বুধবার, ১৮ মার্চ, ২০২০

তাওবা ইস্তেগফার করার জন্য যে দোয়া করতে পারেন...

হাদিসে বর্ণিত তাওবার দোয়া সমূহ:

=========================

দোয়া-১:
======
মূল আরবীঃ أَستَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
প্রতি ওয়াক্তের ফরয সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। [মিশকাত-৯৬১]

দোয়া-২:
======
মূল আরবীঃ أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবা ও ইসতিগফার করতেন। [বুখারী-৬৩০৭]

দোয়া-৩:
======
মূল আরবীঃ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ (الغَفُوْرُ)
উচ্চারণঃ রাব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম। দ্বিতীয় বর্ণনয় “রাহীম”-এর বদলে: ‘গাফূর’।
অনুবাদঃ হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ও ক্ষমাকারী।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন। [আবূ দাঊদ-১৫১৬, ইবনু মাজাহ-৩৮১৪, তিরমিযী-৩৪৩৪, মিশকাত-২৩৫২]

দোয়া-৪:
======
মূল আরবীঃ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আস্‌তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবাহ্ করি।

এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন-যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়নকারী হয়। [আবু দাউদ-১৫১৭, তিরমিযী-৩৫৭৭, মিশকাত-২৩৫৩]

দোয়া-৫:
======
মূল আরবীঃ اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা

অনুবাদঃ হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।

এই দোয়া সকালে পড়ে রাতের আগে মারা গেলে অথবা রাতে পড়ে সকালের আগে মারা গেলে সে জান্নাতে যাবে। [বুখারী-৬৩০৬]

পবিত্র কোরআনুল কারীমে তাওবা করার ব্যপারে তাগিদঃ
=========================================
• যে কেউ দুষ্কর্ম করে অথবা স্বীয় জীবনের প্রতি অত্যাচার করে পরে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থী হয়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পাবে। [সূরা নিসা ৪/১১০]

• নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থান করবে এবং তুমি কখনও তাদের জন্য সাহায্যকারী পাবে না। কিন্তু যারা তওবা করে ও সংশোধন হয় তারা ব্যতীত। [সূরা নিসা ৪/১৪৫-১৪৬]

• যারা ঈমানদান নর-নারীর উপর যুলুম-নির্যাতন করেছে এবং পরে তওবা করেনি, তাদের জন্যে জাহান্নামের আযাব ও দহন যন্ত্রণা রয়েছে’ (সূরা বুরূজ ৮৫/১০)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, وَتُوْبُوْا إِلَى اللهِ جَمِيْعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হ’তে পার। [সূরা নূর ২৪/৩১]

© mdasaduzzaman.com

এসতেগফারের ২৫টি উপকারিতা

আজ আমি ইনশা আল্লাহ পবিত্র কোরান ও হাদীসের আলোকে এসতেগফারের অসংখ্যা উপকারিতা থেকে ২৫টি উপকারিতা ও ফযিলত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যে সব সমস্যায় আমরা প্রতিদিন সম্মুখিন হই দেখুন এ একটি শব্দে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সে সব সমস্যার সমাধান রেখে দিয়েছে আসুন দেখি আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য এসতেগফারের মধ্যে কি কি কারিশমা রেখে দিয়েছেন যা আমাদের জানা নাই।

তওবা এবং এস্তেগফার প্রায় একইতবে পার্থক্য শুধু এতটুকু যেএস্তেগফার হলো জবান বা মুখ দ্বারা ক্ষমা চাওয়া আর তওবা হলো অন্তর দিয়ে ক্ষমা চাওয়া এস্তেগফারের জন্য গোনাহ হওয়া বা গোনাহ থাকা জরুরি নয় নবী-রাসুলরা প্রত্যহ অসংখ্যবার আল্লাহর কাছে এস্তেগফার করতেনঅথচ তাদের কোনো গোনাহ ছিল না তারা নিষ্পাপ তথা মাসুম ছিলেন

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) দোয়ায় বলতেন, ‘হে আল্লাহ আমার ছোট-বড়, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, গোপনে-প্রকাশ্যে, শুরুতে ও শেষে কৃত সব গোনাহ ক্ষমা করে দাও।’ (মুসলিম)। বান্দা তওবা ও এস্তেগফারের সমন্বয় করে দোয়া করবে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘হে লোকেরা, তোমরা তোমাদের রবের কাছে তওবা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও। আমি প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করি ও ক্ষমা চাই।’ (নাসাঈ)।

আমাদের নবী (সা.) অধিক পরিমাণে এস্তেগফার করতেন, যদিও আল্লাহ তাঁর পূর্বাপর সবকিছু ক্ষমা করে দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃত্যুর আগে বেশি বেশি বলতেন, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।’ (বোখারি ও মুসলিম)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলের চেয়ে বেশি আর কাউকে আমি ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি’ বলতে দেখিনি। (নাসাঈ)। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের সালামের পর তিনবার ‘আস্তাগফিরুল্লাহা’ বলতেন। (মুসলিম)।

আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত হকুম নাযিল করেন

وَاسْتَغْفِرُواْ رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُواْ إِلَيْهِ إِنَّ رَبِّي رَحِيمٌ وَدُودٌ

আর তোমাদের পালনকর্তার কাছে মার্জনা চাও এবং তাঁরই পানে ফিরে এসো নিশ্চয়ই আমার পরওয়ারদেগার খুবই মেহেরবান অতিস্নেহময়। [ সুরা হুদ ১১:৯০ ]

পবিত্র কুরানে পাকে এসতেগফারের উপকারিতা আল্লাহ তায়ালা খুব চমৎকার ভাবে বননা করে দিয়েছেন। একদিন এক লোক হযরত হাসান বসরী(রহ) কাছে এসে আরজ করল হযরত আমি বড়ই গুহানগার এমন আমল বলে দিন যেন আমার গুনাহ সমুহ মাফ হয়, হযরত হাসান (রহ) বললেন বেশী বেশী এসতেগফার পড়, এরপর আর একজন এসে আরজ করল অনেক দিন যাবত বৃষ্টি হচ্ছেনা এমন আমল বলে দিন যাতে তা আমরা করলে আল্লাহ রহমতের বৃষ্টি বষন করবেন, হযরত বললেন বেশী বেশী এসতেগফার পড়, এরপর আর একজন লোক আসল বলল হযরত আমি কজের দ্বারা জর্জরিত অনেক দিন যাবৎ চেষ্ট করছি কজ পরিশোধ করতে কিন্তু পারছি না আপনি আমাকে এমন আমল এর কথা শিখান যাতে আমি কজ থেকে মুক্ত হতে পারি। হযরত বললেন এসতেগফার পড়। এক বান্দা আসল হযুর আমার জন্য দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে ছেলে সন্তান দান করেন, হযরত তাকে শিখিয়ে দিলেন বেশী বেশী এসতেগফার কর। এরপর আরেক বান্দা আসল বলল হযুর আমার বাগানে ফল যাতে বেশী হয় সে জন্য দোয়া করুন হযরত বলরেন তুমি বেশী বেশী এসতেগফার কর তাহলে তোমার বাগানে ফল বেশী বেশী হবে। আর একজন আসল হযরত আমার বাড়ীতে যেন পানির যথাযথ ব্যবস্থা হয় সেজন্য দোয়া করুন হযরত জবাব দিলেন এসতেগফার কর। এখন সে মজলিশে যারা ছিল তারা বড়ই হয়রান, যে হযরত সকল সমস্যার জন্য একটাই আমল এর কথা বলছেন এসতেগফার, তখন একজন প্রশ্ন করল হযরত আপনি সকলকে সব ধরনের সমস্যার জন্য একই আমল বলে দিচ্ছেন এর কারন কি? তখন হযরত হাসান (রাঃ) কোরানের আয়াত পাঠ করলেণ

সুরা নুহ এর ১০ নং আয়াত থেকে ১২ নং আয়াত

فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا

অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। [ সুরা নূহ ৭১:১০ ]

يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا

তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন, [ সুরা নূহ ৭১:১১ ]

وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا

তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ত তি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। [ সুরা নূহ ৭১:১২ ]

সুরা নুহের এ ৩ টি আয়াতের দ্বারা এসতেগফারের ৬টি উপকারিতা আল্লাহতায়ালা বয়ান করে দিয়েছেন। এ এসতেগফারের একটি আমলও যদি আমরা ধারাবাহিক ভাবে করতে পারি তাহলে আমাদের সকল সমস্যার এর দ্বারাই সমাধান হয়ে যাবে, কেহ বলে ব্যবসায় লোকসান এটা বাগানের মত সুতরাং এসতেগফার দ্বারা যেমন বাগানে ফসল বেশী হয় তেমনি ব্যবসায়ীরা এসতেগফার দ্বারা তাদের ব্যবসায় বরকত আনতে পারেন। কেহ বলে সন্তান হয় না তারা এসতেগফার এর আমল করতে পারেন। কেহ বলে খড়া সৃষ্টি হয়েছে তারাও এসতেগফার করতে পারেন, কেহ বলে কজ শেষ হয় না তারাও এ মহান আমলটি করতে পারেন ইনশা আল্লাহ আল্লাহ তায়ালা সমাধান করে দিবেন। এটা আল্লাহর কালাম এতে কোন ধরনের সন্দেহ নাই।

আল্লামা বগভি (রহ.) লিখেছেন, হজরত নুহ (আ.) এর জাতি যখন বহুদিন ধরে তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে থাকে, আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি থেকে বিরত থাকতে অস্বীকৃত জানায়, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দেন। ৪০ বছর ধরে তাদের সন্তান-সন্ততি জন্মগ্রহণ বন্ধ রইল, তাদের অর্থ-সম্পদ বিনষ্ট হয়ে গেল, এমনকি চতুষ্পদ জন্তুগুলোও শেষ হয়ে গেল। তখন তাদের হজরত নুহ (আ.) উপদেশ দিয়েছিলেন, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হও। একবার হজরত ওমর (রা.) বৃষ্টিপাতের জন্য ইসতিসকার নামাজের উদ্দেশে বের হলেন। ময়দানে এসে তিনি শুধু তওবা-এস্তেগফার করলেন, ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন না। লোকেরা প্রশ্ন করল, আপনি ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন না, শুধু এস্তেগফার করলেন কেন? তিনি বললেন, আল্লাহ তায়ালা এস্তেগফার করার আদেশ দিয়েছেন এবং এর বরকতে বারিবর্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমি তাই করেছি, যা আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন (তাফসিরে কবির)। 

সুতরাং কোরান ও হাদীস থেকে আমরা এসতেগফারের অসংখ্যা ফযিলত ও উপকারিতা লক্ষ্য করি তার মধ্যে ২৫টি গুরুত্বপুন উপকারিতা হল

১) এসতেগফার করা নবীদের সুন্নত

২) এসতেগফার আল্লাহর কাছে প্রিয় একটি আমল

৩) এসতেগফার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয়

৪) এসতেগফার দ্বারা গুনাহসমুহ মাফ হয়

৫) এসতেগফার দ্বারা ব্যবসায় লাভ হয়

৬) এসতেগফার দ্বারা মযাদা বৃদ্ধি পায়

৭) এসতেগফার দ্বারা আল্লাহর রহমত নাযিল হয়

সহিহ নিয়তে এসতেগফার পাঠ করলে আল্লাহ করুনা ও দয়া করবেন দলিল কুরান আযিমুশশান সুরা নিসার ১১০ নং আয়াত

وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّهَ يَجِدِ اللّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا

যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়। [ সুরা নিসা ৪:১১০ ]

৮) এসতেগফার দ্বারা সন্তান সন্ততি যাদের হয়না তাদের সন্তান হয়

৯) এসতেগফার খড়া ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

১০) এসতেগফার দ্বারা বাগানে ফসল ভাল হয়

১১) এসতেগফার দ্বারা কলবের ময়লা পরিস্কার হয়

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেনমোমিন ব্যক্তি যখন কোনো গোনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে তারপর সে যদি ফিরে আসেগোনাহের ইচ্ছাকে মন থেকে বের করে দেয় এবং এস্তেগফার করেতাহলে তার অন্তর পরিচ্ছন্ন করে দেয়া হয় যদি আবার গোনাহ করে তাহলে এটি বাড়তে থাকে অবশেষে গোনাহগুলোর কারণে তার অন্তর কালিমায় আচ্ছাদিত হয়ে যায় বস্তুত এটিই  আলোচনা করে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে,

كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ

কখনও না, বরং তারা যা করে, তাই তাদের হৃদয় মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে। [ সুরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৪ ]

১২) এসতেগফার দ্বারা সকল সংকিনতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

১৩) এসতেগফার দ্বারা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

১৪) এসতেগফার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা অকল্পনীয় স্থান থেকে রিযিকের ব্যবস্থা করে দেন

জরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি এস্তেগফার করাকে সর্বদা গ্রহণ করে আল্লাহ তাকে সব সংকীর্ণতার মধ্যে উদ্ধারের পথ বের করে দেন, সব দুশ্চিন্তার ক্ষেত্রে মুক্তির পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন যা সে চিন্তাও করেনি।’ (আবু দাউদ ও আহমদ)।

১৫) এসতেগফার দ্বারা সকল গুনাহসমুহ মাফ হয়ে যায়

হজরত বিলাল ইবনে ইয়াসার ইবনে জায়েদ (রা.) (যিনি ছিলেন প্রিয় নবী (সা.) এর আজাদকৃত গোলাম) থেকে বর্ণিত, তিনি তার বাবা ও দাদা সূত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি পড়ে ‘আসতাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাইউম ওয়া আতুবু ইলাইহি’ তার সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, এমনকি ধর্মযুদ্ধ থেকে পলায়নের গোনাহও ক্ষমা করে দেয়া হয়।” (তিরমিজি, মিশকাত)।

১৬) এসতেগফারের দ্বারা আল্লাহর আযাব ও আসে না দলিল কোরানের সুরা আনফালের ৩৩ নং আয়াত

وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ اللّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ

অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না। [ সুরা আনফাল ৮:৩৩ ]

১৭) গুনাহ নামক মারাত্মক রোগের ঔষদ হল এসতেগফার

হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, আমি কি তোমাদের জানাব না, তোমাদের রোগ কী এবং তার ওষুধ কী? তোমাদের রোগ হলো গোনাহ, আর ওষুধ হলো এস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। (বায়হাকি, আত-তারগিব)।

১৮) এসতেগফার শয়তানের বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষে একটি চ্যালেঞ্জ

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘ইবলিস বলেছিল, তোমার প্রতাপের শপথ, তোমার বান্দাদের দেহে যতক্ষণ প্রাণ থাকবে, ততক্ষণ আমি তাদের বিপথগামী করতে থাকব। জবাবে আল্লাহ তায়ালা বলেছিলেন, আমার প্রতাপ ও মহিমার শপথ, তারা যতক্ষণ ক্ষমা চাইতে থাকবে, আমি তাদের ততক্ষণ ক্ষমা করতে থাকব।’ (আহমদ, হাকেম)।

এছাড়াও এস্তেগফার পাঠের মাধ্যমে (১৯) হৃদয় মুকুরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয়। (২০) নেক কাজ করতে মনে চায়। (২১) গোনাহের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়। (২২) হৃদয়-মন দারুণ প্রফুল্ল থাকে। (২৩) ইবাদতে একাগ্রতা তৈরি হয়। (২৪) বিপদাপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা হেফাজত করেন। (২৫) এসতেগফার করার পর আল্লাহ তায়ালা বান্দার দোয়াও কবুল করেন।

আসতাগফিরুল্লাহা প্রতিদিন পাঠ করুন তবে পড়ার সময় মনে মনে নিজের গুনাহের জন্য লজ্জিত হউন,এটা যেন না হয় জবানে এসতেগফার করছেন আর মনে মনে গুনাহের খেয়াল চলছে।

রাবেয়া বসরী বলেন আমরা এমন ধরনের এসতেগফার করি যে সেটার উপর এসতেগফার করার প্রয়োজন হয়। অথ্যাৎ মুখে এসতেগফার বা ক্ষমা প্রাথনা করছি গুনাহ থেকে কিন্তু মনে মনে গুনাহের খেয়াল করছি আর এ ধরনের এসতেগফারের জন্যও ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন হয়।

এস্তেগফার করলে তা প্রকৃতার্থে এবং খালেস অন্তরে করা উচিত। কেননা গোনাহে অটল থেকে তওবা করা অর্থ আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করা (নাউজুবিল্লাহ)।

এসতেগফার কিভাবে পড়বেন?

কয়েক ভাবে পড়া যায় যা হাদীসসমুহে বনিত রয়েছে

১) শুধু আসতাগফিরুল্লাহ (মুসলিম)

অথবা ২) ‘আসতাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাইউম ওয়া আতুবু ইলাইহি’ (তিরমিজি, মিশকাত)।

অথবা ৩)‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।’ (বোখারি ও মুসলিম)

৪) ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি’  (নাসাঈ)।

© myjaalhaq.blogspot.com


*Collected.

﹋﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

** Note: ® [This is one of my Favorite Bangla Articles. I own none of the content within the post, only the drafting/typing time spent. No copyright infringement intended. The contents of this post are the intellectual property and copyright of their owner(s)/author(s). All content is owned by its respective owner(s)/companies. If you own any of the content and wish for me to remove this post from my personal blog "Bohemian's Diary" (former, Dnumkeatu's Diary) - A personal online diary : Where I Wandered Lonely as a Cloud...) please contact me and I will do so. Here this post is provided for educational purposes and personal use only. Thank you.]

﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹌﹌﹋﹋﹌﹋﹌﹋﹋﹌﹋

*** N.B : [All the post on this blog "Bohemian's Diary" (former, Dnumkeatu's Diary) is only for Personal Collection/Personal use only. There are no other intention to Plagiarism on any others post or content. Advance apologize for any objection of any Author, Publisher, Blog, Website & the others printing media for posting/re-posting any contents on this Personal Blog - "Bohemian's Diary - A personal online diary : where I Wandered Lonely as a Cloud."]

*** Believe : "Happiness is a Choice & Life is Beautiful."
''Zindagi Na Milegi Dobara." Just keep Livin...!!!
Keep Smile.......!! Happy Living......!!! :) :) :)
Thank You, Good Luck......!!! :) :) :) 🌷🙏🌷

*** Posted by : © "Bohemian's Diary" (former, Dhumkeatu's Diary) || 18.03.2020 || 🇧🇩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা...

**প্রিয় গানের সংক্ষিপ্ত তালিকা... ১) মন শুধু মম ছুঁয়েছে- সোলস ২)নিঃস্ব করেছ আমায় - শাফিন ৩)ফিরিয়ে দাও- মাইলস ৪)শ্রাবনের মেঘগু...