"Celebrating Bachelor/Single Life..." (29Feb)
★★★. "ব্যাচেলর নিয়ে কে কী ভাবছেন......"
"বিশ্বের কিছু দেশে ২৯ ফেব্রুয়ারি ব্যাচেলর ডে
বা সিঙ্গেল ডে হিসেবে পালিত হয়। সে
উপলক্ষেই এই অনুসন্ধানী ফিচার।
*.গবেষক : একজন ব্যাচেলরের সফলভাবে প্রেম চালিয়ে
যাওয়ার সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো সে আর
ব্যাচেলর থাকে না।
*.শিক্ষক : একজন ব্যাচেলরের বয়স তার মানের
ব্যস্তানুপাতিক, বয়স যত বাড়তে থাকে মান তত
কমতে থাকে।
*.চিকিৎসক : প্রকৃতিগতভাবে একজন ব্যাচেলরের
চুল পাকতে পারে, এতে বয়সের সম্পূর্ণ বা
আংশিক কোনো সম্পর্ক নেই।
*.প্রকৌশলী : ব্যাচেলরদের ক্যারেক্টারস্টিকস-
কার্ভ অনেক হাইয়ে থাকে, তা কখনো হয়তো নষ্ট
হতে পারে কিন্তু কখনো লো হবে না, এটা
গ্যারান্টি।
*.অফিসের বস : একজন ব্যাচেলরের অফিসে
খাওয়ার কোনো লাঞ্চ বক্স নেই; কারণ খালি
লাঞ্চ বক্স দিয়ে সে কী করবে?
*.ব্যাচেলর সাহিত্যিক : আমার বাপ-দাদাও একসময়
ব্যাচেলর ছিলেন, এটা আমার জন্য দারুণ
গৌরবের। আমার পরবর্তী বইয়ের নাম একজন
ব্যাচেলরের ৩০ বছর।
*.রাজনৈতিক নেতা : আমি একদিন ব্যাচেলরদের
জন্য পুনর্বাসনকেন্দ্র খুলব, আমি তাদের দুইবেলা
ভাত, তিনবেলা নাশতা খেতে দেব।
ব্যাচেলররাও তাদের অধিকার নিয়ে যুগ যুগ ধরে
সমাজে বেঁচে থাকবে। আর বিয়ের পরও যারা
ব্যাচেলর সেজে মজা নিচ্ছে এবং নিজেদের
বিবাহিত-ব্যাচেলর প্রমাণ করার চেষ্টা করছে,
তাদের প্রতি আমি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ
জানাচ্ছি। এবং এর সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত ও
বিচারেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।
*.মানবাধিকার কর্মী :
ব্যাচেলরকে ভালোবাসুন, সময় দিন, কাছে টানুন,
বিশ্বাস করুন। এরপর আর তারা ব্যাচেলর থাকবে না।
*.বাড়িওয়ালা : ব্যাচেলরদের কাছে আমি
বাড়িভাড়া দিতে চাই না। কারণ আমিও একসময়
ব্যাচেলর ছিলাম এবং আমি জানি ব্যাচেলর কী জিনিস!
*.ব্যাচেলর ভাড়াটে : আমি একজন গর্বিত
ব্যাচেলর। কারণ বাড়িওয়ালার
বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে থাকা
সত্ত্বেও আমাকে বাড়িভাড়া দিয়েছেন।
*.বিবাহিত ব্যাচেলর : যে জীবন থেকে একবার
পালিয়ে গেলে আর ফিরে যাওয়া যায় না,
সেটাই ব্যাচেলর জীবন।
★. Source : "প্রথমআলো >রস+আলো ⁄ সংবাদ>যাপিত রস
ব্যাচেলর নিয়ে কে কী ভাবছেন (২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬)।
★★★. " ব্যাচেলর নিয়মাবলি......."
*. ঘরের চেয়ার বা সোফা ধরনের যেকোনো কিছু হলো
আলনা। দরজার ওপরের কোনাও আলনা। খাটে স্ট্যান্ড
থাকলে সেটাও আলনা।
*. মশারির চার কোনার মধ্যে দুই কোনা জীবনে একবারই
লাগাতে হয়। বাকি দুই কোনা খোলা হলেও ওই দুই কোনা
আজীবন লাগানোই থাকবে।
*. চায়ের কাপ বা বোতলের ক্যাপ ধরনের যেকোনো
কিছু হলো অ্যাশ-ট্রে। ফুলের টবও অ্যাশ-ট্রে।
*. কোনো কাপড় মেঝেতে পড়ে গেলে সেটা
তাৎক্ষণিকভাবে ন্যাকড়ায় পরিণত হবে। পরে বুয়া বা
অন্য কোনো সহৃদয় ব্যক্তি তা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করলে
জানা যাবে সেটা পরিধানযোগ্য কাপড় ছিল।
*. পানি যদি বোতলে ভর্তি করে খাটের পাশেই রাখা
থাকে, তাহলে পানির তেষ্টা পেয়েছে বলে ধরে
নেওয়া যাবে। যদি পানি আনতে অন্য ঘরে যাওয়ার
প্রয়োজন হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে পানির তেষ্টা পায়নি।
*. বাথরুম ছাড়া সব রকম কাজ খাটেই করা সম্ভব। এ জন্য
নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু বিছানার আশপাশেই রাখতে হবে।
*. দেশের জাতীয় খেলা হাডুডু হলেও ব্যাচেলরদের
জাতীয় খেলা টোয়েন্টি নাইন। যে জন টোয়েন্টি
নাইন জানে না, তার সঙ্গে কোনো লেনাদেনা নাই!
*. টুথব্রাশ ও অন্তর্বাস ছাড়া বাকি যেকোনো কিছু
একজনের থাকলেই অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে।
সর্বজনীনতার এ তালিকায় সবার ওপরে অবস্থান লুঙ্গির।
তারপর স্যান্ডেল, গামছা ইত্যাদি ইত্যাদি।
*. খাওয়ার পর এঁটো প্লেট রান্নাঘরে রেখে আসা
পৃথিবীর সবচেয়ে পরিশ্রমের কাজ। এঁটো প্লেট এবং
অন্যান্য তরকারির বাটি রাখার আদর্শ জায়গা খাটের
পাশে অবস্থিত টেবিল।
*. প্রতিটি ব্যাচেলর রুমে কেউ বাজাক না বাজাক, একটা
গিটার থাকা আবশ্যক। এটা বেশির ভাগ সময়ই প্রোফাইল
পিকচার তোলার সময় ভাব নেওয়ার সরঞ্জাম, পেপার
ওয়েট, শোপিস ইত্যাদি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
*. পারফিউম, বডি স্প্রে—এমন যেকোনো
কিছু মানেই হলো এয়ার ফ্রেশনার। সাধারণত সোফার
নিচে মাস খানেক ধরে পড়ে থাকা কাপড়চোপড়
পরিধানযোগ্য করার জন্য তা প্রয়োজন হয়।
★. Source : "প্রথমআলো> রস+আলো ⁄ সংবাদ>যাপিত রস"
"ব্যাচেলর নিয়মাবলি - লেখা: সামিউল আজিজ | ১০ আগস্ট, ২০১৫।
★★★. "হায়রে ব্যাচেলর জীবন......!!!"
"ব্যাচেলর বাসায় যারা থাকে তারা প্রত্যেকেই
নিঃসন্দেহে একেকজন মহাপুরুষ, তাদের জীবনযাত্রা
অন্যরকম, দুনিয়াদারির নিয়মে তারা চলে না, চলতে পারেনা।
মহাপুরুষদের বাসার ভিতরটা খুব অদ্ভুত, ঘরের
যে জিনিসটা যেখানে থাকার কথা সেখানে তা
থাকেনা, থাকে অন্য জায়গায়। আমি একটা ব্যাচেলর
বাসায় দেখেছি, মশারি টাঙ্গানোর দড়ি হিসেবে
সম্পূর্ণ মাউসটাই (কম্পিউটারের মাউস) ব্যবহার করা
হচ্ছে। চিন্তা করা যায়? ব্যাপারটা এমন, ‘মশারি
টাঙাবি? দড়ি পাচ্ছিসনা? আমার মাউসটা নষ্ট, দে
টাঙিয়ে।’ সেই যে একবার টাঙানো হল, এরপর কখনো
দড়ি পাওয়া গেলেও সেই মাউসটা খুলে আর দড়ি
লাগানো হলো না। কে করে এত কষ্ট! কি দরকার?
ভালোইতো চলছে! আরেক জায়গায়, সবাই একসাথে চা
খাবে, একটা কাপ কম পড়েছে। একজন বললো, ‘এটা কোন
সমস্যাই না, বডি স্প্রের ঢাকনাটা খুলে ধুয়ে নে, তারপর
চা ঢাল, খেয়ে ফেলে। তুই ঢাকনায় না খেলে আমাকে
দে। আরে খেলেই হল। চিয়ার্স!’ চা খাওয়ার সময়ও ওরা
চিয়ার্স বলে কাপে কাপে বাড়ি খাওয়ায়। এগুলোতো
ওদের কাছে মামুলী ব্যাপার, কেউ অবাক হয়না, খুশিমনে
কাপ বাড়িয়ে দিয়ে ওরা চিয়ার্স বলে। ওরাতো
মহাপুরুষ। মহপুরুষদের সবকিছুই একটু অন্যরকম।
তাছাড়া ওদেরতো কিছু নিজস্ব স্টাইল থাকবেই! সবাই বসে ভাত
খাবে, সাথে অতিথি আছে একজন। প্লেট কম পড়েছে
একটা। এটাও কোন ব্যাপার না। একজন বলে উঠলো,
‘দোস্ত আয় তুই আর আমি এক প্লেটে খাই। তুই প্লেটের
ঐপাশ থেকে খা, আমি এপাশ থেকে খাই। ঝামেলা
কিসের, আমরা আমরাইতো!’ আমি জানি, নিজের বাসায়
যে ছেলেটা এক গ্লাস পানিও ঢেলে খায়না, নবাবী
হালে জীবন কাটায় সেও ব্যাচেলর বাসায় থাকতে এসে
কাজের ছেলে হয়ে যায়। বুয়া না আসলে রেঁধে খায়,
প্লেট ধোয়, বোতলে পানি ভরে, আরো কত কি করে!
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় সে নিজের কাপড় নিজেই ধোয়,
বিছানা করে, মশারি টাঙায়! বাহ! আমি জানি, এইসব
বিষয়গুলো ব্যাচেলর বাসায় থাকা ছেলেগুলোর বাবা মা
একবার যদি নিজ চোখে দেখতেন, তারা স্পটেই চোখের
পানি ফেলতেন। চোখে পানি ঠোঁটে হাসি মেখে তারা
ভাবতেন, ‘এটা কি আমার ছেলে? কিভাবে সম্ভব!’ অবশ্যই
সম্ভব, মহাপুরুষরা নিজের কাজ নিজেই করে, ওরা কারো
জন্য বসে থাকেনা। অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ব্যাচেলর জীবন কষ্টের কিন্তু অন্যরকম একটা মজা আছে এই
জীবনে। বিভিন্ন পরিবারের কয়েকজন একসাথে হয়ে কি
অদ্ভুত ভাবে একটা পরিবার গঠন করে ফেলে! এই
পরিবারেও মায়া আছে, ভালবাসা আছে, রাগ ক্রোধ
ঝগড়া সবই আছে। ভুল বোঝাবুঝিও আছে। আবার কিছুক্ষণ
পরেই মিলেমিশে থাকাও আছে। কেউ অসুস্হ হলে তার
জন্যে সেবাও আছে। থাকবেইবা না কেন? ওরাতো
প্রত্যেকেই আলাদা আলাদাভাবে একেকজন খাঁটি
মহাপুরুষ, মহাপুরুষরা এমনই হয়।
উত্সর্গঃ ব্যাচেলর বাসায় জীবন কাটানো প্রত্যেকটা মহাপুরুষকে।
★. Source : WomenExpress.net
★★★. " ব্যাচেলর কাকে বলে? "
★. উত্তর :
*.সুমনা-গুরু I ১৩ নভ. ২০১৩
যে সব মানুষদের বাড়িয়ালা বাসা ভাড়া দিতে চায়
না,তাদের কে সংক্ষেপে ব্যাচেলর বলে। :P
*.Selim Reja-জ্ঞানী I ৯ নভ. ২০১৩
Bachelor:
A bachelor is a man who is neither married nor
cohabitating and who lives independently outside of his
parents' home or other institutional setting. (Pitt, Richard
and Elizabeth Borland. 2008. "Bachelorhood and Men's
Attitudes about Gender Roles" The Journal of Men's
Studies 16:140–158)
bach·e·lor
1. একটি অবিবাহিত মানুষ.
2. একটি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পাঠ্যক্রম
সম্পন্ন এবং যিনি একজন ব্যক্তি একটি স্নাতক ডিগ্রি
ঝুলিতে.
3. বিশেষ করে প্রজনন ঋতুতে, বয়স্ক পুরুষদের দ্বারা
প্রজনন অঞ্চল থেকে রাখা একটি অল্প বয়স্ক পুরুষ পশম
সীল সময় সঙ্গী নেই, এমন কোনো পুরুষ পশু.
4. সামন্ততান্ত্রিক বার অন্য নাইট কর্মে একটি অল্প
বয়স্ক নাইট.
( www.thefreedictionary.com/bachelor)
bachelor (noun)
1. a man who is not and has never been married:one of the
country’s most eligible bachelors
Zoology a male bird or mammal prevented from breeding
by a dominant male.
2. a person who holds a first degree from a university or
other academic institution (only in titles or set
expressions):a Bachelor of Arts
3. Canadian a bachelor apartment: it’s just one room, a
bachelor
4. historical a young knight serving under another’s banner.
See also knight bachelor.
[said to be from French bas chevalier, literally 'low
knight' (i.e. knight of a low order)]
( http://www.oxforddictionaries.com/definition/english/
bachelor)
bachelor = অবিবাহিত পুরুষ , কুমার , আইবুড়ো ছেলে ,
স্নাতক উপাধি , স্নাতক ( http://www.bdword.com/english-to-bengali-dictionary-meaning-of-bachelor)
The origins of bachelor are unclear, but some similar Latin
words are baccalāris (“farm hand”), baccalārium (“dairy
farm”), and bacca (“cow”). Maybe some bachelors spent a
lot of time milking cows before getting married in the olden
days. The phrase “eligible bachelor” means a guy who
would make a great husband, and the phrase “confirmed
bachelor” describes a man who is having so much fun
being single that he’ll probably never marry. Either way,
pronounce it like this: BATCH-uh-lur.( www.vocabulary.com)
*.অমল আহমেদ-মহাগুরু I ২৪ ডিসে. ২০১৩
ম্যাসে থাকতে থাকতে আর ডিম ভাজি খেতে খেতে
যাদের জীবন অতিষ্ট তাদেরকে ব্যাচেলর বলে।
*.সূর্য চৌধরী-জ্ঞানী I ২৪ ডিসে. ২০১৩
আমরা ব্যাচেলর ছাত্র যদিও অনাত্মীয় অনাদরে
লালিত যদিও জীবন দুঃখ কষ্ট বিরহ ব্যথা যুক্ত তবে
আমরা মুক্ত স্বাধীন| যে যার নিজের মত| যদিও আমরা
অবহেলিত তবে অবহেলার কোন উদ্দীপনা আমাদের
স্পর্শ থেকে বিরত| স্বনির্ভরতা সহনশীলতা সহমর্মিতা
ভ্রাতৃত্ববোধ কাকে বলে ব্যাচেলর জীবন থেকে শিখি
ধীরে ধীরে আত্বনির্ভরশীল হয়ে গড়ে উঠি| আমরা
ব্যাচেলর আবদ্ধ একটি ঘরে প্রত্যেকে আমরা সবার
তরে আপন ভাইয়ের মত আমাদের বসবাস তবে পাশের
ঘরের অনেক মা আমাদের আপন করতে পারেনা ভুলেও
কখনো তার সন্তানের মত ভাবেনা| বারবার আমাদের
নিয়ে শংকিত অথচ তার প্রতি অবিরাম শ্রদ্ধা
নিবেদিত তবুও তার কাছে আমরা অনাদৃত আমরা নাকি
পরিবেশ করি দূষিত| জমিদারের কোষাগারে জমা
পড়ে অবিরাম অবজ্ঞা নিগ্রহ সে ঘোষনা করে
বিদ্রোহ আমরা হয়ে উঠি বিদ্রোহী কখনো হেরে যাই
কখনো জিতি, কখন কাঁধে বস্তা নিয়ে ছুটে যাই নতুন
ঠিকানায়| কখনো পুরাতনকে আঁকড়ে ধরি| ইহাই
ব্যাচেলর জীবন ইহাই ব্যাচেলর নীতি| -
*.সেলিম রেজা-গুরু I ২৩ ডিসে. ২০১৩
বিয়ের আগের জীবনকে ব্যচেলর বলে |
*.আমির ইশতিয়াক-বিশারদ I ৯ নভ. ২০১৩
একা জীবন যাপন করাকে ব্যাচেলর বলে।
*.Abu Sayeed Mohammed Shohel-জ্ঞানী I ১০ নভ. ২০১৩
শুরুতে বলব ব্যাচেলর একটি সাময়িক পদবী.চটপট করেই
যদি উত্তর টা দিয়ে ফেলি তাহলে বলব সাধারণত
বিয়ের আগ পর্যন্ত সময়টাকে ব্যাচেলর বলা হয়.আবার
যখন বিয়ের পরেও কোনো নারী বা পুরুষ জীবিকা
নির্বাহের তাগিদে কিংবা পড়াশুনার জন্য যখন বউ
ছাড়া স্বামী কিংবা স্বামী ছাড়া বউ একা একা
জীবন-যাপন করে তখন ও কিন্তূ ব্যাচেলর হিসাবে গণ্য
করা হয়.
★. Source : Beshto.com
★★★. " বিষয় যখন ব্যাচেলর "
★. " ব্যাচেলর জীবনে সবচেয়ে বেশি মানুষের সাথে পরিচয়
হয় এবং সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেসমেম্বারেরা আপন হয়ে
যায় খুব সহজেই। তাদের সাথে যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা
কিন্তু অত্যন্ত দামী। হয়ত এই ব্যাচেলর না থাকলে
তাদের সাথে দেখাই হোতোনা, পরিচয় তো দূর অস্ত।
নিজের কথাই বলি। আমার সহবোর্ডারদের বেশির
ভাগের সাথেই ভাল সম্পর্ক আছে আমার। আমি তাদের
থেকে অনেক হেল্প পেয়েছি যার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করবার সামর্থ্য আমার নাই। আপন ভাইয়ের চেয়েও বেশি
স্নেহ পেয়েছি এঁদের কাছ থেকে।
একটা বিষয় সবসময় শিখেছি একেক মায়ের পেটের
সন্তান আমরা একসাথে থাকছি এই ইট কাঠের শহরে।
বিপদে আপদে আমরাই আগে থাকব সহায়তার হাত
বাড়িয়ে। এই ভাবনা থেকেই কখন যে আপনের চেয়ে
বেশি আপন হয়ে উঠেছি তা বলতেও পারিনা। এখন
অনেকে অনেক ভাল জায়গায় আছে। মনে নাও রাখতে
পারে আমাদের। তবুও মনে করে। ফোনকল দেয়। এটাই তো
প্রাপ্তি, বিশাল প্রাপ্তি।
★. ব্যাচেলর বাসা ভাড়া পাওয়া আর ঈদের চাঁদ দেখা দুই-
ই বুঝি সমান আনন্দের। তবে, এই উৎকন্ঠার মাঝেও
আলাদা আনন্দ আছে। অনেক কষ্টের পরে পাওয়া একটু
সুখ কতখানি দামী তা মানুষমাত্রেই জানা থাকার
কথা।
★. ব্যাচেলর জীবনে সবচেয়ে আনন্দের দিন কোনটা?
ভাবতে বসেছিলাম এই ইস্যু নিয়ে। অনেক ভেবে বের হল
প্রতিটা দিন ই তো আনন্দের এবং শিক্ষনীয়।
যেমন
* সকালে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেবার চাপে দরজার
এপারে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা। ধৈর্যের এক বড়সড়
পরীক্ষা হয়ে যায় এতে।
* বুয়া না এলে সবাই মিলে রান্নার আয়োজন করা। এতে
রান্নার উন্নতি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব
বৃদ্ধি পায়।
* তাস খেলার প্রাথমিক প্রশিক্ষন তো এই প্রতিষ্ঠান
(মেস) থেকে পায় ছেলেরা। প্রাথমিক থেকে পিএইচডি
সব এখানেই।
আরও কত কি... বাকিগুলা আপনারা কমেন্টে লিখে
জানান।
★. দুঃখ হইল বাংলা বছরের প্রথম দিনেই বাসায় বুয়ার না
আসা। আর ব্যাচেলরিও স্টাইলে ভাত রান্না করতে
গিয়া হাত পুড়ায়া ফেলা।
★. তাস খেলা ব্যাচেলরদের আনন্দঘন সময় কাটানোর
একটা মহান উপায়। আমি ল্যাপ্পি তে বসা সামনে ৪ জন
২৯ খেলছে মনের আনন্দে... আহা দেখেও সুখ। গোলাম,
নক্কা, টেক্কা আর দশ কড়ার খেলায় মুগ্ধ সবাই।
★. ব্যাচেলর বাসা থেকে মাঝে মাঝে দুই একজন বোর্ডার
চলে গেলে বাকি বোর্ডারদের মধ্যে নতুন বোর্ডার
খোঁজার হিড়িক পড়ে যায়। কেউ বা নিজেদের পরিচিত
সার্কেলের মধ্যে খোঁজে, কেউ ১০/১২ জন অফিসার
লাগিয়ে রুমমেট খোঁজে। তবে সবচেয়ে কার্যকর উপায়
বুঝি লিফলেট সাঁটানো। কাজটা দুর্দান্ত মজার। কাল
রাতে যখন লিফ্লেট লাগাতে রাস্তায় বেরোলাম
রাস্তার ওপাশে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা
ঝাড়া ২ মিনিট আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল কি
করছি তা বুঝতে। হাসি পেল আবার দুঃখও হল
ব্যাপারটা দেখে।
★. ব্যাচেলর লাইফে সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা হল
স্বাধীনতা। স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়ে চলা যায়। তবে
পায়ে কিছু শেকল ও থাকে। আর থাকে কিছু দুষ্টুমিভরা
প্রতিযোগীতা। যেমন টানা ৮ মাসের কমখরুচে
বাজারের যে সুনাম পেয়েছিলাম তা এইমাসে দুইজনের
কাছে হারাতে হল।
দুঃখজনক। বড়ই দুঃখজনক।
★. –_- ব্যাচেলর লাইফ –_–
১. উপর দিয়ে যতই ফিটফাট থাকুন না কেন,
প্রত্যেক ব্যাচেলরের বিছানার উপর দেখবেন,লুঙ্গি গোল
করে পড়া আছে। লুঙ্গি চেন্জ করে প্যান্ট পড়ার পর,লুঙ্গি গুছিয়ে রাখার
মত পর্যাপ্ত সময় ব্যাচেলরদের হাতে থাকে না!
তাছাড়া, আরেকটা সুবিধা হচ্ছে,বাইরে থেকে এসেই আবার সেই "গোল করা"
লুঙ্গির ভিতর ঢুকে পড়া যায়! ইটস সিম্পল!
২. ব্যাচেলর সাহেবদের শার্ট, টিশার্ট থাকবে ঝকঝকে।
কিন্তু প্যান্ট! একমাস ধরে একই জিন্স প্যান্টের উপর অত্যাচার চলে।
দুর্গন্ধ সৃষ্টি হলে,সেন্ট মারলে ঝামেলা শেষ। দারুণ!
৩. ধরুন, মেস বা হোস্টেলের একজনের ভাইভা আছে কিংবা "বা
সাথে ১ম সাক্ষাত করতে যাবেন! ব্যাস,ধার করার হিড়িকপড়ে যাবে। নিজের ভালো ড্রেস থাকা সত্বেও অমুকের প্যান্ট,তমুকের শার্ট,
আরেকজনের সু ধার করে নিয়ে যাবেনই।
৪. মেসে যদি বুয়া না আসে,সেদিন লঙ্কাকান্ড হয়।
নিজেরাই তখন কুক।কেউ হয়ত পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখের
জলে বুক ভাসাবেন,আরেকজন আলু কাটতে গিয়ে নিজের
আঙ্গুল কাটবেন, আরেকজন হয়ত গরম পাতিলে হাত পূড়বেন।
অবশেষে যুদ্ধ জয়। স্বাদ যেমনই হোক,সবাই বলবে, উফফ দারুণ হইছে।
৫. পত্রিকা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।
কিন্তু একজন পত্রিকা পড়া শুরুকরলে সবার তখন আগ্রহ বেড়ে যায়।
টানাটানি শুরু হয়।
৬. বাইরে থেকে কেউ মেসে/হোস্টেলে আসলে খুবই অবাক হবেন। রাত বারোটার পর, কিসের যেন গুণগুণ শব্দ! খেয়াল করলে দেখা যাবে,সবার কানে মোবাইল ফোন।
যদি রুমমেটদের গুণগুণানির অভ্যাস না থাকে,
তবে রুমের "রোমান্টিক বেচারা"কে অনেক কষ্ট করতে হয়।
প্রচন্ড শীতেও মোবাইল কানে নিয়ে ছাদে কিংবা চলে যেতে হয়! আহ! কষ্ট!
৭. মেসে/হোস্টেলে লাইট অফকরা নিয়ে কমন ঝামেলা বাধে, ঝগড়াও হয়। কেউ হয়ত তারাতারি ঘুমিয়ে যান।
লাইট জালানো থাকলে তার ঘুম আসে না।
রুমমেটের গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস।
কি আর করা!
৮. মহামতি ব্যাচেলররা টা করতে অসাধারণ দক্ষ।
"দোস্ত! খুব ইমার্জেন্ছী। ১০০ টাকা দে।
আগামীকালকে দিয়ে দে ধারকারী এবং ধারদাতা উভয়েই জানেন, এই আগামীকাল হয়ত ১৫ দিনেও আসবে না। তবুও ধার দিতে হয়।
৯. একজনের হয়ত বার্থডে। সবাই তাকে বাঁশ দেওয়ার চেষ্টা করবে। "দোস্ত! তোর বার্থডে পার্টির আশায়, সারা বছর ওয়েট করি।
খাওয়া, খাওয়া।"
১০.যদি কেউ কোন বিপদে পড়ে, এক্সিডেন্টের শিকার হয়
কিংবা কারো আত্মীয় স্বজন মারা যায়,
সহপাঠিদের মাঝেও নেমে আসে শোকের ছায়া।
হাসি কান্না আনন্দ বেদনা ঝগড়া খুনসুটি নিয়ে ব্যাচেলরদেরমেস/ হোস্টেল জীবন।
একটা সময় এই জীবনের সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু সুমধুর স্মৃতি গুলো কি ভোলা যায়? সত্যিই জীবনের এক মধুরতম সময় এই ব্যাচেলর লাইফ...(!)
★. Source : "FB: নির্যাতিত ব্যাচেলর সমাজ"
﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]
﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋
*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]
*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷
*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 25.06.2018 || 🇧🇩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন