শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১৮

দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমাস্যা সমাধানের উপায়

দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমাস্যা সমাধানের জন্য খুব প্রয়োজনীয় ১০০ টি ঘরোয়া উপায় ও টিপসঃ

দেখা যায় ধনেপাতা, পুদিনাপাতা বা শাক একদিনেই শুকিয়ে যায়। এগুলোকে সতেজ রাখতে ব্যবহার করুন পলি পদ্ধতি। একটি পলিথিনে ধনেপাতা, পুদিনাপাতা বা শাকপাতা ঢুকিয়ে বাতাসসহ মুখটি বন্ধ করে দিন। সতেজ থাকবে কিছু দিন।
হলদে দাঁতের হাসি আর যাই হোক কারো মন জয় করতে পারে না। ডাক্তারের পেছনে পয়সা নষ্ট না করে। কলার খোসা দীয়ে নিয়মিত কিছুদিন দাঁত ঘষুন। প্রাকৃতিক ভাবেই পেয়ে যাবেন ঝকঝকে সাদা দাঁত।
ভাত রান্নার সময় খোলা হাঁড়ির ওপর একটি কাঠের চামচ আড়াআড়িভাবে রাখুন। যতই ফুটুক, পানি আর উপচে পড়বে না।
একটু বেশি রস পেতে লেবুকে কাটার আগে মেঝেতে বা টেবিলে হালকা চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ রোল করুন। তারপর চিপে দেখুন। লেবুর ষোলোআনা আদায় হবেই।
আপনি যদি বরফ টুকরো সাধারণ বা পরিষ্কার পানি দিয়ে বানান তাহলে বরফ হবে ঘোলাটে। আর সেদ্ধ পানি ব্যবহার করলেই মিলবে চকচকে স্বচ্ছ বরফ।

ডিওডোরেন্ট ফুরিয়ে গেছে? অথচ এই গরমে ঘামের গন্ধ থেকে রেহাই পেতে চাইছেন? কোন সমস্যা নেই। গোসল করে ফেলুন আর তারপর বগলে লাগিয়ে নিন খানিকটা লেবুর রস। হয়ে গেলো কমপক্ষে কয়েক ঘন্টার ডিওডোরেন্টের সতেজতার কাজ।
খুশখুশে কাশিতে ভুগছেন। অথচ কাশির সিরাপ নেই ঘরে। আবার সেই সাথে সিরাপেরও কিন্তু আছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই আনারস জুস বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন কাশি গায়েব!
পেঁপে খাবার পর খোসাটা তো আমরা ফেলেই দেই। কিন্তু ফেলে দেবার আগে সেটি দিয়ে আপনার পায়ের পাতা ও গোড়ালী একটু ঘষে নিন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার পা রাখবে কোমল আর মুক্তি দেবে গোড়ালী ফাটার সমস্যা থেকেও!
আমাদের অনেক সময় গ্যাস এর সমস্যা হতে পারে। যদি কারও এই সমস্যা হয় বা খাবার হজম হতে না চায় তবে ১ গ্লাস পানির সাথে একটু লবণ ও একটু চিনি মিশিয়ে খেয়ে নিবেন। এটি খুব দ্রুত খাবার হজম করতে সাহায্য করবে।

রান্না করার সময় যদি পাত্রে ডিমের ছোট অংশ পড়ে যায় তাহলে সেটা সরানো মুশকিল বটে। আর এই মুশকিল আসান করবে ডিমের খোসাই। আরেকটি খোসা দিয়ে পড়ে যাওয়া টুকরোটা তুলে ফেলুন সহজেই।
আলুর খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দেবেন না। এরও আছে দারুণ গুণ। আলুর খোসাগুলো ৩০ মিনিট পানিতে সেদ্ধ করে নিন। শ্যাম্পু করার পর এ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। পাকা চুলের জন্যে যারা কেমিকেল রঙ ব্যবহার করতে ভয় পান তাদের চুলে এটি প্রাকৃতিক ভাবেই এটি ধীরে ধীরে কালো করার কাজটি করবে।
ধাতব আসবাব পরিস্কারে একটু লেবুর রসের সাথে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে মুছে নিন। ব্যস! আপনার আসবাব হয়ে যাবে নতুনের মতই চকচকে।

প্রচন্ড মানসিক চাপে ভুগছেন আর সেই সাথে প্রতি রাতে দুঃস্বপ্নের কারনে ঘুমুতে পারছেন না? এক কাজ করুন। ঘুমুবার আগে এক গ্লাস আপেলের জুস খেয়ে নিন। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমাবার আগে আপেলের রস আপনার ঘুম ভালো করে।
কিভাবে বুঝবেন ডিমটি ভাল না খারাপ? পানি ভর্তি পাত্রে ডিমটি ছেড়ে দিন। যদি ডু্বে যায় তবে একদম তাজা। পুরোপুরি না ডুবে কিঞ্চিৎ ভেসে থাকলে বুঝবেন ডিমটি ভাল কিন্তু তাজা নয়। আর যদি পুরোপুরি ভেসে থাকে তবে ফেলে দিন ডিমখানা। কারণ ভেতরে গ্যাস জমে ডিমটি নষ্ট হয়ে গেছে। ওই গ্যাসই ডিমটাকে ভাসিয়ে রেখেছে।
চিকন সুতো দিয়ে কাটতে পারবেন কেক-পাউরুটি জাতীয় নরম খাবার। খাবার ভেঙেও যাবে না আবার কাটাও হবে মিহি।
চামচ ব্যবহার করে সহজেই তুলতে পারবেন আদার চামড়া। ছুরি-কাঁচি থেকেও অনেক সহজ ও দ্রুত হবে কাজটা।

তেজপাতা খুবই সামান্য একটা মশলা জাতীয় খাবার। কিন্তু এর রস খুবই উপকারী। মাইগ্রেন এর ব্যথা তাছাড়া কোথাও আগুনে পুড়ে গেলে তেজপাতার রস ব্যথা উপশমে কাজ করে থাকে। তেজপাতাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, খনিজ উপাদান, এবং ফলিক এসিড।
প্রতিদিন দুই কয়া রসুন খেতে পারলে শরীরের জন্য তা খুব ভাল ।রসুন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।কৃমি থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও কোলেস্টেরল কমাতে ও ফাঙ্গাস দূর করতে সাহায্য করে। ঠাণ্ডা কাশির প্রবনতা কমায়।
আমরা অনেকেই জানি না যে শাক সবজি হিমায়িত করার সঠিক পদ্ধতি। সঠিক নিয়মে শাক সবজি হিমায়ন করলে তা অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। সাধারণ পদ্ধতিতে শাক সবজি হিমায়িত করতে নিম্ন লিখিত ধাপ মেনে চলতে হয়।

• আকৃতি, বর্ণ, পরিপক্কতা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে শাক সবজি বাছাই করা হয়।
• পরিষ্কার পানিতে ধোয়া হয় এবং ছোট ছোট টুকরা করা হয়।
• প্রায় ৫ মিনিট ফুটন্ত পানিতে রেখে ব্লাঞ্ছিং (ফুটান) হয়।
• এরপর 0.25% KMS দ্রবণে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে পানি থেকে তুলে নিয়ে পানি ঝরিয়ে ফেলা হয়।
• পলিথিন ব্যাগে প্যাক করে ডিপ ফ্রিজ এ রাখা হয়।
..এই ভাবে সবজি সংরক্ষণ করলে অনেক দিন পর্যন্ত শাক সবজি ভালো থাকে।

সবুজ শাক সবজি খুব উপকারী চুল এবং ত্বকের জন্য। পালং শাক এবং ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই,যা আপনার স্কাল্প ভালো রাখে এবং চুল এর গোঁড়া মজবুত করে। সেই সাথে ত্বক এর লাবণ্য ধরে রাখতেও সবুজ সবজি খুবই উপাদেয়।
অনেকেই ভাবেন বেশি ভাত খেলে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। অনেকেই আবার ডায়েট থেকে একেবারেই ভাত বাদ দিয়ে দেন। এ দুটোই ভুল ধারণা। Complex carbohydrate জাতীয় খাবার হওয়ায় ভাত সহজেই হজম হয়। ১০০ গ্রাম ভাতে আছে ১০০ ক্যালরি। পরোটা ও রুটির তুলনায় ভাতই ভালো। তবে ওজন, উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ভাতের পরিমাণের রকমফের হবে। ফ্যাট এর পরিমাণ ভাতে খুব কম মাত্র ০.৪ গ্রাম। আটার রুটির প্রায় সমান ক্যালরি ভাতে। ভাতে Niacin, vitamin-D, calcium, fiber, thiamin ও Riboflavin যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ভাতে Cholesterol ও Sodium নেই। তাই Hypertension এ যারা ভুগছেন তারা ভাত খেতে পারেন। পেটের সমস্যা থাকলে ভাত খান। কারণ ভাতে Gluten নাই।

মাইগ্রেন এর ব্যথার সাথে ডায়েট এর সম্পর্ক আছে। একটু সঠিক নিয়মে খাবার গ্রহণ করলেই এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের মাইগ্রেন এর সমস্যা আছে তারা যখন বাইরে যাবেন তখন বাসায় করা স্যলাইন, পানির সাথে একটু চিনি অথবা মধু, একটু লবণ, মিশিয়ে খেয়ে যাবেন এবং এসে আরও ১ গ্লাস খাবেন। এতে অনেক উপকার পাবেন। তাছাড়া কখনো খালি পেটে থাকবেন না। খালি পেটে থাকলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। লাল রঙ এর সবজি খেয়েও অনেক উপকার পাবেন। যেমন গাজর, টমেটো ইত্যাদি।

✬. সাদা প্লেট, কাপ বা অন্য কিছুতে লেগে যাওয়া দাগ উঠাতে কাপড় কাঁচা সোডা ও গুঁড়া সাবান দিয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে মেজে দেখুন কেমন করে সব দাগ উঠে প্লেট ঝকঝক করছে।
✬. বৃষ্টির দিনে পিপঁড়ার উৎপাত হলে ব্লিচিং পাউডার পানিতে মিশিয়ে ঘর মুছুন। পিপঁড়ার উৎপাত কমে যাবে।
✬ সিল্ক এবং জরির কাজ করা শাড়ি, জামা, ওড়না ইত্যাদিতে সহজেই ছত্রাক পড়ে। টিস্যু
পেপার দিয়ে মুড়ে রাখুন, ছত্রাক পড়বে না।
✬ পেয়াজ কাটলে হাতে গন্ধ হয়। তাই কাটার পর হাতে সরিষার তেল মেখে নিবেন। গন্ধ হবে না।
✬ পারলে প্রতিদিন একবার করে মুখে বরফ ঘষুন। এটি ত্বকের জন্য ভালো।
✬ মুখে ব্রণ উঠলে বেশি বেশি পানি পান করুন ।
✬ যাদের রাতে ঘুম হয় না তারা ঘুমুতে যাবার আগে চিনিসহ এক গ্লাস দুধ খান। এমনিতেই ঘুম পাবে।
✬ তাজা ফুল অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু তা বেশিদিন ঘরে রাখা যায় না। নেতিয়ে যায়। ফুল বেশিদিন তাজা রাখতে হলে ফুলদানির পানিতে একটু কর্পূর মিশিয়ে দিন। ফূল অনেকদিন তাজা থাকবে।
✬ ঘরে বিভিন্ন ফলফলাদি থাকলে মাছির উৎপাত হয়। মাছির উৎপাত এড়াতে চাইলে ঘরে একটি হালকা ভেজা দড়ি ঝুলিয়ে রাখুন। মাছি সব দড়িতে বসবে।

ছোটখাট রোগ নিরাময়ের জন্য কিছু ঘরোয়া টিপস:
-------------------------------------------
✬ অনিদ্রার সমস্যায় মধু কার্যকর। কুসুম গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে শোবার আগে পান করুন।
✬ স্ট্রোক প্রতিরোধে চা খান। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত চা পানে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
✬ জ্বর হলে খান প্রচুর পানি। পানি বা তরল খাবার জ্বর সারাতে ভীষণ সহায়ক।
✬ জ্বরের নিরাময়ে দই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। মধুও জ্বর নিরাময়ে ভূমিকা রাখে।[ www.fb.com/
tanbir.cox ]
✬ মাথা ব্যথা নিয়মিত সমস্যা হলে প্রচুর মাছ খান।
✬. মাথা ব্যথায় উপকারী আদা। খেতে পারেন আদা চা।
✬. হাঁপানির সমস্যা থাকলে অবশ্যই কাঁচা পিঁয়াজ খান। শ্বাস নালীর সংকোচন রোধ করে।
✬. ঠাণ্ডা লাগলে রসুন খান, সেরে যাবে।
✬ পেটের পীড়ায় খেতে পারেন কলা ও আদা। কাঁচা কলা পেটের পীড়ায় ভীষণ উপকারী।

ক্ষতের দাগ মুছে ফেলার ঘরোয়া উপায় ও টিপসঃ
---------------------------------------
✬ লেবু ও শসার রসঃ একটি গোটা লেবু চিপে নিন। এতে একটি মাঝারি আকারের শসার চার ভাগের এক ভাগ অংশের রস বের করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আক্রান্ত জায়গায় আলতো ঘষে লাগান। দিনে অন্তত ৩ বার লাগাবেন। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করবে আর শসার রস দাগ হালকা করবে।
✬ অ্যালোভেরার রসঃ অ্যালভেরাকে বলা হয় জাদুকরি গাছ। এর পাতার রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান গভীর দাগ দূর করতে অনেক কার্যকরী। তাজা অ্যালভেরা পাতার রস দিনে ২/৩ বার আক্রান্ত স্থানে লাগান। নিয়মিত লাগাবেন। কিছুদিনের মধ্যেই দাগ হালকা হতে শুরু করবে।
✬ চন্দনগুঁড়ো ও গোলাপ জলঃ চন্দনগুঁড়ো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই দাগ দূর করার কাজে ব্যাবহার হয়ে আসছে। এটা সবচাইতে কার্যকরী উপাদান। একটি বাটিতে ২ চা চামচ চন্দনগুঁড়ো নিয়ে এতে ঘন পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজন মত গোলাপ জল দিয়ে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন পেস্টটি ব্যাবহার করুন। দাগ দূর হবে।[

✬ পেঁয়াজ কিংবা রসুনের রসঃ অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ অথবা রসুনের রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য বেশ জনপ্রিয়। যে কোন ধরনের দাগ দূর করতে এদের জুড়ি নেই। তবে নিয়মিত ব্যবহার না করলে কাজ হতে বেশ দেরি হয়। সুতরাং প্রতিদিন অন্তত ৩/৪ বার তাজা পেঁয়াজ বা রসুনের রস লাগাবেন আক্রান্ত স্থানে। দাগ দূর হবে ও নতুন কোষ হতে সাহায্য করবে।
✬ নিমের পাতাঃ নিমে গাছে ডাল ও পাতা যে কোন বড় ধরনের অসুখ দূর করতে যেমন কার্যকরী তেমনই গভীর দাগ দূর করতেও বেশ কার্যকরী। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আক্রান্ত স্থানের অস্বাভাবিক কোষ দূর করে। দিনে অন্তত ২ বার নিম পাতা বাটা আক্রান্ত স্থানে লাগান। পাশাপাশি একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে ৩০/৪০ টি নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি গোসলের কাজে ব্যাবহার করুন।

✬ দাগ দূর করার অন্যান্য কিছু টিপসঃ
----------------------------------------
•দৈনিক ২.৫ লিটার পানি পান করুন। এতে নতুন কোষ গঠন হয় দ্রুত।
•একটি তুলোর বল গ্রিন টি তে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষে নিন। দাগ হালকা হবে।
•আক্রান্ত স্থান মধু দিয়ে ম্যাসাজ করুন দিনে ৬/৭ বার করে প্রতিদিন। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাগ দূর করে।
•ভিটামিন ই তেল কিংবা ক্যাপস্যুল ভেঙে আক্রান্ত স্থানে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। চামড়ার উঁচুনিচু ভাব দূর করে মসৃণতা ফিরিয়ে আনবে
•একটি কলা পিষে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দাগ দূর হতে সাহায্য করবে।

দাঁতের হলদেটে ভাব দ্রুত দূর করার কিছু সাধারণ টিপসঃ
-----------------------------------------------------------------

✬•একটি লেবু চিপে নিন। তাতে সমপরিমাণ পানি মেশান। এবার এই পানি দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার পর কুলকুচা করে নিন। দাঁতের হলদেটে ভাব কেটে যাবে।
✬•লেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এতে পানি মিশিয়ে পেস্টের মত তৈরি করে ফেলুন। দাঁত ব্রাশ করার পর এই পেস্ট দিয়ে দাঁত ম্যাসাজ করুন। দাঁতের হলদেটে ভাব দূর হবে।
✬•বেকিং সোডার সাথে পরিমিত পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। দাঁত ব্রাশ করার পর এই ব্রাশে এই পেস্ট নিয়ে দাঁত ঘষুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দাঁতের হলদেটে ভাব দূর হবে।
✬•এছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে চাইলে একটি আপেল খেয়ে নিন। দেখবেন দাঁতের হলদেটে ভাব কমে গেছে অনেকাংশে।

পেটের অতিরিক্ত চর্বি দূর করার ঘরোয়া টিপসঃ
---------------------------------------------------

✬ এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে নিন। তারপর একটু লবণ মিশিয়ে শরবত তৈরি করে প্রতিদিন সকালে খান। চর্বি দৌড়ে পালাবে।
✬ সকালে দুই-তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেতে পারেন। লেবুর শরবত পান করার পর পর রসুন খেয়ে নিলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। এ অভ্যাসটি আপনার শরীরের ওজন এবং পেটের চর্বি কমানোর প্রক্রিয়াটি দ্বিগুণ করবে। শরীরের রক্ত সঞ্চালনও হবে সাবলীল গতিতে।
✬ সকালের নাশতায় শক্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফলের জায়গা করে দিন। নিয়মিত সকালে এক বাটি ফল আপনার পেটের চর্বি কমাতে দারুণ সাহায্য করবে।
✬ পেটের চর্বি থেকে মুক্তি চাইলে পানির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। কারণ পানি আপনার শরীরের পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
✬ দৈনন্দিন খাবার তালিকা থেকে সাদা চালের ভাত বাদ দিন। এর পরিবর্তে আটার তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
✬ নানা রকম মসলা না দিয়ে খাবারে দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ বেশি ব্যবহার করে রান্না করুন। এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখবে।
✬ চিনি জাতীয় খাবার শরীরে চর্বি জমতে সাহায্য করে। তাই চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পেটের চর্বি থেকে রেহাই পেতে হলে চিনির সঙ্গে শত্রুতা ছাড়া উপায় নেই।

উজ্জ্বল তকের জন্য হারবাল টিপস
----------------------------------------

১: আঙুর
অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের স্বাভাবিকতা কমে গিয়ে ত্বকের ফর্সা ভাব ও উজ্জলতা কালচে হতে থাকে। বাহ্যিক ময়লা আবরনের স্তর এবং সূর্য রশ্নি দ্বারা ত্বকে কালচে ভাবের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ত্বক ফর্সা করতে আঙুরের রস দারুণ উপকারি। কয়েকটি আঙুর নিয়ে মুখে আলতোভাবে ঘষুন। আঙুর বেটে ফেসপ্যাক তৈরি করেও মুখে লাগাতে পারেন।
২: শসার রস, গ্লিসারিন ও গোলাপ জল
শশার রস। পরিমাণ মত শশার রসে মিশাতে হবে অল্প গ্লিসারিন আর গোলাপ জল।সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নি ত্বক পুরিয়ে ফেলে। শসার রস, গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ রোদে পোড়া ত্বকের জন্যে উপকারি। রোদে যাওয়ার আগে এবং বাসায় ফিরে এগুলি একসাথে মিশিয়ে মাখলে ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।
৩: চন্দন, হলুদ ও দুধ চন্দন (sandalwood)
বয়সের ছাপ, বিষন্নতা, অযত্ন, ত্বকে স্বাভাবিক আলো বাতাসের অভাবে, ত্বকের সতেজতা হ্রাস পায়। চন্দন গুড়ার সাথে সামান্য হলুদ গুড়া ও দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ত্বক সতেজ আর সুন্দর করতে এই মিশ্রণটি বেশ কার্যকর।
৪: মধু ও দুধের সর মধু।
দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হবে নরম আর উজ্জ্বল। শীতকালে এই মিশ্রণটি আপনাকে ত্বক নিয়ে অনেকটাই নিরুদ্বেগ রাখবে।
৫: দুধ,লবণ ও লেবুর রস দুধ।
প্রাত্যহিক কাজ কর্মের বিভিন্ন সময় ত্বকের ভাজে ভাজে ধূলাবালি ও ময়লা লেগে বাহ্যিক ময়লা আবরনের স্তর লোমকূপের মাধ্যেম টিস্যু/কোষে জমা হয়। ফলে ত্বকে অক্সিজেন প্রেবশ করেত পারে না। দুধের মধ্যে এক চিমটি লবণ আর লেবুর রস মেশান। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
৬: টমেটোর রস
বাহ্যিক ধূলাবালি, ময়লা, সূর্যের তাপ ও অবেহলার কারনে ত্বকের স্বাভাবিক মসৃন ভাব কমে ত্বক রূক্ষ হয়ে যায়। ত্বক নরম করতে টমেটোর রস খুবই কার্যকরী। টমেটোর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগালে ভালো ফল পাবেন।
৭: হলুদ গুড়া, গম ও তিল
হলুদের গুড়া (Turmeric Powder) অনেকের ত্বকের বিভিন্ন স্থানে অবাঞ্চিত বা অনাকাক্ষিত লোম থাকে। যা মুখের স্বাবাবিত সৌন্দর্য নষ্ট করে। হলুদের গুড়া,গমের ময়দা ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বককে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের হাত থেকে দূরে রাখবে।
৮: বাঁধাকপির রস ও মধু
বাঁধাকপির রস (Cabbage Juice) একটা সময় সবারই বয়স বাড়তে থাকে, এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে বিভিন্ন বলিরেখার সৃষ্টি হয়। বাঁধাকপির রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। বলিরেখা দূর করতে এই মিশ্রণ খুব উপকারী।
৯: গাজর
গাজরের রস (Carrot JUice) ত্বকে অক্সিজেন এর অভাব হলে উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়। ত্বকে ময়লা জমলে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না। গাজরের রস মুখে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। গাজরের রস নিয়মিত মুখে লাগালে ত্বক সতেজ থাকবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে।
১০: মধু ও দারুচিনি
দারুচিনি (Cinnamon Sticks) খাদ্যভ্যাস, ময়লা-ধূলাবালি, দুশ্চিন্তা, মানুষিক চাপ, নিদ্রাহীনতা, ধূমপান, মাদক এবং অতিরিক্ত ঘুমের অষুধ সেবনে মুখে ব্রণ হয়। তিন ভাগ মধু ও এক ভাগ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ব্রণের উপর লাগান। সারারাত রেখে পরদিন ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি আপনার ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করবে।
১১: বাদাম ও লেবুর রস
বাদামের তেল (Peanuts oil) শহরের যান্ত্রিক পরিবেশে পর্যাপ্ত পরিমান প্রাকৃতিক বাতাস এর অভাব রয়েছে। এর ফলে ব্রন ও ব্ল্যাকহেড এর সৃষ্টি হয়। বাদামের তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। এই মিশ্রণটি ব্রণ ও ব্ল্যাকহেড দূর করবে আর ত্বককে রাখবে সতেজ ও সুন্দর।
১২: আ্যলোভেরার রস
ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমান পানির অভাবে ত্বকের সজীবতা হ্রাস পায়। ত্বক সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পানি আবশ্যক। আ্যলোভেরার রস মুখে লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়। আ্যলোভেরার রস ত্বকের পানিস্বল্পতা দূর করে লাবণ্য ফিরিয়ে আনে।
১৩: ঘি ও গ্লিসারিন
অনেকেই শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বকের মসৃনতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজারের ক্যামিক্যাল যুক্ত এবং বানিজ্যিক ভাবে বিক্রিত প্যাকেট জাক দ্রব্য অনেকক্ষেত্রে বিপরীত প্রভাব ফেলে। ঘি ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার। রাসায়নিক ময়েশ্চারাইজারের বদলে এটি ব্যবহার করে দেখুন। তফাত নিজেই টের পাবেন।
১৪: মুলতানি মাটি, নিমপাতা, তুলসিপাতা, গোলাপ পাঁপড়ি এবং গোলাপ জল।
মুলতানি মাটি, গোলাপের পাঁপড়ি, নিম পাতার গুঁড়া, তুলসি পাতার গুঁড়া সামান্য গোলাপ জল বা লেবু পাননির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকবে।
১৫: অ্যাপ্রিকট ও দই
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অনিয়ম ও ত্বকের কোষে পানিশূন্যতা হলে ত্বক শুশ্ক হয়ে যায়। অ্যাপ্রিকট এবং দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বক সতেজ রাখে। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে এর সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান।

কাঁটা নামানোর সহজ উপায়:
---------------------------------
১) গলায় কাঁটা বিধলে পানি পান করেন? কেবল পানি পান করলে হবে না। হালকা গরম পানির সাথে অল্প লবণ গুলিয়ে পান করুন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
২) গলায় কাঁটা বিঁধলে ভাত খেয়ে নামাতে চান? তাহলে এক কাজ করুন, ভাতকে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন। তারপর পানি দিয়ে গিলে ফেলুন। ভাতের গোলা চিবিয়ে খেলে কিন্তু কাঁটা নামবে না। পানি দিয়ে গিলে ফেলাই সেরা উপায়।
৩) ভাত খাবার চাইতেও সহজ একটি উপায় আছে। গলায় কাঁটা বিঁধলে খেলে ফেলুন একটি কলা। কলা খেতে খেতে দেখবেন কাঁটা নেমে গেছে আর আপনি টেরও পাননি।
৪) এক টুকরো লেবু নিন, তাতে একটু লবণ মাখিয়ে চুষে চুষে লেবুর রস খেয়ে ফেলুন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
৫) পানির সাথে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে পান করলেও ঠিক লেবুর মতই কাজ হবে।
৬) গলায় বিঁধেছে কাঁটা? একটু অলিভ অয়েলও পান করতে পারেন। কাঁটা পিছলে নেমে যাবে।
৭) গলায় কাঁটা নামানোর আধুনিকতম পদ্ধতি হচ্ছে কোকাকোলা। এক গ্লাস কোক পান করে ফেলুন, কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।

প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর উপায়-
----------------------------
✬ কয়েক কোয়া রসুন পিষে পানিতে দিয়ে সেদ্ধ করুন। রসুন ছেঁকে পানি বোতলে নিয়ে স্প্রে করুন ঘরে। মশা দূর হবে।
✬ লেবু দুই টুকরা করে কয়েকটি লবঙ্গ গুঁজে নিন। ঘরের কোণায় রাখুন লেবুর টুকরা। লবঙ্গের ঝাঁঝে দূর হবে মশা
✬ দরজা জানালা বন্ধ কর কর্পূরের ধোঁয়া দিন ঘরে। ২০ মিনিটের মধ্যে চলে যাবে মশা।
✬ কেরোসিন তেল স্প্রে বোতলে নিন। কয়েক টুকরা কর্পূর মেশান। ভালো করে ঝাঁকিয়ে স্প্রে করুন রুমে। মশা থাকবে না।
✬ নারিকেলের গায়ে থাকা আঁশের সাহায্য দূর করতে পারেন মশা। নারিকেলের আঁশ শুকিয়ে টুকরা করুন। একটি কাঠের পাত্রে রেখে জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি ধরুন। ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই মশা দূর হবে।

[ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত]

**Copyright :  তানবীর (জিরো গ্রাভিটি)
www.facebook.com/tanbir.cox

March 13, 2016

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog (Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog (Dhumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Dhumkeatu's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Dhumkeatu's Diary" || 06.07.2018 || 🇧🇩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা...

**প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা... ১) মন শুধু মম ছুঁয়েছে- সোলস ২)নিঃস্ব করেছ আমায় - শাফিন ৩)ফিরিয়ে দাও- মাইলস ৪)শ্রাবনের মেঘগু...