থাত্, কোন পরীক্ষায় দেখা গেছে, রমযান মাস শেষে রোজাদারদের ওজন হ্রাস পেয়েছে, কোনটায় অপরিবর্তিত আছে এবং কোনটায় ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, রোজায় মানুষের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন। যদিও দিনের বেলা তারা না খেয়ে থাকছে, ইফতারের সময় বেশি পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করছে। এছাড়া সাহরীর সময়ও বেশী ক্যালরী সঞ্চয় করে নেয়ার জন্য বেশী খাচ্ছে। ২০১২ সালে ট্রাবেলসী এবং তার সহযোগীরা দুই ধরণের রোজাদারদের ওপর গবেষণা চালান। যাদের একদল ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে এরোবিক এক্সারসাইজ যেমন-সাইকেল চালানো ও সাতার কাটা অনুশীলন করেছেন এবং আরেক দল ইফতারের পর একই অনুশীলনগুলো করেছেন। তারা দেখেন যে, রোজা শেষে প্রথমোক্ত দলের শরীরের চর্বি কমলেও পরবর্তী দলে তা অপরিবর্তিত রয়েছে।
২০১৩ সালে ঐ একই বিজ্ঞানীদের গ্রুপ তিউনিশিয়ান বডি-বিল্ডারদের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায় যে, রোজা শেষে তাদের বডি ফ্যাট ও লিন বডি ম্যাস (চর্বিহীন শরীরের মূল ওজন)-এ কোন পরিবর্তন আসে নি। এর কারণ হিসেবে ধারণা করা হয় যে, বডি-বিল্ডিং-এ শক্তির খরচ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এ রকম হয়েছে।

সুতরাং উপরোক্ত গবেষণাগুলো থেকে ধারণা করা হয় যে, রমযান মাসে ইফতার ও সাহরীর সময় খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ওজন কমবে। যাদের বডি ম্যাস ইনডেক্স আদর্শ সীমা অতিক্রম করে গেছে যা ২৪ ও তার বেশী, তারা রমযান মাসকে ওজন কমানোর জন্য একটি উত্তম সময় হিসেবে নিতে পারেন।

লেখক:পরিচালক
দি লিভার সেন্টার, ঢাকা, বাংলাদেশ। ★★. "রোজা রাখলে রোগ ও স্বাস্থ্যের উপকার" ০৪ জুন, ২০১৬ ইং ০০:০০ মিঃ
-----অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম আব্দুল্লাহ।

প্রত্যেক মুমিন মুসলমান, সুস্থ অথবা রোগাক্রান্ত সবাই রোজা রাখতে চান এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চান। তবে রমযানে রোগীরা প্রায়ই রোজা রাখবেন কি রাখবেন না তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে ভোগেন। অবশ্য কি কি অবস্থায় রোজা রাখা যাবে বা যাবে না তার সুস্পষ্ট বিধান শরীয়তে আছে। আবার সুনির্দিষ্ট কারণে রোজা না রাখতে পারলে তার পরিবর্তে ক্ষতিপূরনস্বরূপ কাযা, কাফফারা, ফিদিয়া বা বদলী রোজা রাখার সুস্পষ্ট ব্যবস্থা আছে। কিন্তু তারপরও রোজা পারণে যে আনন্দ, অনুভূতি, আত্মিক পরিতৃপ্তি এর সাথে সংযম, কৃপ্রবৃত্তি দমন, লোভ-লালসা, হিংসা, প্রতিহিংসা ইত্যাদি ত্যাগ করার যে আলোকোজ্জ্বল আমে অনুভূতির চর্চা হয় তা রমযানের রোজা ছাড়া অন্য কোনভাবে লাভ করা যায় না। তাই রোগাক্রান্ত অবস্থায়ও অনেকেই রোজা রাখতে চান। অনেকে এমনও বলেন, ‘মরি মরব, বাঁচি বাঁচব, তবুও রোজা ছাড়ব না’।
রমযানে বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক আলসা, শ্বাসকষ্ট, হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদিতে ভুগছেন, তাদের সম্যা হবার সম্ভাবনা থাকে। তবে রোজা রাখা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্ধ থাকলেও রোজা রাখতে তারা প্রবল আগ্রহী। তারা যদি চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী রোজার মাসের জন্য ওষুধ সেবন বিধি ঠিক করে নিতে পারেন, তবে সহজেই তারা রোজা রাখতে পারবেন। এতে রোজা ভাঙ্গার বা রোজা থেকে বিরত থাকার কোন প্রয়োজন হয় না।

*. রোজা, রোগ ও আপনার স্বাস্থ্য:

রোজা রাখার উদ্দেশ্য শরীরকে দুর্বল করে অকর্মন্য করা নয়, বরং শরীরকে সামান্য কিছু কষ্ট দিয়ে দৈহিক ও আত্মীক উত্কর্স সাধন। শুধু তাই নয়, অনেক রোগের বেলায় রোজায় ক্ষতি না হয়ে বরং বহু রোগব্যাধির প্রতিরোধক এবং আরোগ্যমূলক চিকিত্সা লাভে সহায়ক হয়। রোজায় স্বাস্থ্যের সমস্যার চেয়ে বরং স্বাস্থ্যের উপকারই বেশি হয়।

*. ডায়াবেটিক রোগী:

রোজা ডায়অবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রোগীদের জন্য এক সুবর্ন সুযোগ ও রহমত স্বরূপ। ডায়াবেটিক রোগীরা সঠিক নিয়মে রেরজা রাখলে নানা রকম উপকার পেতে পারেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল উপায় হল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, আর রোজা রাখা হতে পারে এক অন্যতম উপায়। এতে সহজেই খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সহজ ওসুন্দরভাবে করা যায়।  যারা ইনসুলিনের উপর নির্ভরশীল নন, তাদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা হতে পারে আদর্শ চিকিত্সা ব্যবস্থা। যারা ইনসুলিন নেন তাদের ক্ষেত্রেও রোজা অবস্থায় ওষুধের মাত্রা কমাতে সহায়ক। শুধু রক্তের গ্লুকোজই নয়, রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণেও রোজা মোক্ষম। এর সাথে সাথে রোজা ডায়াবেটিক রোগীকে সংযম, পরিমিতবোধ ও শৃংখলার শিক্ষা দেয় যা ডায়াবেটিসের চিকিত্সায় অপরিহার্য।

*. রক্তের কোলেস্টেরল :

যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, রোজা তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। রোজ ভাল কোলেস্টেরলকে বাড়াতে এবং মন্দ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে।

*. অতিরিক্ত ওজন:

যাদের ওজন অতিরিক্ত, তাদের ক্ষেত্রে রোজা ওজন কমানোর জন্য এক সহজ  সুবর্ণ সুযোগ। ওজন  কমে যাওয়ার বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায় যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, হূদরোগসহ শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ, বাতের ব্যথা, অস্টিও আরথ্যাইটিস, গাউট ইত্যাদি। আবার ওজন কমাতে পারলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে আসে।

*. হৃদরোগী এবং উচ্চ রক্তচাপ :

রোজার মাধ্যমে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ হওয়ার ফলে যারা হূদরোগে অথবা উচ্চ রক্তচাপে ভুগেন তাদের জন্য রোজা অত্যন্ত উপকারী। এতে শরীরের, বিশেষ করে রক্তনালীর চর্বি হ্রাস পায়। রক্তনালীর এথেরোস্ক্লোরোসিস কমাতে সাহায্য করে, যা হূদরোগের ঝুঁকি কমায় ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

*. পেপটিক আলসার :

এক সময় ধারণা ছিল পেপটিক আসলারে আক্রান্ত রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন না, তাদের ঘন ঘন খাওয়া খেতে হবে, অনেক ক্ষণ পেট খালি রাখা যাবে না। অনেকে মনে করেন রোজা পেপটিক আলসারের ক্ষতি করে এবং এসিডের মাত্রা বাড়ায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এসব ধারণা ঠিক নয়। রোজায় নিয়ন্ত্রিত খাওয়া দাওয়ার ফলে এসিডের মাত্রা কমে যায়। তাই সঠিকভাবে রোজা রাখলে এবং সঠিক খাবার দিয়ে সেহেরি ও ইফতার করলে রোজা বরং আলসারের উপশম করে, অনেক সময় আলসার ভালোও হয়ে যায়। এছাড়া রোজা গ্যাস্ট্রাইটিস, আইবিএস ইত্যাদি রোগেও উপকারী।

*. শ্বাসকষ্ট বা এজমা রোগী:

যারা এই সমস্ত রোগে ভোগেন, তাদেরও রোজা রাখতে কোন অসুবিধা নেই। রোজায় এ ধরণের রোগ সাধারণত বৃদ্দি পায় না। বরং চিন্তামুক্ত থাকায় এবং আল্লাহর প্রতি সরাসরি আত্মসমর্পনের ফলে এ রোগের প্রকোপ কমই থাকে। প্রয়োজনে রাত্রে একবার বা দুই বার ওষুধ খেয়ে নিবেন যা দীর্ঘ ক্ষণ শ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখে। এধরণের ওষুধ বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। দিনের বেলায় প্রয়োজন পরলে ইনহেলার জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যায়, যা রোজার কোন ক্ষতি করবে না।

উপসংহারে বলা যায়, রোজা যেহেতু রোজা যেহেতু আল্লাহ্ তায়ালার জন্য এবং আল্লাহ এর পুরষ্কার দিবেন, তাই কেউ যদি মনে করেন আমি আল্লাহর জন্যই রোজা রাখব, যা হবার হবে, তার কোন সমস্যাই হবে না। আর যারা মনে করবে রোজা রাখলে নানা রকমের সমস্যা হবে, রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে, নানা করম জটিলতা হবে, তাদের বেলায় এসব সমস্যা হবার সম্ভাবনা বেশি। দৈহিক রোজার সাথে সাথে অন্তরের রোজাটাই আসল, তাই কোন অজুহাত বা আলস্য করে রোজা পালন থেকে বিরত থাকা উচিত নয়।

লেখক:ডীন, মেডিসিন অনুষদ
অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

★. Source : দৈনিক ইত্তেফাক।

News Link : 1. http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/health/2016/06/04/123408.html

2. http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/health/2016/06/04/­
123409.html

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 25.06.2018 || 🇧🇩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা...

**প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা... ১) মন শুধু মম ছুঁয়েছে- সোলস ২)নিঃস্ব করেছ আমায় - শাফিন ৩)ফিরিয়ে দাও- মাইলস ৪)শ্রাবনের মেঘগু...